বৃহস্পতিবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩২, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

প্রাথমিক শিক্ষকরা কাজে না ফিরলে আইনি ব্যবস্থা ট্রাইব্যুনালের তলবে হাজির হয়ে ক্ষমা চাইলেন জেড আই খান পান্না ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৯০ শীতের ছুটিও বহাল, ঢাবি খুলবে ২৮ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচারকারী যে কোনও দেশে হামলার হুমকি ট্রাম্পের ১৯ দেশের নাগরিকদের অভিবাসন আবেদন স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের চিকিৎসক ঢাকায় ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক: ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ও শপথ নিয়ে আদেশ বৃহস্পতিবার আজ থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন দুই ব্যালটে মক ভোটিংয়ে গড়ে ৩.৫২ মিনিট সময় নিয়েছেন একজন ভোটার ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭১২

ইসলাম

পর পর তিন জুমা নামাজ না পড়লে যা হয়

 প্রকাশিত: ১০:২৪, ৫ আগস্ট ২০২২

পর পর তিন জুমা নামাজ না পড়লে যা হয়

জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে। জুমার গুরুত্ব আল্লাহ তায়ালার কাছে এত বেশি যে, কোরআনে ‘জুমা’ নামে একটি স্বতন্ত্র সূরা নাজিল করা হয়েছে।

আল্লাহ তা'আলা কোরআনে ইরশাদ করেন, হে মুমিনগণ! জুমার দিন যখন নামাজের আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে (মসজিদে) এগিয়ে যাও এবং বেচা-কেনা (দুনিয়াবি যাবতীয় কাজকর্ম ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর; যদি তোমরা জানতে। (সূরা জুমা- ০৯)।

খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতময় সত্ত্বেও অনেকে জুমার নামাজে অবহেলা করে। অযথা ও বিনা কারণে কখনও জুমার নামাজ না পড়া ঠিক নয়। এ ব্যাপারে শরিয়তে কঠোর সতর্কবাণী এসেছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত পর পর তিন জুমা পরিত্যাগ করে, আল্লাহতায়ালা তার অন্তরে মোহর এঁটে দেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১০৫২; তিরমিজি, হাদিস : ৫০২; মুসলিম, হাদিস : ১৯৯৯)

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পর পর তিনটি জুমা পরিত্যাগ করবে, সে ইসলামকে পেছনের দিকে নিক্ষেপ করল। (মুসলিম)।

তবে অপর এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, চার শ্রেণির লোক ব্যতীত জুমার নামাজ ত্যাগ করা কবিরা গোনাহ। চার শ্রেণির লোক হলো- ক্রীতদাস, স্ত্রীলোক, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক, মুসাফির ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। (আবু দাউদ)।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন মসজিদে কথাবার্তা বলে, অথচ ইমাম সে সময় খুতবাহ দিচ্ছে- এ ব্যক্তি গাধার মতো; যে শুধু বোঝা টানে (অথচ তা থেকে উপকৃত হতে পারে না)। আর যে লোক তাকে ‘চুপ করুন’ তার জন্যও জুমা নেই (অর্থাৎ তার জুমাও হয়নি অথবা জুমার উদ্দেশ্য সফল হয়নি। কারণ সে নিজেও চুপ থাকেনি)।’ (মুসনাদে আহমাদ, মিশকাত)