এ আঘাত কেবল দুটো সংবাদমাধ্যমের ওপর নয়: শশী থারুর
বাংলাদেশে শীর্ষস্থানীয় দুটি সংবাদমাধ্যমের দপ্তরে ‘মব হামলার’ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমানে কংগ্রেস–দলীয় লোকসভার সদস্য শশী থারুর।
শনিবার এক এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশ থেকে যে খবর আসছে, তাতে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে পরিকল্পিত মব হামলা এবং অগ্নিসংযোগ কেবল দুটো সংবাদমাধ্যমের ওপর আঘাত নয়; বরং এটা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং বহুত্ববাদী সমাজের ভিত্তির ওপর চরম আঘাত।”
ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম ও অন্যান্য ‘সাহসী সাংবাদিকদের’ নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন শশী থারুর।
বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্ববায়ক শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে কারওয়ান বাজারে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ও দৈনিক প্রথম আলোর কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয়।
পরে ধানমন্ডিতে ছায়ানট ভবনেও হামলা হয়। সেখানেও ভাঙচুর-লুটপাট চালিয়ে আগুন দেওয়া হয়। এছাড়া চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা সেন্টারের বাইরে বিক্ষোভ থেকে ঢিল ছোড়া হয়।
সে প্রসঙ্গ ধরে শশী থারুর বলেন, “ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাঝুঁকির মুখে খুলনা ও রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনের ভিসা পরিষেবা স্থগিত করতে বাধ্য হওয়া একটি বড় ধাক্কা। এটা সরাসরি শিক্ষার্থী, রোগী ও সাধারণ পরিবারগুলোকে বিপত্তিতে ফেলেছে, যারা আন্তঃসীমান্ত যাতায়াত স্বাভাবিক হওয়ার আশা দেখছিলেন।”
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সংঘাত ও অসহিষ্ণুতার এমন পরিবেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ‘অশুভ ইঙ্গিত’ বলে মনে করেন শশী থারুর।
একটি ‘স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ’ বাংলাদেশের জন্য অন্তর্বতী সরকারকে সাংবাদিকদের সুরক্ষা, কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা এবং শান্তি ফিরিয়ে আনার মত বিষয়গুলো নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শশী থারুর লিখেছেন, “বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা পুরো অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রত্যাশা করি, শান্তি ফিরে আসবে এবং এমন নিরাপদ পরিবেশ তৈরি হবে, যেখানে সহিংসতা বা হুমকির মধ্যে নয়, জনগণের প্রতিফলিত হবে কণ্ঠ ব্যালটের মাধ্যমে।”