বৃহস্পতিবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, পৌষ ১১ ১৪৩২, ০৫ রজব ১৪৪৭

জাতীয়

তারেক রহমান ফেরায় রাজনৈতিক ‘শূন্যতা পূরণ হবে’: শফিকুল

 প্রকাশিত: ১৭:০৯, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

তারেক রহমান ফেরায় রাজনৈতিক ‘শূন্যতা পূরণ হবে’: শফিকুল

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

এছাড়া বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক যে রূপান্তর চলছে তা আরও ‘মসৃণ হবে’ বলেও মনে করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, “আমরা তাকে স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পার্টির লিডার, এবং তার বাংলাদেশে আসা খুবই একটা…আমি বলবো একটা পজিটিভ ইমপ্যাক্ট করবে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে। উনি বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে আছি। তো আমরা আশা করছি যে এই আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে আসার পরে।”

তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “তার নিরাপত্তা তো তার পার্টি দেখছেন, বাট তারা যেই ধরনের সহযোগিতা আমাদের কাছে চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।''

দেড় যুগের দীর্ঘ নির্বাসন ভেঙে দেশে পৌঁছেছেন বিএনপি নেতা তারেক রহমান। তার সঙ্গে আছেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪৩ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২০২ ফ্লাইটটি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহজাল বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানিয়ে এবং আলিঙ্গনে-করমর্দনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা।

মাতৃভূমিতে ফিরে সকলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তারেক রহমান। বিমানবন্দর থেকেই প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে নিরাপত্তাসহ যাবতীয় আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ দেন তারেক রহমান।

এরপর লাল-সবুজ পতাকার রঙে সাজানো একটি বাসে চড়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে তিনি রওনা হন পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কের পথে। সেখানেই তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন হয়েছে।

তারেকের গাড়ি বহর বিমানবন্দর থেকে ধীর গতিতে এগিয়ে যাওয়ার সময় দুই ধারে অবস্থান করা নেতাকর্মীরা একের পর এক স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। কুড়িল থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফিটের পুরো সড়ক মুখরিত হয়ে ওঠে নানান স্লোগানে।