রোববার ১৩ জুলাই ২০২৫, আষাঢ় ২৯ ১৪৩২, ১৭ মুহররম ১৪৪৭

ব্রেকিং

এনবিআর সংস্কার পরিষদের বহু সদস্যের ‘ক্ষমা প্রার্থনা’, মাঠে ফেরার প্রস্তুতি ৭.৭৫ কোটি টাকার স্থাপনা ভেঙে নতুন স্মৃতিস্তম্ভ গড়ার কাজ শুরু ইসরায়েল আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল: ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সংস্কার ছাড়া যেনতেন নির্বাচন চায় না জামায়াত: শফিকুর রহমান আশরাফুল, সাকিবদের পর এবার নতুনদের চিনছে শ্রীলঙ্কা বিচার ও সংস্কারকে নির্বাচনের মুখোমুখি করা যাবে না: সাকি সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থায়(পিআর) ‘ভবিষ্যৎ বিভক্তি’র শঙ্কা তারেক রহমানের জুলাই বিপ্লব নিয়ে কটূক্তি করায় কুষ্টিয়ায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্য ক্লোজড কলেজ প্যাডে ছাত্রদলের প্রচারণা? অধ্যক্ষের ব্যাখ্যা ঘিরে বিতর্ক মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের সংঘাত বিস্তার: বিশ্লেষণ কলম্বিয়ায় পাহাড়ধসে মৃত্যু ১৬, নিখোঁজ অন্তত ৮ “ত্রাণ নিতে এলে গুলি করতাম”—গাজার ঘটনায় মুখ খুললেন ইসরায়েলি সেনারা তেহরানে ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার চলছেই, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৫০ ইরানে বাংলাদেশিদের সহায়তায় হটলাইন চালু উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ: সিলেটে তিনজন কারাগারে ইসরায়েলের টার্গেটে ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার ভবন লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ১৩ জুন তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন: ফখরুল রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হবে কাঁচের মতো স্বচ্ছ ঘর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনের ঘোষিত সময় মাথায় রেখে যথাসময়ে রোডম্যাপ দেবে ইসি: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ছাত্রদল নেতা নাছির উদ্দিন মণিপুরে আবার উত্তেজনা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের চাপে ঢাকার ৪ থানায় সক্রিয় অর্ধশতাধিক অপরাধী দল জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি: সালাহউদ্দিন আহমদ জুলাই সনদ–ঘোষণাপত্র হলে ঘোষিত সময়ে নির্বাচনে আপত্তি নেই: এনসিপি ২৫ কিলোমিটার যানজট, ২৪ ঘণ্টায় পারাপার ৬৪ হাজার যানবাহন বান্দরবানের রুমা ও থানচি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে প্রত্যাহার গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো, জাতিসংঘ নিরাপত্তা গরম মসলার বাজার শীতল: ক্রেতা কমে যাচ্ছে, দাম কিছুটা স্থিতিশীল ঈদে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দই-মিষ্টি মজুত, রংপুরে হিমাগারে অভিযান ও দুই লাখ টাকা জরিমানা বান্দরবানের লামায় পাহাড় ধসের শঙ্কায় ৬০ রিসোর্ট বন্ধ নির্বাচন নিয়ে তরুণদের প্রতি অসত্য অভিযোগ ও বাস্তবতা ভারতের মুসলমানদের কেন বারবার দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে হয় সংবিধান পরিবর্তন ছাড়া ফ্যাসিবাদ বিলোপ সম্ভব নয়: এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক একুশের বন্ধুত্বে আগামীর পথচলা: বার্ষিক সম্মেলনে ২১তম বিসিএস প্রশাসন ফোরাম বিজিএমইএ`র নতুন নেতৃত্বে আসছেন বাবু, নিরঙ্কুশ জয়ের ইঙ্গিত জিলহজ মাসের আমল ও কোরবানির তাৎপর্য চট্টগ্রামে নারীকে লাথির ঘটনায় ভাইরাল আকাশ চৌধুরী বহিষ্কৃত, জামায়াতের বিবৃতি সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেই, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিল পবিস শ্রমিকরা আনচেলত্তির স্বপ্ন - রিয়াল মাদ্রিদের মতো করে খেলাবেন ব্রাজিলকে ডিমের দাম এখনো চড়া, ডজন ১৩০–১৪০ টাকায় বিক্রি বৈরী আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপের সঙ্গে সারাদেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ হারের পর লিটনের মনোভাব - এখনো দুই ম্যাচ বাকি কাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব জুয়েলারি দোকান বন্ধ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করবে ডিএনএ টেস্ট করে নামফলক ও মর্যাদা