সিরিয়ায় সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গির হামলায় ২ মার্কিন সেনাসহ নিহত ৩
সিরিয়ায় সন্দেহভাজন এক ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গির হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও এক বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন।
মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শনিবার ওই হামলাকারী আমেরিকান ও সিরীয় সেনাদের বহনকারী একটি গাড়িবহরে হামলা চালায়, পরে পাল্টা গুলিতে তার মৃত্যু হয়।
আইএসের বিরুদ্ধে অভিযানরত যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর সঙ্গে একটি রাজনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি করেছে সিরিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারার হোয়াইট হাউজ সফরের সময় এই চুক্তির কথা ঘোষণা করে দামেস্ক। তার এক মাস পরই হামলার এ ঘটনাটি ঘটল, লিখেছে রয়টার্স।
স্থানীয় তিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হামলাকারী সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন। তবে এই হামলাকারী নিরাপত্তা বাহিনীতে কোনো নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিলেন না বলে সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেলকে জানিয়েছেন।
নূরউদ্দিন আল-বাবা নামের ওই মুখপাত্র আল-ইখবারিয়া টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, “১০ ডিসেম্বর ইস্যু হওয়া এক মূল্যায়নে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল যে এই হামলাকারী সম্ভবত চরমপন্থি ধ্যানধারণা পোষণ করেন আর রোববার (১৪ ডিসেম্বর) তাকে নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ‘তিন মহান দেশপ্রেমিককে’ হারানোর ঘটনায় ‘অতি গুরুতর প্রতিশোধ’ নেওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের কাছে করা মন্তব্যে তিনি এ ঘটনাকে ‘ভয়ানক’ হামলা বলে উল্লেখ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, এ হামলায় আরও তিন মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় শহর পালমিরায় ‘সেনারা সন্ত্রাসবাদবিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করার সময়’ এক বন্দুকধারী একাই হামলাটি চালায়।
‘অংশীদার বাহিনী’ হামলাকারীকে হত্যা করে, সামাজিক মাধ্যমে করা পোস্টে লিখেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রাথমিক মূল্যায়নগুলোতে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে সম্ভবত আইএস এ হামলাটি চালিয়েছে। তবে জঙ্গি গোষ্ঠীটি তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যে এলাকায় হামলার ঘটনাটি ঘটেছে সেটি সিরিয়া সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল নয়।
বাবা জানিয়েছেন, এই অঞ্চলে আইএস হামলা চালাতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়ে সতর্ক করেছিল সিরিয়া কিন্তু ‘জোট বাহিনী সিরিয়ার হুঁশিয়ারি আমলে নেয়নি’।