হাদি হত্যা: সিবিউন ও সঞ্জয় ফের ৫ দিনের রিমান্ডে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার মামলায় সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমকে ফের জিজ্ঞাসাবাদে পাঁচ দিন হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম মো. সেফাতুল্লাহ তাদের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন।
তিন দিনের রিমান্ড শেষে রোববার তাদের আদালতে হাজির করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের মতিঝিল আঞ্চলিক টিমের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তাদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। পরে আদালত তাদের রিমান্ডের আদেশ দেয়।
জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী হাদি খুব কাছ থেকে আততায়ীর গুলিতে গুরুতর আহত হন গত ১২ ডিসেম্বর। ঢাকা ও সিঙ্গাপুরে সপ্তাহখানেক চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।
হাদিকে গুলির তিন দিন পর ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্ত থেকে সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমকে আটক করে বিজিবি। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির করা হয়। এ দিন তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বিচারক তাদের তিন দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেই রিমান্ড শেষে রোববার আবারও তাদের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা এ রিমান্ড আবেদনে বলেন, সীমান্ত পারাপার চক্রের ‘হোতা’ ফিলিপ নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে সিবিউন ও সঞ্জয় কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। ফিলিপের অবস্থান শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে এ আসামিদের পুনরায় ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। আসামিদের পালানোতে ফিলিপ ছাড়াও অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। ফিলিপের সঙ্গে কে বা কারা যোগাযোগ করেছে, তা জানার জন্যও পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।
হাদি হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের বাবা মো. হুমায়ুন কবির ও মা মোসা. হাসি বেগম, স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু, রেন্ট-এ কার ব্যবসায়ী মো. মুফতি নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বল, ফয়সালের সহযোগী মো. কবির। এর মধ্যে হুমায়ুন ও হাসি দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। রিমান্ড শেষে নুরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিরা রিমান্ডে রয়েছেন।