চায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা বেতন না পেয়ে ডাকাতি, জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ারসহ তিনজন আটক “বাংলাদেশে কৌশলগত স্বার্থ নেই দক্ষিণ কোরিয়ার”—রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক “শাপলার হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই”—হেফাজতের বিবৃতি মির্জা আব্বাস: “করিডর আর স্টারলিংক আনা হচ্ছে আরাকান আর্মির জন্য” জিলহজ মাসের চাঁদ দেখে যে দোয়া পড়বেন নির্বাচনের আগে যতটুকু দরকার, ততটুকুই সংস্কার করতে হবে: মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ‘চিন্তার স্বাধীনতাও হারাচ্ছি?’— নারী কমিশন বিতর্কে গীতিআরার উদ্বেগ ইউক্রেনে রাশিয়ার টানা হামলায় নিহত ১২, কঠোর চাপের আহ্বান জানালেন জেলেনস্কি সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন – তিনটি কঠিন দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট আমরা জুলাই অভ্যুত্থান ক্ষমতার পালাবদল নয়, এটি মৌলিক সংস্কার: নাহিদ হলুদ সাংবাদিকতা’ বিরোধী স্লোগানে উত্তাল শিক্ষক মিছিল ভারতের নিষেধাজ্ঞায় আখাউড়া বন্দর দিয়ে রপ্তানি কমেছে ৪০% বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলছে, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি জাতীয় স্বার্থে অভিমান ভুলে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান : জামায়াত আমির আন্দোলনের পর অবশেষে নিয়োগ পেলেন ৪৩তম বিসিএসের বাদ পড়া ১৬২ জন নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে ইসির সামনে এনসিপির বিক্ষোভ কাল বাংলাদেশে স্টারলিংকের যাত্রা, স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের নতুন যুগ শুরু নরওয়ের দৃঢ় সমর্থন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিগত সরকারের সময় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত, এমন অবস্থা ছিল যে খতিবকেও পালাতে হয়েছিল: বাণিজ্য উপদেষ্টা গায়ের জোরে নগর ভবন দখল করে আন্দোলন চালাচ্ছে বিএনপি আবারও রাজপথে নামার ইঙ্গিত আসিফের, সতর্ক করলেন হাসনাত গোপন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন স্থগিত, ২০ মে আলোচনায় বসবে ঐক্য পরিষদ ভারতের আমদানি নিষেধাজ্ঞা সীমান্ত বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে ভারতের নতুন সিদ্ধান্তে উত্তর-পূর্বাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশি ভোগ্যপণ্য আমদানি বন্ধ গত ৯ মাসে জুলাই-যোদ্ধাদের ওপর ৩৮টি হামলা জবি’র ৪ দফা দাবি মেনে নেওয়ায় আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা ডিবি থেকে মুক্তির পর আন্দোলনে উল্লাস জবি শিক্ষার্থীর গাজা দখলে নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা পুনর্ব্যক্ত করলেন ট্রাম্প শাহরিয়ার হত্যাকাণ্ডে বিচার নিশ্চিতের অঙ্গীকার উপদেষ্টা আসিফের সোনার দাম ভরিতে কমল ৩ হাজার ৪৫২ টাকা, নতুন দর কার্যকর শুক্রবার থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: নিরাপত্তা নিশ্চিতে বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ শ্রীনগরজুড়ে বিস্ফোরণ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওমর আব্দুল্লাহর উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ ‘চলবে’, শনিবার গণজমায়েত ড্রোন যুদ্ধ: ভারত-পাকিস্তান বিরোধের নতুন অধ্যায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আ.লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বেন না আন্দোলনকারীরা ‘আপ বাংলাদেশ’–এর আত্মপ্রকাশ পূর্বঘোষণা ছাড়া ভারত সফরে সৌদি প্রতিমন্ত্রী, পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনায় কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে মার্চের হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের দেশীয় ওষুধ কোম্পানি রেনাটাকে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে আইএফসি তারেক রহমান: সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে সহায়তা করছে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের নির্দেশে ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল ইউটিউবে বন্ধ

