শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, বৈশাখ ২৬ ১৪৩২, ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রেকিং

আইভীর বাড়িতে পুলিশ, অনুসারীদের জটলা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের পরবর্তী ধাপের আলোচনার কর্মপরিকল্পনা দ্রুত চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের সাফল্য চাই: মির্জা ফখরুল তথ্যযুদ্ধ: কতটা সত্যি বলছে ভারত ও পাকিস্তান? ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে এরপর কী? পাকিস্তান ভারত সীমান্তে উত্তেজনার নতুন অধ্যায়: ক্ষেপণাস্ত্র, হামলা ও তথ্যযুদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে: আসিফ মাহমুদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে নেতৃত্ব পরিবর্তন: স্নিগ্ধর পদত্যাগ আবদুল হামিদের দেশত্যাগে জড়িতদের ধরা হবে, না হলে আমিই চলে যাব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকার সংবাদপত্রের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে চায় : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা প্রথম আমেরিকান পোপ হলেন রবার্ট প্রিভোস্ট ২০২৫: টেকনোলজির ঝড় উঠছে! ভারত-পাকিস্তানে যুদ্ধের দামামা: বাংলাদেশে কী প্রভাব, করণীয় কী রক্তের প্রতিটি ফোঁটার বদলা নেব: শেহবাজ শরিফ

জাতীয়

হংকংয়ে ‘প্রেম’, ফেনীতে এনে বিদেশি নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

 প্রকাশিত: ১৪:০০, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

হংকংয়ে ‘প্রেম’, ফেনীতে এনে বিদেশি নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ফেনীতে থাইল্যান্ডের নাগরিক এক নারীকে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে ফেনী মডেল থানার ওসি মো. সামসুজ্জামান জানান।

গ্রেপ্তার মোখসুদুর রহমান (৪৮) ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের নোয়াবাদ মুসলিম মেম্বার ভূঁইয়া বাড়ির আব্দুর রবের ছেলে।

ফেনী মডেল থানার পরিদর্শন ইকবাল হোসেন বলেন, “সোমবার ওই নারী বাদী হয়ে মোখসুদুর রহমানের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় দুজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে মোখসুদুরকে গ্রেপ্তার করে।”

মামলার বিবরণে বলা হয়, জন্মসূত্রে ভারতীয় হলেও থাইল্যান্ডের নাগরিক ওই নারী ২০২০ সাল থেকে হংকংয়ের একটি মুদির দোকানের ব্যবসা করেন। সেখানেই মোখসুদুর রহমানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং একপর্যায়ে মোখসুদুর তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন।

সেখানে দুজনে মিলে একটি ব্যবসা শুরু করেন। পরে মোখসুদুরকে ব্যবসা ও বাংলাদেশে জমি কেনার জন্য ২ লাখ ১০ হাজার হংকং ডলার ও কিছু স্বর্ণালঙ্কার দেন ভুক্তভোগী ওই নারী। পরে ভিসা জটিলতায় মোখসুদুর গ্রেপ্তার হয়ে হংকংয়ের কারাগারে গেলে ওই নারী তাকে ছাড়িয়ে আনেন।

কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে মোখসুদুর বাংলাদেশে চলে আসলেও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। মোখসুদুর ওই নারীকে স্ত্রী হিসেবে আত্মীয় স্বজনদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেন। বিয়ের কথা বলা হলে গত বছরের ২২ মার্চ তিনি প্রথমবার বাংলাদেশে আসেন। একইভাবে মোখসুদুর গত বছরের ১২ অক্টোবর আবার ওই নারীকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে ধর্ষণ করেন।

সবশেষ ১৩ এপ্রিল ওই নারী বাংলাদেশে এসে মোখসুদুরের ফেনীর বাড়িতে গেলে তাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ সময় তার মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন মোখসুদুর। ওই ফোনে তাদের দুজনের ব্যক্তিগত ছবি ও তথ্য ছিল বলে মামলার এজহারের উল্লেখ করেছেন ওই নারী।

ওসি সামসুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে।