সোমবার ১৬ জুন ২০২৫, আষাঢ় ২ ১৪৩২, ১৯ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

ব্রেকিং

লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ১৩ জুন তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন: ফখরুল রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হবে কাঁচের মতো স্বচ্ছ ঘর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনের ঘোষিত সময় মাথায় রেখে যথাসময়ে রোডম্যাপ দেবে ইসি: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ছাত্রদল নেতা নাছির উদ্দিন মণিপুরে আবার উত্তেজনা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের চাপে ঢাকার ৪ থানায় সক্রিয় অর্ধশতাধিক অপরাধী দল জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি: সালাহউদ্দিন আহমদ জুলাই সনদ–ঘোষণাপত্র হলে ঘোষিত সময়ে নির্বাচনে আপত্তি নেই: এনসিপি ২৫ কিলোমিটার যানজট, ২৪ ঘণ্টায় পারাপার ৬৪ হাজার যানবাহন বান্দরবানের রুমা ও থানচি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে প্রত্যাহার গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো, জাতিসংঘ নিরাপত্তা গরম মসলার বাজার শীতল: ক্রেতা কমে যাচ্ছে, দাম কিছুটা স্থিতিশীল ঈদে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দই-মিষ্টি মজুত, রংপুরে হিমাগারে অভিযান ও দুই লাখ টাকা জরিমানা বান্দরবানের লামায় পাহাড় ধসের শঙ্কায় ৬০ রিসোর্ট বন্ধ নির্বাচন নিয়ে তরুণদের প্রতি অসত্য অভিযোগ ও বাস্তবতা ভারতের মুসলমানদের কেন বারবার দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে হয় সংবিধান পরিবর্তন ছাড়া ফ্যাসিবাদ বিলোপ সম্ভব নয়: এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক একুশের বন্ধুত্বে আগামীর পথচলা: বার্ষিক সম্মেলনে ২১তম বিসিএস প্রশাসন ফোরাম বিজিএমইএ`র নতুন নেতৃত্বে আসছেন বাবু, নিরঙ্কুশ জয়ের ইঙ্গিত জিলহজ মাসের আমল ও কোরবানির তাৎপর্য চট্টগ্রামে নারীকে লাথির ঘটনায় ভাইরাল আকাশ চৌধুরী বহিষ্কৃত, জামায়াতের বিবৃতি সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেই, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিল পবিস শ্রমিকরা আনচেলত্তির স্বপ্ন - রিয়াল মাদ্রিদের মতো করে খেলাবেন ব্রাজিলকে ডিমের দাম এখনো চড়া, ডজন ১৩০–১৪০ টাকায় বিক্রি বৈরী আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপের সঙ্গে সারাদেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ হারের পর লিটনের মনোভাব - এখনো দুই ম্যাচ বাকি কাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব জুয়েলারি দোকান বন্ধ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করবে ডিএনএ টেস্ট করে নামফলক ও মর্যাদা চায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা বেতন না পেয়ে ডাকাতি, জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ারসহ তিনজন আটক “বাংলাদেশে কৌশলগত স্বার্থ নেই দক্ষিণ কোরিয়ার”—রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক “শাপলার হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই”—হেফাজতের বিবৃতি মির্জা আব্বাস: “করিডর আর স্টারলিংক আনা হচ্ছে আরাকান আর্মির জন্য” জিলহজ মাসের চাঁদ দেখে যে দোয়া পড়বেন নির্বাচনের আগে যতটুকু দরকার, ততটুকুই সংস্কার করতে হবে: মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ‘চিন্তার স্বাধীনতাও হারাচ্ছি?’— নারী কমিশন বিতর্কে গীতিআরার উদ্বেগ ইউক্রেনে রাশিয়ার টানা হামলায় নিহত ১২, কঠোর চাপের আহ্বান জানালেন জেলেনস্কি সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন – তিনটি কঠিন দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট আমরা জুলাই অভ্যুত্থান ক্ষমতার পালাবদল নয়, এটি মৌলিক সংস্কার: নাহিদ হলুদ সাংবাদিকতা’ বিরোধী স্লোগানে উত্তাল শিক্ষক মিছিল ভারতের নিষেধাজ্ঞায় আখাউড়া বন্দর দিয়ে রপ্তানি কমেছে ৪০% বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলছে, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি জাতীয় স্বার্থে অভিমান ভুলে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান : জামায়াত আমির আন্দোলনের পর অবশেষে নিয়োগ পেলেন ৪৩তম বিসিএসের বাদ পড়া ১৬২ জন নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে ইসির সামনে এনসিপির বিক্ষোভ কাল বাংলাদেশে স্টারলিংকের যাত্রা, স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের নতুন যুগ শুরু নরওয়ের দৃঢ় সমর্থন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিগত সরকারের সময় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত, এমন অবস্থা ছিল যে খতিবকেও পালাতে হয়েছিল: বাণিজ্য উপদেষ্টা গায়ের জোরে নগর ভবন দখল করে আন্দোলন চালাচ্ছে বিএনপি আবারও রাজপথে নামার ইঙ্গিত আসিফের, সতর্ক করলেন হাসনাত গোপন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন স্থগিত, ২০ মে আলোচনায় বসবে ঐক্য পরিষদ ভারতের আমদানি নিষেধাজ্ঞা সীমান্ত বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে ভারতের নতুন সিদ্ধান্তে উত্তর-পূর্বাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশি ভোগ্যপণ্য আমদানি বন্ধ গত ৯ মাসে জুলাই-যোদ্ধাদের ওপর ৩৮টি হামলা জবি’র ৪ দফা দাবি মেনে নেওয়ায় আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা ডিবি থেকে মুক্তির পর আন্দোলনে উল্লাস জবি শিক্ষার্থীর গাজা দখলে নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা পুনর্ব্যক্ত করলেন ট্রাম্প শাহরিয়ার হত্যাকাণ্ডে বিচার নিশ্চিতের অঙ্গীকার উপদেষ্টা আসিফের সোনার দাম ভরিতে কমল ৩ হাজার ৪৫২ টাকা, নতুন দর কার্যকর শুক্রবার থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: নিরাপত্তা নিশ্চিতে বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ শ্রীনগরজুড়ে বিস্ফোরণ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওমর আব্দুল্লাহর উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ ‘চলবে’, শনিবার গণজমায়েত ড্রোন যুদ্ধ: ভারত-পাকিস্তান বিরোধের নতুন অধ্যায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আ.লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বেন না আন্দোলনকারীরা ‘আপ বাংলাদেশ’–এর আত্মপ্রকাশ পূর্বঘোষণা ছাড়া ভারত সফরে সৌদি প্রতিমন্ত্রী, পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনায় কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে মার্চের হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের দেশীয় ওষুধ কোম্পানি রেনাটাকে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে আইএফসি তারেক রহমান: সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে সহায়তা করছে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের নির্দেশে ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল ইউটিউবে বন্ধ

