শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩, চৈত্র ১৮ ১৪২৯, ১০ রমজান ১৪৪৪

জাতীয়

ফাঁসির আসামির আত্মহত্যা

 আপডেট: ০০:০৬, ২৭ জানুয়ারি ২০২৩

ফাঁসির আসামির আত্মহত্যা

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদি আত্মহত্যা করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি। এ ঘটনায় এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
ওই কয়েদির নাম নজরুল ইসলাম (৩০)। তিনি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার পাবদা গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্ত্রী ও সন্তান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাঁকে ২০২১ সালের ২০ মার্চ কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
জেল সুপার আরও জানান, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার স্ত্রী ও সন্তান হত্যা মামলায় আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। তাঁকে ২০২১ সালের ২০ মার্চ কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। তার পর থেকে তিনি কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে বন্দী ছিলেন। আজ সকালে তাঁকে কারাগারের ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে কারারক্ষীরা তাঁকে নামান। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

জেল সুপার দাবি করে বলেন, ‘সকালে বিষয়টি কারারক্ষীরা আমাদের কাছে গোপন করে। পরে বিষয়টি জানতে পেরে দায়িত্বে অবহেলার কারণে সর্বপ্রধান কারারক্ষী হামিদ গাজী, সহকারী প্রধান কারারক্ষী ফাইজ উদ্দিন ও কারারক্ষী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

জেল সুপার আরও বলেন, এ ঘটনা তদন্তের জন্য জেলার লুৎফর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নজরুল ইসলামের মরদেহ তাঁর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
 

অনলাইন নিউজ পোর্টাল ২৪

মন্তব্য করুন: