নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধনী প্রকাশ করলো নির্বাচন কমিশন
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, এর ধারা ৯১(খ) তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, নির্বাচন কমিশন ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫’ এর কিছু বিষয় সংশোধন করেছে।
বিদ্যমান বিধিমালার বিধি ৪ এর উপ-বিধি (৩) তে উল্লেখ আছে যে, ‘কোনো প্রার্থী নির্বাচন পূর্ব সময়ে কোনো সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচন করা যাইবে না।’
নতুন সংশোধনীতে এখানে 'করা যাইবে না' শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘করিতে পারিবেন না’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে।
সেইসঙ্গে, বিধি ৬-এর (আ) দফা (খ) এর পরিবর্তে ‘নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পূর্বে রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী কর্তৃক যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট নির্বাচনী প্রচারণা কর্মসূচির প্রস্তাব প্রদান করিতে হইবে এবং একই স্থানে ও একই সময়ে একাধিক দল বা প্রার্থীর নির্বাচনি প্রচারণা কর্মসূচির ক্ষেত্রে, প্রয়োজনে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উহার সমন্বয় করিবে’ - দফাটি প্রতিস্থাপিত হবে।
নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী জনসভা করতে চাইলে প্রস্তাবিত সভার কমপক্ষে চব্বিশ ঘণ্টা আগে জনসভার স্থান এবং সময় সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষ উক্ত স্থানে চলাচল ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সেইসঙ্গে, এ সংশোধনী অনুযায়ী কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ফেস্টুন, ব্যানার ও বিলবোর্ড এর উপর অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ফেস্টুন, ব্যানার ও বিলবোর্ড টাঙানো যাবে না, এবং উক্ত ফেস্টুন, ব্যানার ও বিলবোর্ড এর কোনো প্রকার ক্ষতিসাধন তথা বিকৃতি বা বিনষ্ট করা যাবে না।
এতে আরও বলা হয়েছে, সংসদীয় আসনের প্রত্যেক ইউনিয়ন বা পৌরসভা বা মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে ওয়ার্ড প্রতি একটি অথবা সমগ্র নির্বাচনি এলাকায় ২০ টির অতিরিক্ত বিলবোর্ড ব্যবহার করা যাবে না।
কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো নির্বাচনী এলাকার একক কোনো জনসভায় একইসঙ্গে ৩ টির অধিক মাইক্রোফোন বা লাউড স্পিকার ব্যবহার করতে পারবেন না, তবে সাধারণ প্রচারণার জন্য ব্যবহৃত মাইক্রোফোন বা লাউড স্পিকার ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না।
এতে আরো বলা হয়েছে, এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে।