সোমবার ২০ অক্টোবর ২০২৫, কার্তিক ৫ ১৪৩২, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

নির্বাচন নিয়ে `সংশয়` দেখছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ডেঙ্গু: অক্টোবরে মৃত্যু ৫০ ছাড়াল আতিউর-বারাকাতসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য দেশে নিরাপদ পরিবেশ বিদ্যমান: ইসি সচিব এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মূল্যায়ন করবে বিএনপি: এ্যানি ভোটের মাঠে ৮ দিন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী রাখার প্রস্তাব চার কারণে নির্বাচনে ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ইসির ‘জুলাই সনদ’-এর প্রশংসা কানাডার, গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ৯৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল বলিভিয়ায় ২০ বছরের বামপন্থি শাসনের অবসান, নতুন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপ হবে সাগরে, চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টির আভাস

ইসলাম

ইসলাম স্বামীহারা নারীদের মানবিক সম্মান ও অধিকার দিয়েছে

 প্রকাশিত: ১২:২৬, ২৩ জানুয়ারি ২০২২

ইসলাম স্বামীহারা নারীদের মানবিক সম্মান ও অধিকার দিয়েছে

ইসলামপূর্ব জাহেলি সমাজে বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত নারীরা বিভিন্ন অবিচার ও বৈষম্যের শিকার ছিল। কিন্তু ইসলাম স্বামীহারা নারীদের মানবিক সম্মান ও অধিকার দিয়েছে। মহানবী (সা.) বিধবা নারীদের সামাজিক ও ধর্মীয় সম্মান প্রতিষ্ঠা করেছেন।

তবে বিধবা নারীর সম্মানজনক জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সব অধিকার দিয়েছে ইসলাম। বিধবাকে দেওয়া ইসলামের প্রধান প্রধান অধিকারগুলো হলো—

এক. সম্পদের উত্তরাধিকার

ইসলাম বিধবা নারীকে স্বামীর সম্পদের উত্তরাধিকারী করেছে। বিধবা নারী সন্তান ও সন্তানের সন্তানের সঙ্গে স্বামীর সম্পদের এক-অষ্টমাংশের মালিক হয় আর সন্তান ও সন্তানের সন্তান না থাকলে এক-চতুর্থাংশের মালিক হয়।

বিধবা স্ত্রী সন্তানহীন হলে অথবা অন্যত্র বিয়ে করলেও সে মৃত স্বামীর সম্পদের উত্তরাধিকারী হবে, যদিও বিষয়টি নিয়ে সমাজে কুসংস্কার রয়েছে।

দুই. সামাজিক অধিকার ও মর্যাদা

মহানবী (সা.) একাধিক বিধবা নারীকে বিয়ে করে তাদের প্রতি সামাজিক অবহেলা ও অবজ্ঞার পথ বন্ধ করেছেন এবং তিনি বিধবার প্রতি সদয় আচরণ করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, ‘বিধবা ও মিসকিনের জন্য খাদ্য জোগাড়ে চেষ্টারত ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর মতো অথবা রাতে সালাতে দণ্ডায়মান ও দিনে সিয়ামকারীর মতো।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৩৫৩)

তিন. বিয়ে ও নতুন জীবন

ইসলাম বিধবা নারীকে শুধু বিয়ের অনুমতি দেয়নি; বরং উৎসাহিত করেছে। স্বামীর মৃত্যু বা তালাকপ্রাপ্ত হওয়ার পর নির্ধারিত সময় ইদ্দত পালন করার পর বিধবা নিজের পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো পুরুষকে বিয়ে করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে কেউ তাকে বাধ্য করতে বা বাধা দিতে পারবে না।

চার. সন্তানের দায়িত্ব শুধু বিধবা নারীর নয়

সাধারণত সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে বিধবা নারী তার জীবন ও যৌবন বিসর্জন দেয় অথবা সন্তানের দোহাই দিয়ে তাকে দ্বিতীয় বিয়ে থেকে বিরত রাখা হয়। ইসলাম বিধবা নারীকে সন্তানের ‘একক দায়’ থেকে মুক্তি দিয়েছে। ইসলামী শরিয়ত মতে, সম্পদ ও ব্যয় নির্বাহের ক্ষেত্রে পিতার অবর্তমানে দাদা সন্তানের অভিভাবক এবং তার অবর্তমানে ইসলামী রাষ্ট্রের বিচারক অভিভাবক নির্ধারণ করে দেবে। অবশ্য মা সন্তান প্রতিপালন করবে যতক্ষণ না সে অন্যত্র বিয়ে করে।