পেঁয়াজের হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধি, আমদানির অনুমতি দিতে পারে সরকার
মওসুমের শেষের দিকে এসে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় পণ্যটির আমদানি উন্মুক্ত করে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এমন আভাস দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।
তিনি বলেন, “অন্তত ২৮০০ ব্যবসায়ী পেঁয়াজ আমদানি অনুমতিপত্র পাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাম কমে স্বাভাবিক মাত্রায় না এলে আমরা আমদানির অনুমোদন দেব।”
সারাবছর জুড়ে কৃষক কম মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হলেও মওসুমের শেষের দিকে যখন মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসতে কয়েক সপ্তাহ বাকি তখন এক লাফে দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
পেঁয়াজ কৃষকের হাতছাড়া হওয়ার পর মধ্যস্বত্ব ভোগীদের চক্র দাম বাড়িয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করছেন।
অবশ্য সরকার মনে করছে, মওসুমের শেষের দিকে এসে হঠাৎ অতিবৃষ্টির কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, “গত সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে পেঁয়াজের মূল্যটা বেড়েছে। একটা আড়াই দিনের বৃষ্টি হয়েছিল। বৃষ্টির পর থেকে বেড়েছে। আমি আর কোনো কারণ দেখি না।”
মওসুমের শুরুতে কৃষক পেঁয়াজ বিক্রি করতে গিয়ে লোকসানের মুখে পড়েছিলেন তুলে ধরে সচিব বলেন, “পেঁয়াজের দাম ২৫/৩০ টাকায় নেমে এসেছিল এবং সেটা কৃষকদের উৎপাদন ব্যয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না।
“বহুদিন যাবতই পেঁয়াজের দাম ৬০/৬৫ টাকার মধ্যেই স্থির ছিল।”
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের কাছে অনেকেই আমদানির জন্য আবেদন করেছেন। প্রায় ২৮০০ মতো আমদানি আবেদন বর্তমানে আমাদের হাতে আছে।
“আমরা বাজারের উপরে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছি। যদি বাজারের মূল্য না কমে আমরা এই আমদানি অনুমোদন ইস্যু করে দিব। আগামী ৪/৫ দিন দেখব।”
উপদেষ্টা বলেন, “দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসবে। এখন সাড়ে তিন লাখ টনের মতন পেঁয়াজ মজুদ আছে।
“এই মাসে আসবে ৮৫ থেকে ৮৭ হাজার টন নতুন (মুড়িকাটা) পেঁয়াজ এবং আগামী মাসে আসবে আড়াই লাখ টন।”