বৃহস্পতিবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, পৌষ ১১ ১৪৩২, ০৫ রজব ১৪৪৭

জাতীয়

দিপু হত্যা: ‘উসকানি দেওয়া’ ৬ জনকে গ্রেপ্তার

 প্রকাশিত: ১৭:১৮, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

দিপু হত্যা: ‘উসকানি দেওয়া’ ৬ জনকে গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মামলায় আরও ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তারা কারখানার কর্মচারীদের উসকানি ও দিপুকে চাকরী থেকে অব্যাহতি দিতে বাধ্য করায় জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বুধবার মধ্যরাতে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের কাশর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এ নিয়ে দিপু হত্যা মামলায় মোট ১৮জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার সকালে জেলা পুলিশের কার্যালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

নতুন গ্রেপ্তার ছয় আসামি হলেন, সুনামগঞ্জের তাকবির (২২), ঠাকুরগাঁওয়ের রুহুল আমিন (৪২), ময়মনসিংহ সদরের নূর আলম (৩৩), জেলার তারাকান্দা উপজেলার মো শামীম মিয়া (২৮) নোয়াখালীর সেলিম মিয়া (২২), মাদারীপুরের মো. মাসুম খালাসী (২৩)।

এর আগে গ্রেপ্তার ১২ আসামিরা হলেন, আশিকুর রহমান (২৫) কাইয়ুম (২৫), মো. লিমন সরকার (১৯), মো. তারেক হোসেন (১৯), মো. মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিজুম উদ্দিন (২০), আলমগীর হোসেন (৩৮), মো. মিরাজ হোসেন আকন (৪৬), মো. আজমল হাসান সগীর (২৬), মো. শাহিন মিয়া (১৯) ও মো. নাজমুল (২১)।

 

গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকায় ‘পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কোম্পানির’ শ্রমিক ২৮ বছর বয়সী দিপুকে দাসকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর তার লাশ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে গাছের ডালের সঙ্গে বেঁধে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত আড়াইটার দিকে অর্ধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

দিপু তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। দুই বছর ধরে তিনি এই কোম্পানিতে কাজ করছিলেন।

এ ঘটনায় তার ভাই বাদী হয়ে ১৯ ডিসেম্বর বিকালে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গ্রেপ্তার ছয় আসামি কারখানার ভেতরে উপস্থিত কর্মচারীদের উসকানি, স্লোগান দিয়ে কারখানার বাহিরে ধর্ম অবমাননার বিষয়টি ছড়িয়ে দেওয়া এবং দিপুকে অব্যহতি দেওয়ার জন‍্য চাপ সৃষ্টি করে।

তিনি আরও বলেন, “কেন ওই যুবককে পুলিশের হাতে না দিয়ে জনতার হাতে তুলে দেওয়া হলো, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”