জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তাকাইচি

জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন সানায়ে তাকাইচি। তাকে ক্ষমতায় বসাতে জোট গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও প্রধান বিরোধী দল জাপান ইনোভেশন পার্টি (জেআইপি)।
রোববার দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে টোকিও থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
তাকাইচি চলতি মাসের শুরুতে এলডিপির নতুন নেতা নির্বাচিত হন। কিন্তু ক্ষমতাসীন জোট ভেঙে পড়ায় তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই এলডিপি নতুন করে রাজনৈতিক সমীকরণ সাজাতে থাকে। যাতে আবারো সেই সম্ভাবনা জোরদার করা যায়।
কিয়োডো নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (২০ অক্টোবর) তাকাইচি ও বিরোধী জেআইপি দলের নেতা হিরোফুমি ইয়োশিমুরা একটি জোট চুক্তি সই করবেন। উভয় দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বরাত দিয়ে এ খবর জানানো হয়েছে।
ইয়োমিউরি শিমবুন পত্রিকাও জানিয়েছে, ‘সোমবারের আলোচনার পর তাকাইচি ও ইয়োশিমুরা জোটচুক্তিতে সই করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
সম্প্রতি এলডিপির দীর্ঘদিনের শরিক কোমেইতো পার্টি টানা ২৬ বছর পর ক্ষমতাসীন জোট থেকে সরে যায়। এতে জাপানের রাজনীতিতে বড় ধরনের সংকট তৈরি হয়।
এরপর বিভক্ত বিরোধী দলগুলো এলডিপিকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
তবে এলডিপি ও জেআইপি জোট করলে মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় ভোটে তাকাইচি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে পারেন। যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে এখনো তাদের দু’টি আসনের ঘাটতি রয়েছে।
তবে ভোট যদি দ্বিতীয় দফায় গড়ায়, সেক্ষেত্রে তাকাইচিকে অন্য প্রার্থীর চেয়ে বেশি সংসদ সদস্যের সমর্থন পেতেই হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের ঠিক আগে দেশটিতে এসব রাজনৈতিক সমীকরণ চলছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠেয় এপেক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে জাপান সফরের কথা রয়েছে ট্রাম্পের।