ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক |
আওয়ামী লীগের লকডাউনেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
সারাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউন কর্মসূচিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক থাকায় রয়েছে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকেই সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়, মৌচাক, সানারপাড়, সাইনবোর্ড এলাকায় ঘুরে দেখা যায়—যানবাহন প্রতিদিনের মতো স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে ঘিরে সকাল থেকেই মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। প্রতিটি পয়েন্টে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে। এদিকে লকডাউন ঘিরে গতকাল রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়িতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অফিসের সামনে একটি সিএনজিতে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে এখন পর্যন্ত কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত কিংবা নাশকতার মতো ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুরো জেলাজুড়ে ৪৮৩ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
সকালে নিজ কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বের হওয়া কামাল হোসেন সরকার বলেন, “আমি একটু ভয়ে ভয়েই বের হয়েছি, কারণ রাতভর খবরে শুধু আগুনের ঘটনা শুনেছি। তবে রাস্তায় এসে যান চলাচল স্বাভাবিক দেখলাম।”
অটোরিকশা চালক রবিউল মিয়া বলেন, “আমরা আজ সকাল হতেই ভালো যাত্রী পাচ্ছি। শুনছি আওয়ামী লীগ হরতাল দিছে, কিন্তু কিছু দেখি নাই এ পর্যন্ত।”
এ বিষয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (টিআই) মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, “মহাসড়কে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না ঘটলেও আজ যানবাহনের চাপ কিছুটা কম। অন্যান্য দিনের মতো আমাদের টহল কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। জেলা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী বলেন, “এখন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলাজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যেকোনো নাশকতা এড়াতে আমাদের পাঁচ শতাধিক পুলিশ বিভিন্ন সড়কে অবস্থান করছে। এছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি টহল কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।”