ফিচার

বিজয় মিছিলে গিয়ে আর ফিরেনি শহীদ কিশোর জুবায়েদ

 প্রকাশিত: ১৪:৫২, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

বিজয় মিছিলে গিয়ে আর ফিরেনি শহীদ কিশোর জুবায়েদ

ছেলে ১১টায় বের হয়েছে। খাবারও খায়নি। দুপুরে বাসায় ফিরে খাবার খাবে। তাই দুপুরের খাবার রান্না করে ছেলের অপেক্ষা বসে রয়েছেন মা, ছেলে ফিরলে দুজনে একসাথে খাবার খাবেন। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকেলে হলেও ছেলে আর ফিরেনি। অবশেষে তাকে পাওয়া গেলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে। সে হারিয়ে গেছে চিরতরে।

বলছিলাম কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা আগানগর ইউনিয়নের গোকুলনগর গ্রামের নাজির হোসেন ও হোসনে আরা বেগম দম্পতির বড় ছেলে ফার্নিচার মিস্ত্রি কিশোর জুবায়েদ (১৬)-এর কথা। কিশোর জুবায়েদ গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশ ছেড়ে পালানোর পর দুপুরে যাত্রাবাড়ি এলাকায় মিছিলে গিয়ে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন।

জানা গেছে, ৭ মাস আগে ভালো আয় রোজগারের আসায় বাবা, মা ও ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে ঢাকার শনিরআখড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় ওঠে কিশোর জুবায়েদ। শনিরআখড়ার ৫ নং গলিতে একটি ফার্নিচারের দোকানে মিস্ত্রির কাজ করতো সে। একই এলাকায় ছোট ভাই জুনায়েদ (১৪)-কে একটি টেইলার্সে দর্জির কাজে দিয়েছিল। বাবা নাজির হোসেন মাঝে মধ্যে রিকশা চালাতেন। এভাবেই চলছিল তাদের সংসার।

জুন মাসে শুরু হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মাঝে মধ্যে সেই আন্দোলনের মিছিলেও যুক্ত হতেন কিশোর জুবায়েদ। গত ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাজ করার উদ্দেশ্যে ফার্নিচারের দোকানে যান জুবায়েদ। দুপুর ১টায় জোহরের আজান হলে মালিক বলেন বাসায় চলে যেতে। কিন্তু জুবায়েদ বাসায় না গিয়ে চলে যায় বিজয় মিছিলে।

শনিড়আখড়া থেকে যাত্রাবাড়ি এলাকায় গিয়ে মিছিলে যোগ দিয়ে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয় কিশোর জুবায়েদ। তাকে মিছিলকারীরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

দুপুর গড়িয়ে বিকেলের মধ্যে অনেকবার ফোন করেন হয় মোবাইলে কিন্তু মোবাইল বন্ধ। বিকেলে দিকে আর অপেক্ষা না করে তার খোঁজ নিতে বের হন মা-বাবা ও ছোট ভাই। আশপাশের হাসপাতাল ও ক্লিনিকে গিয়ে জুবায়েদ ছবি দেখন তারা। কিন্তু কোথাও নেই জুবায়েদ। অনেকেই পরামর্শ দেয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল যাওয়ার জন্য। রাতে সেখানে গিয়ে রিসিপশনের ছবি ও নাম দিয়ে খোঁজা হয় তাকে কিছু পাওয়া যায়নি, এমন নামে কেউ ভর্তি হয়নি এখানে। এসময় একজন ছবি দেখে বলেন মর্গে গিয়ে দেখেতে পারেন এমন একটি লাশ মর্গে দেখে এসেছি।

জুবায়েদের ডান চোখে একটি গুলি লেগে মাথার পিছন দিক দিয়ে বেড় হয়ে গেছে। এছাড়াও শরীরে অসংখ্য গুলির ক্ষত রয়েছে। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মর্গে গিয়ে এক কোণে জুবায়েদের মরদেহ শনাক্ত করেন পরিবারের লোকজন।

দেশ যখন স্বৈরাচার মুক্তির আনন্দে ভাসছে জুবায়েদের পরিবার তখন ভাসছে চোখের জলে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাতেই বাড়িতে আনা হয় জুবায়েদের মরদেহ। পরেরদিন পারিবারিক তাকে কবরস্থানে দাফন করা হয়।

সরেজমিনে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের গোকুলনগর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে কথা হয় জুবায়েদ মা হোসনে আরা বেগম (৩৬), ছোট ভাই জুনায়েদ (১৪) ও তার নানা বাচ্চু মিয়া (৬২)-এর সাথে।