ইসলাম

জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ জন সাহাবী

 আপডেট: ২০:৫২, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১

জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ জন সাহাবী

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের বিশেষ দশজন সৌভাগ্যবান সাহাবী ছিলেন, যারা তাদের বিশেষ আমল এবং সীমাহীন ত্যাগের মাধ্যমে পার্থিব জীবনেই লাভ করেছিলেন জান্নাতের সুসংবাদ! রাসূল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বিভিন্ন সময় অনেক সাহাবীকে জান্নাতের সুসংবাদ দিলেও এই ১০ জন সাহাবী-কে একত্রে একই মজলিসে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। সৌভাগ্যবান এই ১০ জন সাহাবী-কে ‘আশারায়ে মুবাশশারাহ’ বা জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশ সাহাবী বলা হয়।

এই ১০ জন সাহাবী-র সংক্ষিপ্ত পরিচিতি নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ

আবু বকর সিদ্দিক (রাযিঃ)
আবু বকর(রাযিঃ)-এর পুরো নাম আবদুল্লাহ বিন আবি কুহাফা। আমরা জানি যে, আবু বকর মূলত তাঁর কুনিয়াত বা উপনাম। এছাড়া খলিফাতুর রাসুল এবং সিদ্দিক নামেও তিনি পরিচিত ছিলেন। ৫৭৩ খ্রিষ্ট্রাব্দে মক্কার কুরাইশ বংশের ‘বনু তাইম’ গোত্রে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

অন্যান্য সকলেরই ইসলাম গ্রহণের পূর্বে কিছুটা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল, কিন্তু আবু বকর(রাযিঃ) বিনা দ্বিধায় ইসলাম গ্রহণ করেন। আবু বকর(রাযিঃ) ছিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সবচেয়ে কাছের সাহাবি এবং ইসলামের প্রথম খলিফা। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে তিনিই প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের সবচেয়ে মহব্বতের স্ত্রী আয়েশা(রাযিঃ)-এর পিতা ছিলেন।

এছাড়া আবু বকর(রাযিঃ) মিরাজের ঘটনা শোনামাত্রই বিশ্বাস করেছিলেন বলে, তাকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম ‘সিদ্দিক’ উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জীবদ্দশায় আবু বকর(রাযিঃ) বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তাবুকের যুদ্ধে তিনি তার সমস্ত সম্পদ দান করে দেন।

৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ২২ আগস্ট ৬১ বছর বয়সে তিনি মদিনায় মৃত্যুবরণ করেন। মসজিদে নববিতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রওজা মোবারকের পাশেই তার সমাধি।

উমর ইবনুল খাত্তাব(রাযিঃ)
উমর(রাযিঃ) ফারুক এবং খেলাফত লাভের পর আমিরুল মুমিনিন নামে পরিচিত ছিলেন। ৫৭৭ খ্রিস্টাব্দে, মক্কার কুরাইশ বংশের ‘বনু আদি’ গোত্রে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

উমর(রাযিঃ) ৬১৬ খ্রিষ্টাব্দে ৩৯ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি প্রধান সাহাবিদের মধ্যে অন্যতম। আবু বকর(রাযিঃ)-এর ইনতেকালের পর তিনি দ্বিতীয় খলিফা হিসেবে নিযুক্ত হন। ইসলামি আইনের একজন অভিজ্ঞ আইনজ্ঞ ছিলেন তিনি। ‘আমিরুল মুমিনিন’ বা ‘বিশ্বাসীদের নেতা’ উপাধিটি সর্বপ্রথম তার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে।

উমর(রাযিঃ)-এর ইসলাম গ্রহণের পর, প্রকাশ্যে কাবার সামনে সালাত আদায় করাতে মুসলিমরা আর বাধার সম্মুখীন হননি। ইসলাম গ্রহণের পর গোপনীয়তা পরিহার করে, প্রকাশ্যে তিনি মুসলিমদের নিয়ে বাইরে আসেন এবং কাবা প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন। সেদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে ‘ফারুক’(সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী) উপাধি দেন। ন্যায়ের পক্ষাবলম্বন করার কারণে তাকে এই উপাধি দেওয়া হয়।

উমর(রাযিঃ) এমন ব্যক্তিত্ব যে, শয়তানও তাকে ভয় পেত। দ্বীনের বিষয়াবলিতে উমর(রাযিঃ) ছিলেন বেশ কঠোর। ৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দের ৩ নভেম্বর মুসলিম জাহানের খলিফা থাকা অবস্থায় ঘাতকের আঘাতে তিনি ইনতিকাল করেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম-এর রওজার পাশে তাকেও সমাহিত করা হয়।

উসমান ইবনে আফফান(রাযিঃ)
উসমান(রাযিঃ) যিননুরাইন (দুই নূরের অধিকারী), আল-গনি (উদার) এবং আমিরুল মু’মিনুন নামে পরিচিত ছিলেন। ৫৭৬ খ্রিষ্টাব্দে কুরাইশ বংশের উমাইয়া গোত্রে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ছিলেন ইসলামের তৃতীয় খলিফা। তিনি সেই ৬ জন সাহাবির মধ্যে অন্যতম, যাদের ওপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক মুহূর্তের জন্যও অসন্তুষ্ট হননি। উসমান(রাযিঃ) ‘রুমা’ নামক কুপ খরিদ করে, মুসলমানদের জন্য ওয়াকফ করেছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন জিহাদে তিনিই সবচেয়ে বেশি দান করতেন। তিনি মসজিদে নববী পূনঃনির্মাণ ও প্রশস্ত করেছিলেন। ৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দে ১৭ জুন ৭৯ বছর বয়সে তিনি কুচক্রীদের হাতে নিহত হন। জান্নাতুল বাকিতে তাঁকে দাফন করা হয়।

