বুধবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, পৌষ ৩ ১৪৩২, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

বিদেশে শ্রমশক্তি রপ্তানিতে বড় বাধা দালাল চক্র: প্রধান উপদেষ্টা ‘গুম, হত্যা’: জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পশ্চিম তীরে কানাডীয় এমপিদের প্রবেশে বাধা দিল ইসরাইল ইরানকে পরমাণু কর্মসূচিতে ফেরার সুযোগ না দিতে হবে: মোসাদ প্রধান লন্ডনে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে তারেকের ‘বিদায়ী ভাষণ’, চাইলেন ঐক্য হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের মা-বাবা গ্রেপ্তার নাছোড় বিএনপির ‘বঞ্চিতরা’, রাজশাহীর ৩ আসন ‘উত্তপ্ত’ পোস্টাল ভোট: নিবন্ধন ছাড়াল ৪ লাখ ৫৭ হাজার আরেকটু হলেই চীনা স্যাটেলাইটের সঙ্গে ধাক্কা খেত স্টারলিংক ফিলিস্তিনসহ ৭ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

ইসলাম

একটি ভিত্তিহীন কিসসা উম্মুল মুমিনীন খাদিজা রা.-এর কবরের সওয়ালের জবাব আল্লাহ নিজে দিয়ে দেবেন

 প্রকাশিত: ১৭:১৫, ২৬ অক্টোবর ২০২২

একটি ভিত্তিহীন কিসসা উম্মুল মুমিনীন খাদিজা রা.-এর কবরের সওয়ালের জবাব আল্লাহ নিজে দিয়ে দেবেন

কোনো কোনো অসতর্ক বক্তাকে বলতে শোনা যায়, যখন খাদিজা রা. ইন্তেকাল করলেন, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাফন শেষ করে খাদিজা রা.-এর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেন। আবু বকর রা. নবীজীকে আসতে বললে নবীজী বললেন, খাদিজা কবরের তিন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া পর্যন্ত আমি এখান থেকে যাব না। সে যদি উত্তর দিতে না পারে তাহলে আমি তার পক্ষ থেকে উত্তর দিয়ে দিব।

একথা শুনে আল্লাহ জিবরীল আমীনকে পাঠিয়ে দেন। জিবরীল আমীন বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ বলেছেন, খাদিজা যদি কবরের সওয়ালের জবাব দিতে না পারে স্বয়ং আমি আল্লাহ তার কবরের সওয়ালের জবাব দিয়ে দিব।

কেউ আবার কিসসাটি এভাবেও বলে-

খাদিজা রা. ইন্তেকালের পূর্বে নবীজীকে বলে যান, আমাকে কবরে নামিয়ে দিয়ে আমার সওয়াল-জবাব শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনি কবরের পাশেই থাকবেন। আমাকে একা ফেলে যাবেন না।...

দাফন শেষ করে নবীজী অশ্রুসজল চোখে কবরের পাশে দাঁড়িয়ে রইলেন। হাবীবের এমন বিমর্ষ মানসিক অবস্থা দেখে মহান আল্লাহ ফেরেশতা জিবরাইল আ.-কে পাঠালেন।

জিবরাইল আ. এসে সালাম দিয়ে জানতে চাইলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি এভাবে আপনার স্ত্রীর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন কেন? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে জিবরাইল, আমি প্রিয়তমা স্ত্রীকে কথা দিয়েছি, তাঁর সওয়াল-জবাব শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি এখান থেকে নড়ব না।

জিবরাইল আ. বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আপনি জেনে রাখুন, আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন, খাদিজা রা.-কে করা মুনকার-নাকীরের সওয়ালের জবাব আল্লাহ আরশে আজীম থেকে নিজেই দিয়ে দেবেন!

এটি একটি বানোয়াট কিসসা; নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রে তা পাওয়া যায় না।

খাদিজা রা.-এর ফযীলত বর্ণনা করার জন্য এজাতীয় বানোয়াট কিসসার কোনো প্রয়োজন নেই। সহীহ হাদীসেই খাদিজা রা.-এর ফযীলত সংক্রান্ত অনেক বর্ণনা রয়েছে। খাদিজা রা.-কে আল্লাহ জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। আবু হুরাইরা রা. বলেন, একদিন জিবরীল আ. নবীজীর কাছে এলেন এবং বললেন-

يَا رَسُولَ اللهِ! هَذِهِ خَدِيجَةُ قَدْ أَتَتْ، مَعَهَا إِنَاءٌ فِيهِ إِدَامٌ، أَوْ طَعَامٌ أَوْ شَرَابٌ، فَإِذَا هِيَ أَتَتْكَ فَاقْرَأْ عَلَيْهَا السّلاَمَ مِنْ رَبِّهَا وَمِنِّي، وَبَشِّرْهَا بِبَيْتٍ فِي الجَنّةِ مِنْ قَصَبٍ، لاَ صَخَبَ فِيهِ، وَلاَ نَصَبَ.

আল্লাহর রাসূল! ওই যে খাদিজা একটি পাত্রে তরকারি অথবা খাবার বা পানি নিয়ে আপনার কাছে আসছে। যখন সে আসবে আপনি তাঁকে তাঁর রবের পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ থেকে সালাম বলবেন এবং তাঁকে জান্নাতে একটি মুক্তা-প্রাসাদের সুসংবাদ দেবেন; যেখানে না আছে কোনো শোরগোল, না আছে কষ্ট-ক্লান্তি। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৩৮২০