এমসয় কথা বলতে গিয়ে কান্নার ভেঙে পড়েন জুবায়েদের মা হোসনে আরা বেগম। তিনি জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোসল করে সকালের খাবার না খেয়েই কাজের উদ্দেশ্যে দোকানে যায় জুবায়েদ। সকালে খেয়ে যায়নি তাই দুপুরের খাবার রান্না করে খাবার নিয়ে বসে ছিলাম জুবায়েদের জন্য।

 দুপুরে গড়িয়ে বিকেলেও সে না এলে ৪টার দিকে জুবায়েদকে খুঁজতে বাহির হই। এরমধ্যে তার মোবাইলেও অনেক বার ফোন করা হলেও মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। আশপাশের অনেক হাসপাতাল ও ক্লিনিকে তাকে খোঁজা হয় কিন্তু পাওয়া যায়নি। পরে ঢাকা মেডিকেল মর্গে গিয়ে মরদেহ পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। এছাড়াও আরও যারা এই আন্দোলনে শহিদ হয়েছে তাদের পাশে যেনো বর্তমান সরকার দাঁড়ায় সেই দাবিও জানাই।

জুবায়েদের ছোট ভাই জুনায়েদ বলেন, ভাইয়া আমাকে অনেক আদর করতেন। পরিবারের অভাবের জন্য ভাইয়া ক্লাস সেভেন পর্যন্ত ও আমি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া করি। ৫ আগস্ট দুইটার দিকে যখন শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় এই খবর শুয়ে শুয়ে মোবাইলে খবর দেখছিলাম। পরে আম্মার চাপাচাপিতে বিকেলে ৪টার দিকে ভাইয়ে খোঁজে বাহির হই। পরে ৭টার দিকে আশপাশে হাসপাতালে খোঁজ করেও পাইনি। রাত সাড়ে ১১টার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মরদেহ দেখে কাউন্টারে গিয়ে ২০ টাকায় টিকেট নিয়ে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসি। বাড়িতে লাশ আনতে ভোর ৪টা বেজে যায়। পরে জানাজা শেষে ভাইয়ার মরদেহ এলাকার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ভাইয়ার ডান চোখে একটি গুলি লেগে মাথার পিছন দিক দিয়ে বেরিয়ে গেছে। এছাড়াও শরীরে অসংখ্য গুলির ক্ষত ছিল। জানাজা নামাজের গোসলের সময় রক্তে খাটিয়া ভিজে গেছে। আমার ভাইকে যারা গুলি করে হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই।


জুবায়েদের নানা বাচ্চু মিয়া (৬২) জানান, আমার মেয়ে দুই সন্তান নিয়ে আমার বাড়িতেই থাকতো। সাত মাস আগে জুবায়েদ মা, বাবা ও ছোট ভাইকে নিয়ে ঢাকার শনিরআখরায় যায় কাজের জন্য। সেখানে একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ নেয় জুবায়েদ। অভাবের সংসারের বেশি লেখাপড়া করতে পারেনি জুবায়েদ। কাজ করেই পরিবার নিয়ে চলতো।

জোবায়েদ নিহত হওয়ার কয়েকদিন আগেও ফোন করে আমাকে বলেছিল সে মিছিলে গেছে। আমি ফেনে তাকে মানা করেছিলাম যে আমরা গরীব মানুষ কাজ করে খেতে হয় মিছিল মিটিংয়ে গিয়ে আমাদের কি হবে। জুবায়েদের মৃত্যুর পর তার পরিবারের সবাই বাড়িতে চলে এসেছে। জুবায়েদকে হারিয়ে তারা দিশেহারা। সরকার যদি জুবায়েদের ছোট ভাই জুনায়েদকে একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দিতো তাহলে তাদের জন্য ভালো হতো। জুবায়েদের মৃত্যুর পর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ ২ লাখ ও বিএনপির পক্ষ থেকে ১ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে।

শনিরআখড়ার রাসেল ফার্নিচারের স্বত্বাধিকারী রাসেল মিয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, জুবায়েদ ছয় মাস আগে আমার ফার্নিচারের দোকানে কাজে নেয়। সে আনেক নম্র-ভদ্র ছেলে ছিল। ৫ আগস্ট জোহরের আজান হলে আমি নামাজে চলে যাই। তখন জুবায়েদকে বলি বাসায় যাওয়ার জন্য কিন্তু সে বাসায় না গিয়ে যাত্রাবাড়ি এলাকায় মিছিলে চলে যায়। তার মৃত্যুতে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি। জুবায়েদ হত্যার বিচার দাবি করেন তিনি।