রোববার ০৬ জুলাই ২০২৫, আষাঢ় ২১ ১৪৩২, ১০ মুহররম ১৪৪৭

ব্রেকিং

সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থায়(পিআর) ‘ভবিষ্যৎ বিভক্তি’র শঙ্কা তারেক রহমানের জুলাই বিপ্লব নিয়ে কটূক্তি করায় কুষ্টিয়ায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্য ক্লোজড কলেজ প্যাডে ছাত্রদলের প্রচারণা? অধ্যক্ষের ব্যাখ্যা ঘিরে বিতর্ক মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের সংঘাত বিস্তার: বিশ্লেষণ কলম্বিয়ায় পাহাড়ধসে মৃত্যু ১৬, নিখোঁজ অন্তত ৮ “ত্রাণ নিতে এলে গুলি করতাম”—গাজার ঘটনায় মুখ খুললেন ইসরায়েলি সেনারা তেহরানে ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার চলছেই, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৫০ ইরানে বাংলাদেশিদের সহায়তায় হটলাইন চালু উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ: সিলেটে তিনজন কারাগারে ইসরায়েলের টার্গেটে ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার ভবন লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ১৩ জুন তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন: ফখরুল রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হবে কাঁচের মতো স্বচ্ছ ঘর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনের ঘোষিত সময় মাথায় রেখে যথাসময়ে রোডম্যাপ দেবে ইসি: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ছাত্রদল নেতা নাছির উদ্দিন মণিপুরে আবার উত্তেজনা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের চাপে ঢাকার ৪ থানায় সক্রিয় অর্ধশতাধিক অপরাধী দল জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি: সালাহউদ্দিন আহমদ জুলাই সনদ–ঘোষণাপত্র হলে ঘোষিত সময়ে নির্বাচনে আপত্তি নেই: এনসিপি ২৫ কিলোমিটার যানজট, ২৪ ঘণ্টায় পারাপার ৬৪ হাজার যানবাহন বান্দরবানের রুমা ও থানচি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে প্রত্যাহার গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো, জাতিসংঘ নিরাপত্তা গরম মসলার বাজার শীতল: ক্রেতা কমে যাচ্ছে, দাম কিছুটা স্থিতিশীল ঈদে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দই-মিষ্টি মজুত, রংপুরে হিমাগারে অভিযান ও দুই লাখ টাকা জরিমানা বান্দরবানের লামায় পাহাড় ধসের শঙ্কায় ৬০ রিসোর্ট বন্ধ নির্বাচন নিয়ে তরুণদের প্রতি অসত্য অভিযোগ ও বাস্তবতা ভারতের মুসলমানদের কেন বারবার দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে হয় সংবিধান পরিবর্তন ছাড়া ফ্যাসিবাদ বিলোপ সম্ভব নয়: এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক একুশের বন্ধুত্বে আগামীর পথচলা: বার্ষিক সম্মেলনে ২১তম বিসিএস প্রশাসন ফোরাম বিজিএমইএ`র নতুন নেতৃত্বে আসছেন বাবু, নিরঙ্কুশ জয়ের ইঙ্গিত জিলহজ মাসের আমল ও কোরবানির তাৎপর্য চট্টগ্রামে নারীকে লাথির ঘটনায় ভাইরাল আকাশ চৌধুরী বহিষ্কৃত, জামায়াতের বিবৃতি সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেই, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিল পবিস শ্রমিকরা আনচেলত্তির স্বপ্ন - রিয়াল মাদ্রিদের মতো করে খেলাবেন ব্রাজিলকে ডিমের দাম এখনো চড়া, ডজন ১৩০–১৪০ টাকায় বিক্রি বৈরী আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপের সঙ্গে সারাদেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ হারের পর লিটনের মনোভাব - এখনো দুই ম্যাচ বাকি কাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব জুয়েলারি দোকান বন্ধ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করবে ডিএনএ টেস্ট করে নামফলক ও মর্যাদা চায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা বেতন না পেয়ে ডাকাতি, জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ারসহ তিনজন আটক “বাংলাদেশে কৌশলগত স্বার্থ নেই দক্ষিণ কোরিয়ার”—রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক “শাপলার হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই”—হেফাজতের বিবৃতি মির্জা আব্বাস: “করিডর আর স্টারলিংক আনা হচ্ছে আরাকান আর্মির জন্য” জিলহজ মাসের চাঁদ দেখে যে দোয়া পড়বেন নির্বাচনের আগে যতটুকু দরকার, ততটুকুই সংস্কার করতে হবে: মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ‘চিন্তার স্বাধীনতাও হারাচ্ছি?’