সোমবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ২৪ ১৪৩২, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি : ক্লাস শুরু ১ জানুয়ারি, ‘চূড়ান্ত হচ্ছে’ অধ্যাদেশ মাগুরায় সংঘর্ষে আহত যুবকের মৃত্যু, ফের সংঘাতে আহত ৫০ ভোট: এবার নিবন্ধন পেল ৮১ স্থানীয় পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান ক্ষমতায় যাওয়ার অপেক্ষায় জামায়াত, বললেন পরওয়ার কারাগারে শওকত মাহমুদ, রিমান্ড শুনানি বৃহস্পতিবার বিটিভি-বেতারে সিইসির তফসিল-সংক্রান্ত ভাষণ রেকর্ড ১০ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা আরো পেছাল মহানবীকে কটূক্তি: তিতুমীরের শিক্ষার্থী বিশ্বজিৎ রিমান্ডে উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রিমান্ডে দিলে হার্ট অ্যাটাক করতে পারি: আদালতকে নাসার নজরুল আনিসুল-মঞ্জুর নেতৃত্বে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যায় গৃহকর্মী, ধারণা পুলিশের সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির ভারতের গোয়া নাইটক্লাব অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২৫ জনের মধ্যে নেপালি ৪ জন নিউইয়র্কে ইসরাইল, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত

রাজনীতি

বিএনপি অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর মধ্যরাতে পদায়নের দল : ড. হাছান

 প্রকাশিত: ২০:১৯, ২৪ জুন ২০২৪

বিএনপি অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর মধ্যরাতে পদায়নের দল : ড. হাছান

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ কর্মী-নির্ভর দল কিন্তু বিএনপি অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর মধ্যরাতে পদায়ন’র দল। এ দলটি (বিএনপি) গণতন্ত্রের কথা বললেও দলের ভিতরেই গণতন্ত্র নেই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 

ড. হাছান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতাদের নয়, কর্মীদের দল। এখানে দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র আছে। এখানেই অন্য দলের সাথে আওয়ামী লীগের পার্থক্য। সেই কারণে যখনই শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সাধারণ কর্মীরা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আর একজন দু:খিনী মা যে পরম মমতা দিয়ে পিতৃহারা সন্তানকে আগলে রেখে মানুষ করেন, শেখ হাসিনা সেইভাবে বঙ্গবন্ধুহীন আওয়ামী লীগকে সুসংহত রেখেছেন।’

বিএনপি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই দলটি মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু তাদের নিজের দলেই গণতন্ত্র নেই, তাদের জন্মটাই অগণতান্ত্রিক। এই দলে (বিএনপি) অভ্যন্তরীণ কোন্দল চলে, সেখানে সিদ্ধান্ত আসে দেশের বাইরে থেকে, পদায়ন-মনোনয়ন হয় রাতের আঁধারে। আর পত্রিকায় ‘মহাসচিবের খোঁজে বিএনপি’ শিরোনাম, আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কান্নার ছবি ছাপা হয়। যদিও তারা বলে, মির্জা ফখরুল সাহেবের কান্না বেগম জিয়ার অসুস্থতার জন্য, কিন্তু আমরা জানি, বেগম জিয়া তো দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ।’

ড. হাছান উল্লেখ করেন, ‘আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরের পথচলায় যে সব নেতা বেসুরে কথা বলেছেন, তারা দল ছেড়ে চলে গেছেন, রাজনীতি থেকেও হারিয়ে গেছেন, এটিই রাজনীতির শিক্ষা।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা করেছেন।  বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সেই দ্বিধাবিভক্তি থেকে আওয়ামী লীগকে রক্ষা করে সুসংযত করেছেন। গত ৪৩ বছর ধরে তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) দলকে অসামান্য নেতৃত্ব দিয়ে পরপর চারবারসহ পাঁচবার রাষ্ট্রক্ষমতায় নিয়ে গেছেন। দেশকে বিশ্বের বুকে অনন্য উচ্চতায় আসীন করেছেন। 

এই অনুষ্ঠানে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ বা সম্প্রচার প্রসঙ্গেও কথা বলেন ড. হাছান মাহমুদ। দুর্নীতির সংবাদ করতে গিয়ে কাউকে যেন 'ইনোসেন্ট ভিক্টিম' বা কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা না হয়, সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের জন্যও তিনি গণমাধ্যমের প্রতি আহবান জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী  বলেন, ‘অবশ্যই গণমাধ্যমে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হবে। আমাদের সরকারের নীতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রয়াস হিসেবে যদি ধারাবাহিকভাবে সংবাদ পরিবেশিত হয়, তাহলে বুঝতে হবে সেটি ষড়যন্ত্রের অংশ। এবং ইনভেস্টিগেশনের আগেই গণমাধ্যমের সামনে কাউকে দুর্নীতিবাজ বলা সেটিও সমীচীন নয়।’ 

ড. হাছান বলেন, ‘অবশ্যই দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হবে এবং সেটি দুর্নীতি দমনে সহায়ক। কিন্তু কেউ যেন 'ইনোসেন্ট ভিক্টিম' না হয় এবং কোনো প্রতিষ্ঠানকে যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না করা হয় সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করি।’

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ডা. অরূপ রতন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এমপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক আলী শিকদার, এম এ করিম, স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল, কণ্ঠশিল্পী এস ডি রুবেল, সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ, সমীরণ রায় প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।  বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা এ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।