রোববার ১৯ অক্টোবর ২০২৫, কার্তিক ৪ ১৪৩২, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

ইসির চাপিয়ে দেওয়া প্রতীক নেবে না এনসিপি: হাসনাত আব্দুল্লাহ বাড়ি ভাড়া ৫ শতাংশ প্রত্যাখ্যান, শিক্ষকদের আন্দোলন চলবে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী ‘নো কিংস’ বিক্ষোভে মানুষের ঢল আত্মসমর্পণের পর ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা মোশাররফ কারাগারে শাহজালালে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন ব্রাজিলে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ১৭ গাজায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে এক পরিবারের ১১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা ইসরায়েলের পর্যটকরা নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন: পরিবেশ উপদেষ্টা আসামিকে কনডেমড সেলে রাখা নিয়ে আপিল শুনানি ২৮ অক্টোবর অনশনের মধ্যেই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া আরেকটু বাড়ল

জাতীয়

আসামিকে কনডেমড সেলে রাখা নিয়ে আপিল শুনানি ২৮ অক্টোবর

 প্রকাশিত: ১২:২৫, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

আসামিকে কনডেমড সেলে রাখা নিয়ে আপিল শুনানি ২৮ অক্টোবর

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেমড সেলে রাখা যাবে না বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি আগামী ২৮ অক্টোবর।

রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ (রোববার) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ শুনানির এই দিন ধার্য করেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত আসামিকে কনডেমড সেলে রাখার বৈধতা নিয়ে ২০২১ সালে রিটটি হয়। বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত হয়ে কনডেমড সেলে থাকা তিন আসামি রিটটি করেন। 

ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সেই রুল নিষ্পত্তি করে ২০২৪ সালের ১৩ মে পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনাসহ রায় দেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

রায়ে হাইকোর্ট বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে অন্য বন্দীদের মতোই দেখতে হবে। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বা অন্য বন্দীদের নিরাপত্তার স্বার্থে, সংক্রামক রোগ, স্বাস্থ্যগত বিষয়সহ ব্যতিক্রম পরিস্থিতির কারণে তাকে কনডেমড সেলে রাখতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীর বক্তব্য শুনতে হবে।

সেই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীদের সাধারণ সেলে স্থানান্তরের জন্য অবকাঠামো ব্যবস্থাসহ উদ্যোগ শুরু করতে রায়ে কারা কর্তৃপক্ষে নির্দেশ দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির জামিনের নজির দেখা যায় না উল্লেখ করে বলা হয়, এধরনের বন্দী জামিন আবেদন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬ ধারা অনুসারে হাইকোর্ট বিভাগের জামিন আবেদন গ্রহণ করা উচিত।

হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল আবেদন করে। এর প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি আপিল বিভাগে নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে।