মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪, আশ্বিন ২৩ ১৪৩১, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী দস্তগীর গাজী গ্রেফতার

 প্রকাশিত: ১৬:১৩, ১ অক্টোবর ২০২৪

হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী দস্তগীর গাজী গ্রেফতার

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সড়ক পরিবহন শ্রমিক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও সাংবাদিক হাসান মাহমুদকে খুনের মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
 
আজ তাকে নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর এই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার এসআই আজিজুল হক ভুইয়া। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

গত ২৫ আগস্ট রাতে ঢাকার শান্তিনগর বাসা থেকে গোলাম দস্তগীরকে গ্রেফতার করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। পরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রূপগঞ্জে গুলিতে নিহত দশম শ্রেণির ছাত্র রোমান মিয়া হত্যা মামলায় তাকে ছয়দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গত ১ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারে নিহত শফিকুল ইসলাম শফিক ও বাবুল হত্যা মামলায় তিনদিন করে মোট ছয়দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় দায়ের করা পারভেজ হত্যা মামলায় গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছিল।

গত ২৯ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে হাসান মাহমুদের স্ত্রী ফাতেমা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি খিলগাঁও থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। এরপর খিলগাঁও থানা মামলাটি এজাহার হিসাবে গ্রহণ করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। 

মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সালমান এফ রহমান, শামীম ওসমান, সাবের হোসেন চৌধুরী, নজরুল ইসলাম বাবু, শাহজাহান খান, মশিউর রহমান রাঙ্গা, এনায়েত উল্লাহ, এরফান সেলিম, লোটাস কামাল, আতিকুল ইসলাম, হারুন-অর-রশীদ, বিপ্লব কুমার সরকার। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, হাসান মাহমুদ সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত থেকে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৩১ জুলাই রাত দেড়টার দিকে উত্তরা মুগদাপাড়ার বাসা থেকে তিনি বের হন। রাতে আর বাসায় ফেরেন নি। অনেক খোঁজাখুজির পর জানতে পারেন সাদা পোশাকধারী এবং আরো অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জন লোক হাসান মাহমুদকে তুলে নিয়ে যায়। পরে গোড়ান ছাপড়া মসজিদের সামনে তার লাশ পাওয়া যায়। ভোর ৫ টার সময় মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।