শুক্রবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ২১ ১৪৩২, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ এসএসএফ নিরাপত্তা পাবেন না: রিজওয়ানা খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে ঢাকায় আসছেন জোবাইদা রহমান নির্বাচনের ‘নতুন মানদণ্ড’ তৈরি করতে হবে: এসপিদের প্রধান উপদেষ্টা নতুন বাংলাদেশ গড়ার ‘বিল্ডিং কোড’ গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা আরও ৩৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইজিপিকে অপসারণে আইনি নোটিশ খালেদা জিয়াকে নেওয়া হবে লন্ডনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি তেলের দাম বাড়ানো ব্যবসায়ীদের ‘কারণ দর্শাও’ নোটিস দিয়ে বৈঠকে ডেকেছে সরকার তফসিলের আগে ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির সাক্ষাৎ লিভ টু আপিল খারিজ, অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ বৈধ খালেদা জিয়ার জন্য শুক্রবার দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান সরকারের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় দুই শিশুসহ ৭ ফিলিস্তিনি নিহত আমরা সোমালি অভিবাসীদের চাই না`: ট্রাম্প

ইসলাম

রাসূল সাঃ এর সুন্নাতের অনুকরণে ঈদুল আযহা

 প্রকাশিত: ১৭:০৯, ১৮ জুলাই ২০২১

রাসূল সাঃ এর সুন্নাতের অনুকরণে ঈদুল আযহা

প্রতি বছর হিজরী ক্যালেন্ডারের সর্বশেষ মাস জিলহজ্জ্বের ১০ তারিখ পালিত হয় পবিত্র ঈদুল আযহা। মূলত এর মাধ্যমে মক্কায় বিশ্ব মুসলমানের বার্ষিক সম্মেলন পবিত্র হজ্জ্বের সমাপ্তিকে চিহ্নিত করা হয়। মুসলমানদের বৃহৎ দুই বার্ষিক উৎসবের মধ্যে অন্যতম পবিত্র ঈদুল আযহা।

হযরত উকাবা ইবনে আমের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন,

“আরাফাতের দিন, কুরবানীর দিন এবং তাশরিকের দিন আমাদের মুসলমানদের উৎসবের দিন। এই দিনগুলো পানাহারের দিন।” (তিরমিজি)

কুরবানীর দিন তথা ঈদুল আযহা এমন একদিন যেদিন একসাথে অনেক ইবাদত জড়িয়ে থাকে তথা এদিন আল্লাহর মহত্ব তথা তাকবীর ঘোষণার পাশাপাশি বিশাল সমাবেশে একত্রে ঈদের নামাজ আদায় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কুরবানী করা হয়।

কোন কোন আলেম ঈদের নামাজকে ফরজে কিফায়া আবার অনেক আলেম একে ফরজে আইন হিসেবে চিহ্নিত করেন। যে মতামতই আপনি অনুসরণ করেন না কেন, এই দিনটি মুমিনদের একত্রিত হওয়ার দিন এবং তাদের একতা-সংহতির প্রকাশের দিন। সুতরাং, এই ক্ষেত্রে ঈদের নামাজের গুরুত্বকে কখনোই অস্বীকার করা যায়না।

রাসূল (সা.) এর সুন্নত
১. ঈদের দিনে রাসূল (সা.) সকালেই গোসল করে নিতেন।

২. গোসল করার পর তিনি তার সর্বোত্তম পোশাকটি পরিধান করে নামাজে যেতেন।

৩. ঈদুল ফিতরের সময় কিছু না খেয়ে রাসূল (সা.) ঈদের নামাজে যেতেন না। কিন্তু ঈদুল আযহায় তিনি না খেয়েই নামাজে যেতেন এবং ফেরার পর কুরবানীর গোশত দিয়েই দিনের প্রথম আহার গ্রহণ করতেন। 

৪. রাসূল (সা.) পায়ে হেটেই ঈদের নামাজের জন্য যেতেন। তিনি যে পথ দিয়ে নামাজের জন্য যেতেন, ফেরার সময় সে পথে না ফিরে ভিন্ন পথে ঘরে ফিরতেন।

৫. ঈদুল আযহার সময় জোরে জোরে তাকবীর তথা ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ; আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ” উচ্চারন করতে করতে রাসূল (সা.) ঈদের নামাজে যেতেন।

৬. রাসূল (সা.) সাধারনত বিশাল খোলা স্থানে ঈদের নামাজ আদায় করতেন।

৭. ঈদের নামাজের আগে পরে তিনি কোন নামাজ আদায় করতেন না।

৮. ঈদের নামাজের জন্য কোন আযান বা ইকামত নির্দিষ্ট থাকতো না।

৯. ঈদের নামাজ আদায়ের পর রাসূল (সা.) ঈদের খুতবা দিতেন।

১০. ঈদের নামাজের পর রাসূল (সা.) নামাজ পড়ার স্থানেই সাধারনত কুরবানী করতেন।

১১. রাসূল (সা.) ঈদের নামাজের আগে কুরবানী করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন এবং নামাজের আগে কুরবানী দেওয়া ব্যক্তিদের নামাজের পরে পুনরায় কুরবানীর আদেশ দিয়েছেন।

১০. তাশরিকের দিনগুলোতে তথা জিলহজ্জ্বের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ তাকবীর পাঠ করা আল্লাহর রাসূল (সা.) এর সুন্নত। এই দিনগুলোতে ফরজ নামাজের পর পর রাসূল (সা.) তাকবীর পাঠ করতেন।

আল্লাহ আমাদের সকলের ঈদকে আনন্দময় করুন।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল