হাদির ময়নাতদন্ত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে
রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদির মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।
শনিবার সকাল ১০টার কিছু আগে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দীর মর্গে নেওয়া হয় পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান জানিয়েছেন।
সাড়ে ১০টার দিকে তিনি বলেন, “পোস্টমর্টেম চলমান আছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
উপকমিশনার ইবনে মিজান বলেন, এখান থেকে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে হাদির মরদেহ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নেওয়া হবে জানাজার জন্য।
ওসমান হাদির কফিন সিঙ্গাপুর থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছানোর পর সেখান থেকে সরাসরি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে নিয়ে যাওয়া হয়।।
শনিবার দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এতে যারা অংশগ্রহণ করবেন, তাদেরকে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারি বস্তু বহন না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর।
জানাজায় বিপুল লোকসমাগমের সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে ডিএমপি বলেছে, জানাজায় অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে খেজুর বাগান ক্রসিং থেকে মানিক মিয়া অ্যাভেনিউ পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
ইনকিলাব মঞ্চ এক ফেইসবুক পোস্টে লিখেছে, পরিবারের দাবির ভিত্তিতে তাদের সংগঠনের আহ্বায়ককে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশে সমাহিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
হাদির মৃত্যুর ঘটনায় এদিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে।
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে রিকশায় করে যাওয়ার সময় ওসমান হাদির উপর আক্রমণ হয়। ওই সময় মোটরসাইকেলে করে এসে দুজন তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার চিকিৎসা চলে।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়েছিল; সেখানেই বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।