রোববার ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, পৌষ ৭ ১৪৩২, ০১ রজব ১৪৪৭

ব্রেকিং

হাদির খুনি দেশের বাইরে চলে যাওয়ার নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই: পুলিশ হাইকমিশনে বিক্ষোভের ঘটনায় দিল্লির বক্তব্য প্রত্যাখ্যান ঢাকার হাদি হত্যা: সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে, জানতে চায় ইনকিলাব মঞ্চ হাদি হত্যা: সিবিউন ও সঞ্জয় ফের ৫ দিনের রিমান্ডে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, বিঘ্নিত করলে কঠোর ব্যবস্থা: ইসি বগুড়ায় খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ মগবাজারে ‘বাসি খাবার’ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যু আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে ইসির বৈঠক রাবির আওয়ামীপন্থি ৬ ডিনের পদত্যাগের দাবিতে চেম্বারে তালা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে গণতন্ত্রের খুঁটিটা যেন মজবুত হয়: সালাহউদ্দিন ফেরি থেকে ট্রাকসহ পাঁচ যান ধলেশ্বরীতে: ৩ জনের মৃত্যু ছায়ানটে হামলার ঘটনায় মামলা, আসামি সাড়ে তিনশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের জানাজা অনুষ্ঠিত হাদির সমাধিস্থল নিয়ে ছড়ানো ছবি বানোয়াট-উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গাজার ধ্বংসস্তূপে একদিনে মিলল ৯৪ জনের দেহাবশেষ ভেনেজুয়েলা উপকূলে দ্বিতীয় তেল ট্যাঙ্কার জব্দ যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ অবসানের দায় ইউক্রেন ও এর মিত্রদের : পুতিন পশ্চিম তীরে দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যার দাবি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মাখোঁর সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত পুতিন

শিশু

হিমেল বাতাসে কুড়িগ্রামের চরবাসীদের ভোগান্তি

 প্রকাশিত: ১৯:৪৩, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

হিমেল বাতাসে কুড়িগ্রামের চরবাসীদের ভোগান্তি

কুড়িগ্রামে জেলাজুড়ে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও উত্তরের হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন নাকাল হয়ে পড়েছে। রাতভর বৃষ্টির মতো শিশির পড়ছে, ভোরে কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে শহর, চর ও গ্রামাঞ্চল।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, আজ রোববার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ। কুয়াশার ঘনত্ব ও ঠান্ডা বাতাসের দাপটে জেলার চরাঞ্চলগুলোতে শীতের অনুভূতি কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।

১৬টি নদ-নদীর তীরবর্তী সাড়ে আটশ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত কুড়িগ্রামের ৪৬৯টি চরের মধ্যে ২৬৯টিতে মানুষের বসবাস। এসব চরে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল। শীতপ্রবণ এসব চরাঞ্চলে হিমেল বাতাসে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন মানুষজন। 

বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর ও নাগেশ্বরী এবং তিস্তা অববাহিকার রাজারহাট উপজেলার চরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কালীর আলগা চরের ওয়ার্ড মেম্বার হোসেন আলী জানান, তার চরে প্রায় তিন হাজার মানুষের বসবাস। বৃদ্ধ ও শিশুসহ অন্তত পাঁচ শতাধিক মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। শীতার্ত মানুষ প্রতিদিন তার বাড়িতে এসে ভিড় করছেন শীতবস্ত্রের জন্য।

তিনি বলেন, লিস্ট করেছি, কম্বল পেয়ে যাবেন—এই আশ্বাসই দিতে হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো শীতবস্ত্র পাওয়া যায়নি।

শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন বৃদ্ধ, শিশু ও দিনমজুররা। অনেক দিনমজুর অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে কাজে যেতে পারছেন না। ফলে আয় বন্ধ হয়ে চরম দুর্ভোগে দিন কাটছে তাদের।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আগামীতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে, ফলে শীতের মাত্রা তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা চর উন্নয়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু বলেন, জেলায় প্রায় ২৩ লাখ ২৯ হাজার মানুষের বসবাস, যার মধ্যে ৭০ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। সে হিসেবে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ ৪৯ হাজার। 

তিনি বলেন, বেশিরভাগ দরিদ্র মানুষই চরে বসবাস করে। দুর্গম চরাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় চরবাসীদের খবর অনেক সময়ই কেউ রাখে না। জেলা প্রশাসকের কাছে আমাদের দাবি, শীতবস্ত্র বিতরণ যেন ফটোসেশনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে, সত্যিকার অর্থে শীতার্ত মানুষ যেন তা পায়।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, জেলার ৯ উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিগগির শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বলসহ শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হবে।

এদিকে শীতের তীব্রতা আরও বাড়লে চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে শীতবস্ত্র বিতরণের দাবি উঠেছে জেলার সর্বস্তরে।