মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪, আশ্বিন ২৩ ১৪৩১, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

পর্যটন

ট্রেন চলাচলের উপযোগী হয়ে উঠেছে কালুরঘাট সেতু

মোঃ নাফিউল ইসলাম সরকার

 প্রকাশিত: ২৩:৪৪, ২ নভেম্বর ২০২৩

ট্রেন চলাচলের উপযোগী হয়ে উঠেছে কালুরঘাট সেতু

 

 

ট্রেন চলাচলের উপযোগী হয়ে উঠেছে কালুরঘাট সেতু

কক্সবাজার রুটে ট্রায়াল ট্রেন যাবে সেতুর ওপর দিয়ে

 

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১ নভেম্বর, ২০২৩ at ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

 

 

কক্সবাজার রুটে নির্ধারিত সময়ে ট্রেন চালুর জন্য কালুরঘাট সেতুর ওপর রেল লাইন বসানোর কাজ শেষ করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। এখন কালুরঘাট সেতুর ওপর দিয়ে কক্সবাজার রুটের পরীক্ষামূলক ট্রেন যেতে পারবে বলে জানিয়েছেন সেতুর কাজে নিয়োজিত প্রকৌশলীরা। আগামী ৭ নভেম্বর কক্সবাজার রুটে পরীক্ষামূলক ট্রেন কালুরঘাট সেতুর ওপর দিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন দোহাজারী–কক্সবাজার রেল লাইনের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. সবুক্তগীন। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম দোহাজারী–কক্সবাজার রেল লাইনের কাজ শেষ হয়েছে। কাজ শেষে প্রকল্পের কাজের নিয়োজিত প্রকৌশলীরা বেশ কয়েকবার ট্রলি চালিয়ে সকল ত্রুটি–বিচ্যুতি ঠিক করে চলাচল উপযোগী করে তুলেছেন। লাইনের কাজ শেষে এখন কয়েকটি স্টেশনের বাকি থাকা কাজ এবং সিগন্যালিংয়ের কাজ চলছে। ৭ নভেম্বর পরীক্ষামূলক ট্রেন চালুর পর ১২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার থেকে দোহাজারী–কক্সবাজার নবনির্মিত রেল লাইনের উদ্বোধন করবেন।

 

এই ব্যাপারে দোহাজারী–কক্সবাজার রেল লাইনের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. সবুক্তগীন গতকাল আজাদীকে বলেন, দোহাজারী–কক্সবাজার রুটে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে আগামী ৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে। আমাদের সকল প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। কালুরঘাট সেতু ট্রেন চলাচলের উপযোগী হয়েছে। দোহাজারী–কক্সবাজার নব নির্মিত রেল লাইনের কাজ শেষ হয়েছে। এখন কিছু স্টেশনের কাজ বাকি আছে সেগুলোর কাজ এবং সেসিগন্যালিংয়ের কাজ চলছে।

 

এদিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত গতকাল আজাদীকে বলেন, কালুরঘাট সেতু ট্রেন চলাচলের উপযোগী হয়েছে। সেতুর উপর ট্রেন লাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এখন কক্সবাজার রুটের ট্রেন যেতে পারবে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে যাতে দোহাজারী–কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করা যায় সেজন্য আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেতুর ট্রেন লাইনের কাজ শেষ করেছি। অবশিষ্ট কাজ শেষ হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত লাগবে।

 

দোহাজারী–কক্সবাজার রেল লাইনের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মুহম্মদ আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, আমাদের লাইনের কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগে। এখন কিছু স্টেশনের কাজ বাকি আছে সেগুলোর কাজ চলছে। স্টেশনে জনবল নিয়োগ দেয়ার কাজ চলছে। সিগন্যাল সিস্টেম এবং ডিজিটাল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেমের কাজ চলছে।

 

ট্রায়াল রান এবং উদ্বোধনের পর বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহনে যেতে আরো এক–দুই মাস লাগতে পারে।