বুধবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, পৌষ ১৭ ১৪৩২, ১১ রজব ১৪৪৭

জাতীয়

খালেদা জিয়ার মরদেহ নেওয়া হল গুলশানে

 প্রকাশিত: ১০:৫০, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

খালেদা জিয়ার মরদেহ নেওয়া হল গুলশানে

সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার মরদেহ নেওয়া হয়েছে তার বড় ছেলে তারেক রহমানের গুলশানের বাড়িতে।

বুধবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে জাতীয় পতাকা শোভিত তার লাশবাহী গাড়ি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের ১৯৬ নম্বর নম্বর বাড়িতে পৌঁছায়।

বাড়িতে অবস্থান করছেন তারেক রহমান, তার স্ত্রী সহধর্মিণী জুবাইদা রহমান, কন্যা জাইমা রহমান। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান সিঁথি, দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান রয়েছেন।

খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, শামীমের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, বিএনপি চেয়ারপারসনের মেজ বোন সেলিমা ইসলাম, প্রয়াত ভাই সাঈদ এস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন এস্কান্দারসহ অন্য স্বজনরাও রয়েছেন। জুবাইদা রহমানের মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু, তার বড় মেয়ে শাহিনা জামান খানও রয়েছেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, হাফিজ উদ্দিন আহমেদও সেখানে রয়েছেন।

আওয়ামী লীগ শাসনামলে ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা সেনানিবাসের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হওয়ার পর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় ওঠেন খালেদা জিয়া। আর তার ছেলে তারেক রহমান যুক্তরাজ্যের দেড় দশকের নির্বাসন কাটিয়ে গত সপ্তাহে ওঠেন পাশের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে।

এই বাড়িটি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পরে তার সহধর্মিণী খালেদা জিয়াকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। মাস কয়েক আগে এ বাড়ির দলিলপত্র বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে হস্তান্তর করেন গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রিজু।

ডিএমপি জানিয়েছে, বিএনপি নেত্রীর কফিন বহনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতাল, ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে, কুড়িল ফ্লাইওভার, নৌ সদর দপ্তর হয়ে বাসভবন ফিরোজা এবং গুলশান-২, কামাল আতাতুর্ক অ্যাভেনিউ, এয়ারপোর্ট রোড, মহাখালী ফ্লাইওভার, জাহাঙ্গীর গেট, বিজয় সরণি, উড়োজাহাজ ক্রসিংয়ের সড়কে বুধবার যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে।

এদিন বাদ জোহর মানিক মিয়া অ্যাভেনিউয়ে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তার কফিন এ অ্যাভেনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে রাখা হবে।

জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভেনিউজুড়ে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।

জানাজার পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনকে তার স্বামী, দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।

নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ‘আপসহীন নেত্রী’ অভিধা পাওয়া খালেদা জিয়া বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছেন ৪১ বছর। তিনি পাঁচবারের সংসদ সদস্য, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী; আর বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেছেন দুইবার।