শনিবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, পৌষ ১৩ ১৪৩২, ০৭ রজব ১৪৪৭

ব্রেকিং

ফ্লোরিডায় ট্রাম্প ও জেলেনস্কির বৈঠক আগামীকাল। থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে ‘তৎক্ষণাৎ’ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ হন্ডুরাসের নতুন প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন স্পেনের ট্রাম্পের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক হবে : জেলেনস্কি মেক্সিকোতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১০, আহত ৩২ বড়দিনে ৬০ বন্দিকে মুক্তি দিল ভেনিজুয়েলা সরকার মহানবীর (সা.) ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ গড়তে চাই: তারেক রহমান আধিপত্যবাদী শক্তির গুপ্তচরেরা ‘ষড়যন্ত্রে’ লিপ্ত: তারেক যেকোনো মূল্যে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার আহ্বান তারেক রহমানের নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই: তারেক রহমান আই হ্যাভ আ প্ল্যান: তারেক রহমান সকলকে কৃতজ্ঞতা জানালেন তারেক রহমান ঢাকায় নেমেই ইউনূসকে তারেকের ফোন, দিলেন ধন্যবাদ দেড় যুগ পর মাতৃভূমিতে পা রাখলেন তারেক রহমান ১৭ বছর পর দেশে তারেক রহমান, রাজধানীতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বলয় তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে জামায়াত আমিরের পোস্ট

ইসলাম

ইদ্দত চলাকালে এক তালাকে বায়েনপ্রাপ্ত স্ত্রীকে কি বিয়ে করা যাবে?

 প্রকাশিত: ১৯:২৩, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

ইদ্দত চলাকালে এক তালাকে বায়েনপ্রাপ্ত স্ত্রীকে কি বিয়ে করা যাবে?

প্রশ্ন:হুজুর, দুই সপ্তাহ আগে আমার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে আমি তাকে এক তালাকে বায়েন দিই। এখন আমি উক্ত আচরণে অনুতপ্ত এবং তার সাথে সংসার করতে চাই। এর আগে আমি তাকে কোনো তালাক দেইনি। শুনেছি, এক তালাকে বায়েন দেওয়ার পরও স্ত্রীকে বিয়ের মাধ্যমে ফিরিয়ে নেওয়া যায়।

জানার বিষয় হল, আমি কি এখনই ইদ্দত অবস্থায় তাকে বিয়ে করতে পারব, না ইদ্দত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?

উত্তর :হাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি তাকে যেহেতু শুধু এক তালাকে বায়েন দিয়েছেন, তাই ইদ্দতের ভেতরেই নতুন মোহর ধার্য করে আপনি তাকে পুনরায় বিবাহ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ইদ্দত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। অবশ্য এক্ষেত্রে মহিলাটি অন্য কারো সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাইলে ইদ্দত শেষ হওয়া জরুরি। এর আগে অন্যত্র বিবাহ করা তার জন্য জায়েয নয়।

উল্লেখ্য, আপনি তাকে ইদ্দতের ভেতর বিবাহ করেন বা ইদ্দতের শেষে, উভয় অবস্থায় আপনি কেবল দুই তালাকের অধিকারী থাকবেন। তাই পরবর্তীতে কখনো তাকে দুই তালাক দিলেই পূর্বের এক তালাকসহ তিন তালাক হয়ে আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে ছিন্ন হয়ে যাবে এবং আপনারা একে অপরের জন্য হারাম হয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে পুনরায় বিবাহ করারও সুযোগ থাকবে না। তাই ভবিষ্যতে তালাকের ব্যাপারে সতর্কতা কাম্য।

আরো উল্লেখ্য, তালাক বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্নকারী চূড়ান্ত পদক্ষেপ। দাম্পত্য জীবনের সমস্যা একেবারে জটিল হয়ে পড়লে এবং সমস্যা নিরসনের আর কোনো উপায় না থাকলে তা থেকে নিষ্কৃতির সর্বশেষ পথমাত্র। তালাকের ব্যাপারে ভেবে-চিন্তে বিজ্ঞজনের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত। বিনা কারণে তালাক দেওয়া কিংবা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তালাক দেওয়া অন্যায় ও গুনাহের কাজ। ক্ষেত্রবিশেষে তা স্ত্রী-সন্তানের ওপর জুলুমও বটে। তাই ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।

-বাদায়েউস সানায়ে ৩/৩২৩, ২৯৫; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৩/১৬২; আলবাহরুর রায়েক ৪/৫৬; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৫/১৪৮; আদ্দুররুল মুখতার ৩/৪০৯

মাসিক আলকাউসার