মঙ্গলবার ১৮ নভেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩২, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

স্ত্রী-কন্যাসহ নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

 প্রকাশিত: ১৪:২৯, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

স্ত্রী-কন্যাসহ নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং তার স্ত্রী-কন্যার নামে থাকা ৫৭টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত।

দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি রিয়াজ হোসেন বলেছেন, নানক এবং তার স্ত্রী সৈয়দা আরজুমান বানু, মেয়ে এস. আমরীন রাখী এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নামের এসব ব্যাংক হিসাবে ২ কোটি ৮৯ লাখ ৮৯ হাজার ৩৫৬ টাকা রয়েছে।

দুদকের পক্ষে সংস্থার উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান এসব ব্যাংক হিসা অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, “জাহাঙ্গীর কবির নানক, সৈয়দা আরজুমান বানু, এস. আমরীন রাখীর নামীয় এবং তার স্ত্রীর নামীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এমএস ডন অ্যাডভারটাইজিংয়ের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক ১৭ কোটি ৫৫ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৩ টাকা জমা ও ১৪ কোটি ৬২ লাখ ৭৮ হাজার ৮১৭ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৩২ কোটি ১৮ লাখ ৫৮ হাজার ৪৫০ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করা হয়েছে।”

তদন্তে দেখা গেছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা নিজের নামে ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের নামে এসব চলতি হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব, এফডিআরসহ অন্যান্য হিসাবের অর্থ (অস্থাবর সম্পদ) অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন।

অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

এর আগে গত ১৮ মে একই আদালত তাদের তিনজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়। গত গত ১৫ জানুয়ারি টেলিকম কোম্পানির মাধ্যমে ২৬০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে জাহাঙ্গীর কবির নানকের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই মামলায় নানকের স্ত্রী ও মেয়েকেও আসামি করা হয়েছে।

দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়, সৈয়দা আরজুমান বানু ও এস আমরীন রাখি রাতুল টেলিকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও পরিচালকের দায়িত্বে থাকার সময় য় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ২৫৯ কোটি ৬২ লাখ ৫ হাজার ১৫৮ টাকার সমমূল্যের ৩ কোটি ৩২ লাখ ৮৪ হাজার ৬৮১ মার্কিন ডলার পাচার করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এ সময় জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি ও মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার প্রভাব খাটিয়ে মুদ্রা পাচারে তার স্ত্রী ও মেয়েকে সহযোগিতা করে দণ্ডবিধি এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।