মঙ্গলবার ১৮ নভেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩২, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার নয়: এনসিএসএ

 প্রকাশিত: ১১:০২, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার নয়: এনসিএসএ

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ করেছে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ)। তা না হলে ‘আইনগত ব্যবস্থা’ নেওয়ার কথা বলেছে সংস্থাটি।

সোমবার রাতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনসিএসএর অনুরোধের বিষয়টি জানানো হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর সাইবার সুরক্ষা এজেন্সির এ বিজ্ঞপ্তি এল।

এতে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর বিভিন্ন ধারা বর্ণনা করে এমন বক্তব্য প্রচার অধ্যাদেশের ‘নিয়মের পরিপন্থি’ বলে তুলে ধরা হয়।

এতে বলা হয়, “এনসিএসএ অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, দেশে কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল দণ্ডপ্রাপ্ত এবং পলাতক আসামি শেখ হাসিনার বক্তব্য ও বিবৃতি প্রচার করছে। প্রচারিত এসব বক্তব্যে সামাজিক স্থিতিশীলতা (সোশ্যাল হারমনি) বিঘ্নিত করার পাশাপাশি সরাসরি সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ সৃষ্টির আহ্বান বা নির্দেশনা রয়েছে।

“দণ্ডপ্রাপ্ত এবং পলাতক আসামিদের বক্তব্য প্রচার সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর নিয়মাবলীর পরিপন্থি। বিশেষত, অধ্যাদেশের ধারা ৮(২) অনুযায়ী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন তথ্য, যেগুলি দেশের অখণ্ডতা, নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে, জাতিগত/ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ায় কিংবা সহিংসতার আহ্বান জানায়, সেসব তথ্য অপসারণ বা ব্লক করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।”

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আরো স্পষ্টভাবে, অধ্যাদেশের ধারা ২৬ (১) অনুযায়ী, ‘ছদ্ম পরিচয়’ বা অবৈধ প্রবেশের মাধ্যমে যদি কেউ ঘৃণা, জাতিগত বিদ্বেষ বা সহিংসতা প্ররোচনাকারী বক্তব্য প্রকাশ বা প্রচার করেন, তা অপরাধ এবং দণ্ডনীয়।”

এজন্য ধারা ২৬ (২) অনুযায়ী, সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা যেতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরা হয়।

এতে বলা হয়, “এনসিএসএ সাংবাদিকতা ও অভিব্যক্তির স্বাধীনতাকে সম্মান করে। তাই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা, অপরাধমূলক, উসকানিমূলক বা আহ্বানমূলক যেকোনো বিবৃতি প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে এবং আইনি দায়বদ্ধতা বিবেচনায় রাখতে গণমাধ্যমকে অনুরোধ করা হয়েছে।”