হাদি হত্যা: সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে, জানতে চায় ইনকিলাব মঞ্চ
আততায়ীর গুলিতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদি নিহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান অনুপ্রাণিত সাংস্কৃতিক প্লাটফর্মটি রোববার বিকাল ৪টায় ফেইসবুক পোস্টে বলেছে, “আজকের সংবাদ সম্মেলনে যথোপযুক্ত ব্যাখ্যা প্রদানে ব্যর্থ হলে ব্যর্থতার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সহকারী উপদেষ্টা উভয়কে পদত্যাগ করতে হবে।”
এ পোস্টে তারা দুই দফা দাবি জানিয়েছে—
১. খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, খুনের সহায়তাকারী, পলায়নে সহযোগী, আশ্রয়দাতাসহ পুরো খুনি চক্রকে অতি দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। ১২ ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত বিচারের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সরকারের তরফ থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও সহকারী উপদেষ্টা খোদা বকসকে জাতির সামনে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
২. গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা ‘ফ্যাসিস্টের দোসরদের’ চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
এ দিনই বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেখানে অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ ও দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে ব্রিফ করার কথা রয়েছে।
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে রিকশায় করে যাওয়ার সময় ওসমান হাদির উপর আক্রমণ হয়। ওই সময় মোটরসাইকেলে করে এসে দুজন তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার চিকিৎসা চলে।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়েছিল; সেখানেই বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়। শনিবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে তাকে কবি নজরুল ইসলামের সমাধি প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়েছে।