বৃহস্পতিবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ২৭ ১৪৩২, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

তফসিল ঘোষণা: সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ১২ ফেব্রুয়ারি গণঅধিকারের সঙ্গে আসিফের ‘আলাপ’, মাহফুজের খবর নেই তারেক রহমানের ফেরার দিন যেন বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে: ফখরুল ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪১১ শুক্রবার থেকে সারাদেশে নামছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাখাইনে ‘হাসপাতালে মিয়ানমার জান্তার বিমান হামলায়’ নিহত অন্তত ৩০ সরকারি ব্যয় সংকোচনে ‘কিছুটা সফল’: ইলন মাস্ক গুলশানে ফ্ল্যাট জালিয়াতি : টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে অস্ট্রিয়া রোজা সামনে রেখে খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমল চিকিৎসায় ‘রেসপন্স’ করছেন খালেদা জিয়া গোপালগঞ্জে কভার্ড ভ্যান চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত ধনীদের জন্য চালু হল ট্রাম্পের ‘গোল্ড কার্ড’ ভিসা চীন-রাশিয়ার যৌথ যুদ্ধবিমান টহলে জাপান-ন্যাটো’র গভীর উদ্বেগ

শিশু

তানোরে গর্তের ৩৫ ফিট গভীরে গিয়েও সেই শিশুকে পাওয়া যায়নি

 প্রকাশিত: ২০:৪৯, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

তানোরে গর্তের ৩৫ ফিট গভীরে গিয়েও সেই শিশুকে পাওয়া যায়নি

 রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট গ্রামে গর্তে পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদকে ৩০ থেকে ৩৫ ফুট গভীরে গিয়েও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এখনও উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। সাজিদ গ্রামের মো. রাকিবের ছেলে। ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটি আরও গভীরে চলে গেছে।

 

গতকাল বুধবার রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালায় ফায়ার সার্ভিস। প্রায় ১৭ ঘণ্টার চেষ্টার পরও শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। যেই গর্তে শিশুটি পড়েছে সেই গর্তের পাশ থেকে কেটে শিশুটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। ৩৫ ফিট গভীরে গিয়েও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি।

 

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পচন্দর ইউনিয়নের এই গ্রামে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। এ এলাকায় এখন গভীর নলকূপ বসানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আছে। এ অবস্থার মধ্যে কোয়েল হাট গ্রামের কছির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি তার জমিতে পানির স্তর পাওয়া যায় কি না, সেটা যাচাই করার জন্য গর্তটি খনন করেছিলেন। সেই গর্ত ভরাটও করেছিলেন, কিন্তু বর্ষায় মাটি বসে গিয়ে নতুন করে গর্ত সৃষ্টি হয়। সেই গর্তেই শিশুটি পড়ে যায়।

 

ফায়ার সার্ভিস জানায়, গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এক্সকাভেটর দিয়ে খনন শুরু হয়। ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় পুলিশ ও সেনাবাহিনী। রাত ১০টার দিকে ছোট এক্সকাভেটর দিয়ে আর খনন করা সম্ভব হয়নি। রাজশাহী সিটি করপোরেশন থেকে পাঠানো বড় এক্সকাভেটর দিয়ে খনন শুরু করা হয়েছিল। রাতভর একই কাজ চলেছে। আজ সকাল আটটার দিকে প্রায় ৩৫ ফিট গভীরে গিয়ে মূল গর্তের পাশ কেটে শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটি আরও গভীরে চলে গেছে।

 

ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহীর সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম জানান, তারা বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে এ ঘটনার খবর পান। দ্রুতই উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়। তারা যাওয়ার আগে স্থানীয় লোকজন প্রাথমিকভাবে চেষ্টা করার কারণে কিছু মাটি ভেতরে পড়ে ছিল। এ কারণে কিছুটা অসুবিধা হয়েছে। প্রথমেই তারা পাইপের মাধ্যমে গর্তে অক্সিজেন দেওয়া শুরু করেন। 

 

এদিকে, এই খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় করেছেন।