শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ২৮ ১৪৩২, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

রেডিট অস্ট্রেলিয়ার নিষেধাজ্ঞা চ্যালেঞ্জ করছে। ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর সিভেরস্ক দখল করার দাবি রাশিয়ার কিয়েভে ২টি বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ৪ কিয়েভ ও মস্কোর সঙ্গে শান্তি আলোচনায় ‘হতাশ’ ট্রাম্প তফসিল ঘোষণা: সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ১২ ফেব্রুয়ারি গণঅধিকারের সঙ্গে আসিফের ‘আলাপ’, মাহফুজের খবর নেই তারেক রহমানের ফেরার দিন যেন বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে: ফখরুল ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪১১ শুক্রবার থেকে সারাদেশে নামছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাখাইনে ‘হাসপাতালে মিয়ানমার জান্তার বিমান হামলায়’ নিহত অন্তত ৩০ সরকারি ব্যয় সংকোচনে ‘কিছুটা সফল’: ইলন মাস্ক গুলশানে ফ্ল্যাট জালিয়াতি : টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে অস্ট্রিয়া রোজা সামনে রেখে খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমল চিকিৎসায় ‘রেসপন্স’ করছেন খালেদা জিয়া গোপালগঞ্জে কভার্ড ভ্যান চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত ধনীদের জন্য চালু হল ট্রাম্পের ‘গোল্ড কার্ড’ ভিসা চীন-রাশিয়ার যৌথ যুদ্ধবিমান টহলে জাপান-ন্যাটো’র গভীর উদ্বেগ

ইসলাম

নামাজ পড়ার ফজিলত ও না পড়ার ক্ষতি

 প্রকাশিত: ১০:৫৭, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫

নামাজ পড়ার ফজিলত ও না পড়ার ক্ষতি

নামাজ ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের অন্যতম। কোরআন-হাদিসে যেমন নামাজ আদায়ের বহু ফজিলত বর্ণিত হয়েছে ও তা আদায়ের উত্সাহ দেওয়া হয়েছে। ঠিক তেমনি নামাজ ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে বর্ণিত হয়েছে অনেক ধমকি ও শাসি্তর কথা। সঠিক সময়ে নামাজ আদায়ের দ্বারা ব্যক্তি আল্লাহর নৈকট্যভাজন হয়। আর অযথা অকারণে নামাজ ছেড়ে দিলে ব্যক্তি হয় আল্লাহর বিরাগভাজন। নিম্নে নামাজ আদায়ের কিছু ফজিলত ও অযথা ছেড়ে দেওয়ার কঠোরতার সম্বন্ধে কয়েকটি হাদিস উপস্থাপন করা হলো

উত্তমরূপে অজু করে নামাজ পড়ার ফজিলত

আমর ইবনে সাঈদ ইবনুল আতা (রা.) বলেন, আমি উসমান (রা.)-এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় তিনি পানি আনার নির্দেশ দিলেন। তারপর বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি যে যখন কোনো ফরজ নামাজের ওয়াক্ত হয়। আর মুসলিম ব্যক্তি উত্তমরূপে অযু করে। নামাজে বিনয় ও রুকুকে উত্তমরূপে আদায় করে। তাহলে যতক্ষণ না সে কোনো কবিরা গুনাহে লপ্তি হবে এই নামাজ তার পূর্ববর্তী সব গুনাহের জন্য কাফফারা হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আর এ অবস্থা সর্বযুগেই বিদ্যমান। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪৩৬)

একটি ঘটনা

আবু জর গিফারি (রা.) বলেন, নবীজি (সা.) একবার শীতকালে বাইরে বের হলেন। তখন বৃক্ষ হতে পাতা ঝরে পড়ছিল। তিনি একটি বৃক্ষের দুটি ডাল ধরে নাড়া দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তাতে বৃক্ষের পাতা আরও বেশি ঝরতে লাগল। আবু জর (রা.) বলেন, নবীজি তখন আমাকে ডাকলেন, হে আবু জর! আমি সাড়া দিয়ে বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি উপস্থিত! তিনি বলেন, নিশ্চয়ই মুসলমানরা যখন নামাজ পড়ে এবং তার দ্বারা উদ্দেশ্য হয় কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। তখন তার গুনাহসমূহ ঝরে যেতে থাকে, যেভাবে বৃক্ষ হতে পাতাগুলো ঝরে পড়ছে। (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস : ৫৭৬)

নামাজ পরিত্যাগ করা কুফুরি

জাবির (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘বান্দা ও কুফরের মধ্যে ব্যবধান হলো নামাজ পরিত্যাগ করা।' (তিরমিজি, হাদিস : ২৬২০)

ADVERTISEMENT

স্বেচ্ছায় নামাজ ছাড়লে আল্লাহর জিম্মা উঠে যায়। 

আবু দারদা (রা.) বলেন, আমার বন্ধু রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে অসিয়ত করেছেন যে আল্লাহর সঙ্গে কিছু শরিক করবে না, যদিও তোমাকে টুকরো টুকরো করা হয়, কিংবা আগুনে ভস্মীভূত করা হয়। আর ইচ্ছাকৃতভাবে ফরয নামাজ ছেড়ে দেবে না। যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় তা ছেড়ে দেয়, তার থেকে আল্লাহর জিম্মা উঠে যায়। মদ পান করবে না। কেননা, তা সমস্ত পাপ কাজের মূল। (ইবনে মাজা, হাদিস : ৪০৩৪)

লেখক : শিক্ষক, জামিয়াতুল আবরার দারুল উলূম আল-ইসলামিয়া উরশীউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।