শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১৪ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

পর্যটন

পর্যটকদের পদচারণায় মুখর রাঙ্গামাটি

 প্রকাশিত: ১৪:১৮, ৫ মে ২০২২

পর্যটকদের পদচারণায় মুখর রাঙ্গামাটি

প্রাকৃতিক সৌর্ন্দযের লীলাভূমি পাহাড়ী কন্যা পর্যটন শহর রাঙ্গামাটি এখন পর্যটকদের পদভারে মুখরিত। রাঙ্গামাটির প্রতিটি পর্যটন স্পট এখন পর্যটকদের পদচারণায় মুখর। পরিবার পরিজন নিয়ে দেশী বিদেশী পর্যটকরা এখন পাহাড়ের নির্মল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন মনের আনন্দে। রাঙ্গামাটিতে পর্যটকের সমাগম আরো বাড়তে পারে পারে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঈদের পর বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে ও পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাঙ্গামাটিতে  ছুটে আসছেন পর্যটকরা।

রাঙ্গামাটির বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলো মুখরিত হয়ে উঠছে পর্যটকদের আগমনে। এখানকার হোটেল মোটেলগুলোও ইতিমধ্যে আশানুরুপ বুকিং হয়ে গছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। রাঙ্গামাটির প্রিন্স হোটেলের মালিক এবং চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মোঃ নেছার আহমেদ জানান,  রাঙ্গামাটিতে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে এবং তার পরিচালনাধীন হোটেল প্রিন্সে আগামী ১৫মে পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকেরা পুরো হোটেলই বুকিং করে রেখেছেন। করোনা মহামারী কাটিয়ে এবার তারা ভালো ব্যবসা করবেন বলে জানিয়েছেন। তাছাড়া রাঙ্গামাটি জেলার সাজেক ভ্যালী, কাপ্তাইসহ অন্যান্য উপজেলাগুলোতে ও বেড়েছে পর্যটকের আগমন।

র্দীঘ দু-বছর করোনা মহামারীর পর আবারো প্রাণ ফিরে পেয়েছে রাঙ্গামাটির পর্যটন শিল্প। ঈদ পরবর্তী বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে দু-একদিন রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের আগমন কম থাকলেও গতকাল বুধবার থেকে আবারো রাঙ্গামাটিতে পর্যটকের ঢল নামতে শুরু করেছে। কাপ্তাই লেকবেষ্টিত রাঙ্গামাটির প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ রাঙ্গামাটিতে আগত পর্যটক।

চট্টগ্রামের রাজিব জানান, বন্ধুরা মিলে ঈদের ছুটিতে তারা দলবেধেঁ রাঙ্গামাটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছেন। রাঙ্গামাটির সৌন্দর্যে বিমোহিত এ পর্যটক বলেন, রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই সন্তোষজনক এবং এখানে ঘুরে তারা আনন্দ উপভোগ করছেন।

রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের বিনোদনের জন্য রয়েছে পর্যটনের ঝুলন্ত ব্রীজ, রাঙ্গামাটি সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত আরণ্যক রিসোর্ট, রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত পলওয়েল পার্ক, ডিসি বাংলো, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের স্মৃতিসৌধ, শহরের ভেদভেদির মিনি চিড়িয়াখানা, রাজবন বিহার, কাপ্তাই লেক, সুভলং ঝর্ণা, পেদাটিংটিং,টুকটুক, রাইন্যাটুগুন, বার্গি লেক, বেড়াইন্ন্যা, ইকোভিলেজসহ কাপ্তাই লেকের পাড়ে গড়ে উঠা বিভিন্ন পর্যটন স্পট। রাঙ্গামাটির এসব বিনোদন কেন্দ্রে এখন মানুষের আগমন বাড়তে শুরু করায় পাহাড়ী কন্যা রাঙ্গামাটি এখন পর্যটকদের পদচারণায় অনেকটাই মুখরই বলা চলে।

রাঙ্গামাটির পর্যটনবোট ঘাটের ইজারাদার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুবেল জানিয়েছেন, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও রাঙ্গামাটিতে পর্যটকের আগমন বেড়েছে এবং গতকাল বুধবার থেকে রাঙ্গামাটিতে পর্যটকের আগমন আরো বেশী বেড়েছে। তিনি জানান, যে হারে রাঙ্গামাটিতে পর্যটক আসা শুরু করেছে তাতে করোনাকালীন সময়ের ক্ষতি অনেকটা কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

রাঙ্গামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ম্যানেজার সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানান, ঈদের পর রাঙ্গামাটিতে এবার পর্যটকের আগমন অনেক বেড়েছে। পর্যটন কমপ্লেক্সের সব রুমই বুকিং রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। করোনা মহামারীর পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়াতে করোনাকালীন ক্ষতি কাটিয়ে উঠে রাঙ্গামাটির পর্যটন শিল্প আবারো ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রাঙ্গামাটির সাধারণ মানুষ।

মন্তব্য করুন: