শনিবার ২২ নভেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩২, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

ফের ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ নরসিংদীতে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৫ এবার রেকর্ড সংখ্যক বিদেশি পর্যবেক্ষক ভোট দেখবে যুদ্ধবিরতিতেই গাজায় অন্তত ৬৭ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে: ইউনিসেফ হোয়াইট হাউসে উষ্ণ সাক্ষাতে মামদানিকে প্রশংসায় ভাসালেন ট্রাম্প স্পেনে কয়লাখনি দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ ভিয়েতনামে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে ঢাকায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা কুষ্টিয়ায় ‘আধিপত্যের জেরে’ কৃষককে গুলি করে হত্যা নতুন হল ভবনের দাবি: কর্মচারীদের ফ্ল্যাটে রাত্রিযাপন ঢাবি শিক্ষার্থীদের ৫.৭ মাত্রার ঝাঁকুনি দিল ‘বড় বিপর্যয়ের’ সতর্কবার্তা ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০, আহতও অনেক ভারতকে সুপার ওভারে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

জাতীয়

ফের ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

 প্রকাশিত: ১৩:৫৯, ২২ নভেম্বর ২০২৫

ফের ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

তীব্র ভূমিকম্পের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের ঝাঁকুনিতে কাপল বাংলাদেশ।

শনিবার সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে এ ভূমিকম্প হয় বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা রুবাঈয়্যাৎ কবীর।

এটি ‘আফটার শক’ ছিল জানিয়ে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ২৯ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর পলাশ। এটি ছিল মৃদু মাত্রার ভূমিকম্প; রিখটার স্কেলে এটি ছিল ৩ দশমিক ৩ মাত্রার।

এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে কয়েক দশকের মধ্যে দেশের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের কবলে পড়ে বাংলাদেশ।

তাতে তিন জেলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়, আহত হয় ছয় শতাধিক মানুষ। ঢাকার বহু ভবনে ফাটল, কোথাও কোথাও হেলে পড়ার ঘটনা ঘটে।

৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীরই মাধবদীতে, কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। স্থায়ীত্ব ছিল ২৬ সেকেন্ড।

তীব্র ঝাঁকুনির এ ভূমিকম্পের পর এখনই করণীয় ঠিক করতে তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদি আহমেদ আনসারী সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে এ বিশেষজ্ঞ বলছেন, “আজকের ভূমিকম্পটা বলা যেতে পারে ‘ফোরশক’। বড় ভূমিকম্পের আগে ছোট ছোট যে ভূমিকম্প, এটা সেগুলোর একটি।”

এ অঞ্চলে বড় ভূমিকম্পের শঙ্কা যে রয়েছে, সেটা স্মরণ করে দিয়ে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, ঢাকার ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পন হলে ২ থেকে ৩ লাখ মানুষ হতাহত হবে। পাঁচ থেকে সাত লাখ মানুষ অবরুদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি ভেঙে পড়তে পারে ঢাকা শহরের ৩৫ শতাংশ ভবন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বড় ধরনের ভূমিকা এড়ানো হয়ত সম্ভব নয়, তবে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

সেক্ষেত্রে ভবনের মান পরীক্ষা করা, ঝুঁকির ভিত্তিতে সেগুলোকে আলাদা করা এবং নাগরিকদের সতর্ক করাসহ নিয়মিত মহড়া আয়োজনে জোর দেওয়ার কথা বলেছেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার শুক্রবার বলেন, “বাংলাদেশ কম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হলেও ঝুঁকির দিক দিয়ে খুব উপরে রয়েছে। যে পরিমাণ শক্তি ইন্ডিয়ান-বার্মা প্লেটের সংযোগ স্থলে জমা হয়ে আছে, সেই শক্তিটা যদি বের হয়, তাহলে ৮ দশমিক ২ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে।

“এটা আগামীকালও হতে পারে, ৫০ বছর পরেও হতে পারে। কখন হবে, সেটা আমরা বলতে পারি না। তবে যেটা হবে, সেটা খুব মারাত্মক হবে। ‘সাবডাকশন জোনের’ ভূমিকম্প ভয়ঙ্কর হয়।”