বুধবার ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ফাল্গুন ৭ ১৪৩১, ২০ শা'বান ১৪৪৬

ব্রেকিং

‘হয়রানি করতে’ খালেদাকে নাইকো মামলায় জড়ানো হয়: আদালতের পর্যবেক্ষণ নাইকো দুর্নীতি: খালেদা জিয়াসহ আট আসামিই খালাস বাকি ৫ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়ল কুয়েটে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২৬ জুন ২৭তম বিসিএস: নিয়োগবঞ্চিত ১১৩৭ জনের বিষয়ে রায় বৃহস্পতিবার সমাজ সংস্কারে দেশের আলেম সমাজকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা সৌদি আরবে ভবন থেকে পড়ে বাংলাদেশি যুবক নিহত বাইডেন আমলে নিযুক্ত সকল এটর্নিকে বরখাস্তের নির্দেশ ট্রাম্পের অন্তহীন ভোগান্তিতে শহীদ ইমনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে সব বন্দিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত হামাস

জাতীয়

যুক্তরাজ্যে টিউলিপের পর আলোচনায় সালমানপুত্র

 প্রকাশিত: ২০:৪৮, ১২ জানুয়ারি ২০২৫

যুক্তরাজ্যে টিউলিপের পর আলোচনায় সালমানপুত্র

দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনার ভাগ্নি, ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে যুক্তরাজ্যে তোলপাড়ের মধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমানকে নিয়ে।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের ছেলে শায়ান ব্রিটিশ রাজার হাত ধরে যুক্তরাজ্যে গড়ে ওঠা একটি দাতব্য সংস্থার প্রধান।

সালমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান করছে দুদক। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) গত অগাস্টেই সালমান, তার ছেলে শায়ান ও পুত্রবধূ শাজরেহ রহমানের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করেছে।

শনিবার সেই খবর প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে লিখেছে, শায়ান ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের ‘পারিবারিক বন্ধু’। তিনি বাংলাদেশের ‘ধনকুবের’ সালমান এফ রহমানের ছেলে। টিউলিপের খালা শেখ হাসিনা লন্ডনে এলে শায়ানের ১৩ মিলিয়ন পাউন্ডের বাড়িতে ‘বিনাভাড়ায়’ থাকতেন। টিউলিপের মা শেখ রেহানা লন্ডনের গোল্ডার্স গ্রিনে যে বাড়িতে বিনা ভাড়ায় থাকেন, সেটির মালিক শায়ান রহমানের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি অফেশোর কোম্পানি।

মেইল বলছে, দারিদ্র দূরীকরণের লক্ষ্যে ব্রিটিশ রাজা চার্লসের হাত ধরে ২০০৭ সালে গড়ে ওঠে দাতব্য সংস্থা ‘ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট’। শায়ান রহমান বর্তমানে এই তহবিলের উপদেষ্টা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান।

এক সময় তিনি তাদের পারিবারিক নিয়ন্ত্রণে থাকা বেক্সিমকো গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে এখনো তার সেই পরিচয়ই দেখানো হচ্ছে।

শায়ানের প্রশংসা করে বাকিংহাম প্যালেসের এক নৈশভোজে রাজা চার্লস বলেছিলেন, “আমাদের সঙ্গে যারা কাজ করে, আমরা তাদের মতই ভালো। তাই আমি আনন্দিত যে, শায়ান রহমান বাংলাদেশে আমাদের নতুন প্রকল্পটি দেখভাল করার পাশাপাশি তাতে সহযোগিতা করবেন।”

ডেইলি মেইল লিখেছে, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরও ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টের চেয়ারম্যান পদে বহাল আছেন শায়ান।

এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট বলেছে, “আমরা শায়ানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে অবগত। আমরা বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহের দিকে নজর রাখছি।”

অভিযোগের বিষয়ে শায়ানের এক মুখপাত্রের বক্তব্যও তুলে ধরেছে ডেইলি মেইল। তিনি বলেন, “শায়ান রহমানের জন্ম যুক্তরাজ্যে। তিনি একজন ব্রিটিশ নাগরিক এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী। তিনি কিংবা তার স্ত্রী কখনো কোনো অপরাধে অভিযুক্ত হননি।

“সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে অন্য ৩০০ জনের সঙ্গে কেবল বাংলাদেশেই তাদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ।”

ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টে আড়াই লাখ পাউন্ড অনুদান রয়েছে শায়ানের। সম্প্রতি সানডে টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকার বাংলাদেশের অর্থপাচার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সেই অনুদানের প্রসঙ্গ তোলেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও। শায়ানের ‘দানশীলতা’ নিয়ে তিনি রসিকতাও করেন।

শায়ান এক সময় আইএফআইসি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠনে তিনি পরিচালক পদও হারান।