মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, পৌষ ২ ১৪৩২, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

আমাদের তরুণদের রক্ষা করুন, জাতির ‍উদ্দেশে ভাষণে ইউনূস খালেদা জিয়া ইতিহাসের ‘গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ’: ইউনূস হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের সহযোগী কবির ৭ দিনের রিমান্ডে জামায়াত মুক্তিযুদ্ধ নয়, ভারতের বিরুদ্ধে ছিল: আমির হামজা নারায়ণগঞ্জে ‘নিরাপত্তা শঙ্কায়’ ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা বিএনপি প্রার্থীর একাত্তর ও চব্বিশের দালালদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আছি: নাহিদ স্বাধীনতার শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়: ফখরুল প্রশান্ত মহাসাগরে মাদকবাহী জাহাজে মার্কিন হামলায় ৮ নিহত ‘ঘৃণার প্রতীক’ পাকিস্তানের পতাকা আঁকা নিয়ে জবিতে তুলকালাম বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টা মহান বিজয় দিবস আজ ওসমান হাদিকে গুলি: শ্যুটার ফয়সালের সহযোগী গ্রেপ্তার বিবিসির বিরুদ্ধে ১০ বিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা ট্রাম্পের

জাতীয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আবেদন

 আপডেট: ১১:০১, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আবেদন

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে এক দোকান মালিকের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করার আবেদন হয়েছে আদালতে।

গুলিতে নিহত মুদি দোকানের মালিক আবু সাঈদের ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’ এস এম আমীর হামজা (শাতিল) মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

শেখ হাসিনা ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. হারুন অর রশীদ এবং যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারকে আসামি করা হয়েছে মামলার আর্জিতে।

পাশাপাশি পুলিশের অজ্ঞাতনামা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মকর্তাদের এ মামলায় আসামি করার আবেদন করেছেন মামলার বাদী।

এ মামলা গ্রহণ করা হবে কি না, সে বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে শুনানি হবে মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে।

সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলন অগাস্টের শুরুতে সরকার পতনের আন্দোলনে পরিণত হয়। জেলায় জেলায় সহিংসতায় মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রায় তিনশ মানুষের প্রাণ যায়।

৫ অগাস্ট আন্দোলনারীদের ঢাকামুখী লংমার্চের মধ্যে শেখ হাসিনার পদত্যাগ করেন এবং পালিয়ে ভারতে চলে যান। এরপর তার বিরুদ্ধে এটাই প্রথম মামলার উদ্যোগ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই বিকাল ৪টার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালালে আবু সাঈদ নিহত হন।

বাদী আমীর হামজা বলছেন, নিহত সাঈদ তার ঘনিষ্ঠ কেউ না হলেও বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে তিনি স্বেচ্ছায় এ মামলা দায়ের করেছেন।

সাঈদের পরিবার থাকে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায়। মামলা দায়ের করার মত অবস্থা তাদের নেই বলেও আমীর হামজার ভাষ্য।