আলী ইবনে আবু তালিব(রাযিঃ)
আলী(রাযিঃ) আবুল হাসান, আবু তুরাব, আসাদুল্লাহ নামে পরিচিতি ছিলেন। ৬০০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মক্কার বিখ্যাত ‘হাশেমি’ বংশে জন্মগ্রহণ করেন এবং সম্পর্কে তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের চাচাত ভাই ছিলেন।

যুবকদের মধ্যে আলী(রাযিঃ) প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন অকুতোভয় যোদ্ধা। বদর যুদ্ধে বিশেষ বীরত্বের জন্য রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে ‘জুলফিকার’ নামক তরবারি উপহার দিয়েছিলেন।

খাইবারের সুরক্ষিত ‘কামুস দুর্গ’ জয় করলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে ‘আসাদুল্লাহ’ (আল্লাহর সিংহ) উপাধি দেন। হজরত আলী(রাযিঃ) ছিলেন ইসলামের ৪র্থ খলিফা। বিচার-ফায়সালার ক্ষেত্রে আলী(রাযিঃ) ছিলেন সাহাবাদের মাঝে সবচেয়ে অভিজ্ঞ। নবীজী তাঁকে ‘ইলমের দরজা’ বলেও অভিহিত করেছেন।

তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ(রাযিঃ)
তালহা ইবনে উবাইদিল্লাহ(রাযিঃ)-এর জন্ম ৫৯৪ খ্রিষ্টাব্দে মক্কায়। ৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ৭ ডিসেম্বর মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল ৬২ বছর।

তিনি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একজন ঘনিষ্ঠ সাহাবি ছিলেন। উহুদ যুদ্ধে ও জামালের যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য তিনি অধিক পরিচিত। জঙ্গে জামালে তিনি শাহাদাত বরণ করেন।

যুবাইর ইবনুল আওয়াম(রাযিঃ)
যুবাইর ইবনুল আওয়াম(রাযিঃ)-এর উপাধি ছিল ‘রাসুলের হাওয়ারি(সঙ্গী)’। প্রথম পর্যায়ে ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। তিনি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাওয়ারি ও সার্বক্ষণিক সঙ্গী হওয়া সত্ত্বেও সাবধানতার কারণে খুব কমসংখ্যক হাদিস বর্ণনা করেছেন। দানশীলতা, উদারতা, আমানতদারিতা, পরোপকারিতা ইত্যাদি গুণে তিনি ছিলেন গুণান্বিত।

দুঃসাহসী একজন মর্দে মুজাহিদ ছিলেন যুবাইর(রাযিঃ)। বদর যুদ্ধে তিনি অসীম সাহসিকতার পরিচয় দেন। শত্রুপক্ষের কাছে ‘যুবাইর’ নামটাই ছিল মারাত্মক ত্রাস সৃষ্টিকারী। তিনি যে সব যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন সে সব ক্ষেত্রে শত্রুদের প্রতিরক্ষা ব্যূহ ভেঙে তছনছ করে দিয়েছেন।

যুবাইর(রাযিঃ)-এর শাহাদাতের সনটি ছিল ৩৬ হিজরী। শাহাদাতের পর তার লাশ ‘সিবা’ উপত্যকায় দাফন করা হয়।

আবদুর রহমান ইবনে আউফ(রাযিঃ)
তার মূল নাম ছিল ‘আবদুল আমর’ বা ‘আবদুল কাবা’। ইসলাম গ্রহণের পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম তার নাম রাখেন ‘আবদুর রহমান’। আনুমানিক ৫৮০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন।

