মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গোপালগঞ্জে ৭.৫ ডিগ্রি
চলতি মৌসুমের ও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে গোপালগঞ্জে।
বুধবার সকাল ৬টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান।
তিনি বলেন, গোপালগঞ্জের ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। এখানে বাতাসের আদ্রতা ৯৭ শতাংশ ও কুয়াশার দৃষ্টিসীমা ২০০ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারও এ শৈত্যপ্রবাহ চলমান থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আরও দুইদিন এই অবস্থা চলতে পারে। তবে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে।
আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের শেষ দিকে ফের শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এদিকে ঘন কুয়াশা আর প্রচণ্ড শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার জনজীবন। সকাল থেকেই দেখা মেলেনি সূর্যের। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউই। সড়ক মহাসড়কগুলোতে দিনের বেলাও হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে বোরো ধান রোপণে ব্যাঘাত ঘটছে কৃষকদের। এদিকে জেলাজুড়ে শীত জেঁকে বসায় ছিন্নমূল, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট চরম আকার ধারণ করেছে। শীতে বেশি কষ্ট পাচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা।
এছাড়া সব বয়সের মানুষ ঠাণ্ডা ও শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবীতেষ বিশ্বাস বলেন, “ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু রোগী এখনও হাসপাতালে আসতে শুরু করেনি। তবে শীত আরও কয়েকদিন স্থায়ী হলে শিশুরাও শীতে আক্রান্ত হতে পারে। তিনি শিশুদের গরম কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রেখে ঠাণ্ডা না লাগানোর পরামর্শ দেন। ”
জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোপালগঞ্জ জেলার পাঁচ উপজেলায় গত পাঁচ দিনে শীতার্তদের মধ্যে ১ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
গভীর রাতেও জেলা প্রশাসক মো. আরিফ-উজ-জ্জামান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা শীতার্তদের কাছে গিয়ে কম্বল পৌছে দিচ্ছেন।