ধর্ষণ মামলায় খালাস পেলেন মামুনুল হক
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার ধর্ষণ মামলার রায়ে খালাস পেয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক৷
বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেসমিন আরা বেগম এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।
এ সময় এজলাসে মামুনুল হক উপস্থিত ছিলেন।
রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরে মামুনুল সাংবাদিকদের বলেন, “স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা আমার চরিত্র হরণের চেষ্টা করেছিলেন, এজন্য তার পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করেছিলেন৷ আমার পরিবারকে জিম্মি করে, হত্যার হুমকি দিয়ে আমাকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা সে করেছিল৷
“মহান আল্লাহ আমাকে সেই ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করেছেন৷ বিচার-ব্যবস্থাও তাদের স্বচ্ছতা রক্ষা করেছে৷ এবং এরকম একটি অপবাদমূলক মিথ্যা মামলা থেকে আমাকে রেহাই দিয়েছে৷”
তবে, রায় ঘোষণার সময় বাদী কিংবা বাদীপক্ষের কোনো আইনজীবী এজলাসে উপস্থিত ছিলেন না৷ এ কারণে রায়ের বিষয়ে বাদীপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷
আদালত সূত্রে জানা যায়, বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মোহসীন মিয়া৷
আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এ আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে কয়েকটি মামলা হয়েছে৷
মামলার বরাতে আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইয়ুম খান জানান, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল বিকালে সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে মামুনুল হককে আটক করে স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারাও সেখানে গিয়েছিলেন। পরে হেফাজতের কর্মীরা গিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
পরে মোহাম্মদপুর থানায় ২০২০ সালের একটি নাশকতার মামলায় ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
এর পর ৩০ এপ্রিল ওই নারী সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।
একই বছরের ৩ নভেম্বর ধর্ষণ মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পুলিশ।
হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনসহ বিভিন্ন আইনে ৪১টি মামলা ছিল।
সর্বশেষ মামলায় উচ্চ আদালতে জামিন লাভের পরে এ বছরের ৩ মে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।