আবদুর রহমান ইবনে আউফ(রাযিঃ) ইসলাম গ্রহণকারী প্রথম ৮ জন ব্যক্তির মধ্যে অন্যতম।

আবদুর রহমান(রাযিঃ)-এর বিচক্ষণতার কারণে অনেক বড় বড় দুর্ঘটনা থেকে মুসলিম সমাজ রক্ষা পেয়েছে। যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছে। তিনি মদিনাবাসীর জন্য প্রচুর খরচ করতেন। অনেক ধনী ব্যবসায়ী হওয়া সত্ত্বেও তিনি ছিলেন দুনিয়া বিরাগী এবং অত্যন্ত ধৈর্যশীল ব্যক্তি।

তিনি ৩৩ হিজরি মোতাবেক ৬৫৩-৬৫৪ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। বর্তমান জর্ডানের আম্মানে তাকে দাফন করা হয়।

সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস(রাযিঃ)
সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস(রাযিঃ)-এর ডাকনাম আবু ইসহাক। আনুমানিক ৫৯৫ খ্রিষ্টাব্দে মক্কায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে ১৭তম ব্যক্তি।

৬৩৬ খ্রিষ্টাব্দে পারস্য বিজয়ের নেতৃত্ব ও শাসনের জন্য তিনি অধিক পরিচিত। ৬১৬ ও ৬৫১ খ্রিষ্টাব্দে তাকে কুটনৈতিক দায়িত্ব দিয়ে চীন পাঠানো হয়েছিল।

বদরের যুদ্ধে হজরত সা’দ(রাযিঃ) অসম্ভব সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেন। উহুদের যুদ্ধের বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতেও যে সমস্ত সৈনিক সাহাবা নবীজিকে হেফাজত করার জন্য তাকে ঘিরে ব্যূহ রচনা করেছিলেন, নিজেদের জানকে বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন, সা’দ(রাযিঃ) ছিলেন তাদেরই একজন। তাকে উহুদ যুদ্ধের বাঘও বলা হয়ে থাকে।

বিলাল(রাযিঃ)-এর অনুপস্থিতিতে তিনি ৩ বার আজান দেওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন। তিনি প্রথম সৌভাগ্যবান, যিনি আল্লাহর রাস্তায় তীর চালিয়েছেন। আনুমানিক ৬৭৪ খ্রিস্টাব্দে ৮৫ বছর বয়সে মদিনা থেকে দশমাইল দূরবর্তী আকিক উপত্যকায় তিনি ইন্তেকাল করেন।

সাঈদ ইবনে যায়িদ(রাযিঃ)
সাঈদ ইবনে যায়িদ(রাযিঃ)-এর ডাকনাম ‘আবুল আওয়ার’। ৫৯৩ খ্রিষ্টাব্দ মতান্তরে ৫৯৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন।

ইসলাম প্রচারের প্রথম ভাগে যারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন, সাঈদ ইবনে যায়িদ(রাযিঃ) তাদেরই একজন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র বিশ বছর। ইসলাম গ্রহণের পূর্বেও তিনি ছিলেন হানিফ অর্থাৎ তৎকালীন পৌত্তলিকতা থেকে বিরত থাকা।

সাঈদ ইবনে যায়িদ(রাযিঃ) ছিলেন বীর মুজাহিদ। তিনি ছিলেন ‘মুসতাজাবুদ দা’ওয়াহ’ অর্থাৎ তিনি দোয়া করলে, মহান আল্লাহ্ অবশ্যই কবুলই করতেন। ৬৭৩ খ্রিষ্টাব্দের আগস্টে প্রায় ৮০ বছর বয়সে সৌদি আরবের মদিনায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ(রাযিঃ)
আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ(রাযিঃ) তার বাবা আবদুল্লাহ’র নামে পরিচিত না হয়ে, দাদার নামে অর্থাৎ ইবনুল জাররাহ নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেন। তাকে বলা হয় আমিনুল উম্মাহ বা উম্মাহর তত্ত্বাবধায়ক। আনুমানিক ৫৮১ খ্রিষ্টাব্দে মক্কায় কুরাইশের বনু আল হারিস ইবনে ফিহর গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাহাবীদের মধ্যে অত্যন্ত মর্যাদাবান ছিলেন। উমর(রাযিঃ)-এর খেলাফতকালে প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল