মামুনের শরীরে ৭ গুলির চিহ্ন, ৬টিই ছেদ করে বেরিয়ে যায়
পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে গুলিতে নিহত তারিক সাইফ মামুনের (৫৫) লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তার শরীরের সাতটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ছয়টিই শরীর ছেদ করে বেরিয়ে যায়। বাকি বুলেটটি ময়নাতদন্তকালে থেকে বের করা হয়েছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরের পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মর্গে তারিক সাইফ মামুন ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এরপর নিয়ম অনুসারে পুলিশের উপস্থিতিতে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
ঢামেক হাসপাতাল মর্গের একটি বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, মামুনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সাতটি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। এর মধ্যে ছয়টি গুলি শরীরের বিভিন্ন স্থান দিয়ে প্রবেশ করে অন্য দিক দিয়ে বেরিয়ে যায়। বাকি একটি বুলেট বের করা হয় শরীর থেকে।
তবে ময়নাতদন্তের আগে সূত্রাপুর থানা পুলিশ লাশের সুরতাল প্রতিবেদন তৈরি করে।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে ফিল্মি কায়দায় প্রকাশ্যে মামুনকে গুলি করা হয়। তখন ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসক বেলা ১২টা ১০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থলের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মামুন দৌড়ে কোনো একটি ভবনের গেট দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করছেন। তখন পেছন থেকে দুই ব্যক্তি তাকে খুব কাছ থেকে মুহুর্মুহু গুলি করে। পরে তারা সেখান থেকে হেঁটে চলে যায়।
এ বিষয়ে ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী বাংলানিউজকে বলেন, নিহত ব্যক্তি ইমন-মামুন গ্রুপের মামুন। তিনি এক সময় সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী ছিল। পরে নিজেই ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ হয়ে ওঠেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা করছি। ছোট ছোট গোয়েন্দা তথ্য পাচ্ছি। এর বাইরে এখন আর কিছু বলতে পারছি না।
এদিকে মামুনের পরিবার জানায়, তিনি বাড্ডার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। সকালে একটি মামলার হাজিরা দিতে পুরান ঢাকায় গিয়েছিলেন।