— নারী কমিশন বিতর্কে গীতিআরার উদ্বেগ ইউক্রেনে রাশিয়ার টানা হামলায় নিহত ১২, কঠোর চাপের আহ্বান জানালেন জেলেনস্কি সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন – তিনটি কঠিন দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট আমরা জুলাই অভ্যুত্থান ক্ষমতার পালাবদল নয়, এটি মৌলিক সংস্কার: নাহিদ হলুদ সাংবাদিকতা’ বিরোধী স্লোগানে উত্তাল শিক্ষক মিছিল ভারতের নিষেধাজ্ঞায় আখাউড়া বন্দর দিয়ে রপ্তানি কমেছে ৪০% বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলছে, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি জাতীয় স্বার্থে অভিমান ভুলে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান : জামায়াত আমির আন্দোলনের পর অবশেষে নিয়োগ পেলেন ৪৩তম বিসিএসের বাদ পড়া ১৬২ জন নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে ইসির সামনে এনসিপির বিক্ষোভ কাল বাংলাদেশে স্টারলিংকের যাত্রা, স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের নতুন যুগ শুরু নরওয়ের দৃঢ় সমর্থন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিগত সরকারের সময় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত, এমন অবস্থা ছিল যে খতিবকেও পালাতে হয়েছিল: বাণিজ্য উপদেষ্টা গায়ের জোরে নগর ভবন দখল করে আন্দোলন চালাচ্ছে বিএনপি আবারও রাজপথে নামার ইঙ্গিত আসিফের, সতর্ক করলেন হাসনাত গোপন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন স্থগিত, ২০ মে আলোচনায় বসবে ঐক্য পরিষদ ভারতের আমদানি নিষেধাজ্ঞা সীমান্ত বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে ভারতের নতুন সিদ্ধান্তে উত্তর-পূর্বাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশি ভোগ্যপণ্য আমদানি বন্ধ গত ৯ মাসে জুলাই-যোদ্ধাদের ওপর ৩৮টি হামলা জবি’র ৪ দফা দাবি মেনে নেওয়ায় আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা ডিবি থেকে মুক্তির পর আন্দোলনে উল্লাস জবি শিক্ষার্থীর গাজা দখলে নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা পুনর্ব্যক্ত করলেন ট্রাম্প শাহরিয়ার হত্যাকাণ্ডে বিচার নিশ্চিতের অঙ্গীকার উপদেষ্টা আসিফের সোনার দাম ভরিতে কমল ৩ হাজার ৪৫২ টাকা, নতুন দর কার্যকর শুক্রবার থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: নিরাপত্তা নিশ্চিতে বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ শ্রীনগরজুড়ে বিস্ফোরণ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওমর আব্দুল্লাহর উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ ‘চলবে’, শনিবার গণজমায়েত ড্রোন যুদ্ধ: ভারত-পাকিস্তান বিরোধের নতুন অধ্যায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আ.লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বেন না আন্দোলনকারীরা ‘আপ বাংলাদেশ’–এর আত্মপ্রকাশ পূর্বঘোষণা ছাড়া ভারত সফরে সৌদি প্রতিমন্ত্রী, পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনায় কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে মার্চের হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের দেশীয় ওষুধ কোম্পানি রেনাটাকে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে আইএফসি তারেক রহমান: সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে সহায়তা করছে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের নির্দেশে ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল ইউটিউবে বন্ধ

ইসলাম

একটি আদর্শ সমাজের রুপরেখা!

 প্রকাশিত: ২২:৫৭, ৩০ নভেম্বর ২০২০

একটি  আদর্শ সমাজের রুপরেখা!

পবিত্র কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ^বাসির জন্য রহমত স্বরুপ প্রেরণ করেছি। (সুরা আল-আম্বিয়া, আয়াত ১০৭) আল্লাহ তায়ালা বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যে, সারা জগতের জন্য শান্তির বাতাস প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে এ ধরায় প্রেরণ করেছেন তা তাঁর বাণী থেকেই প্রমাণ পাওয়া যায়।

আর বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও নিজের পরিচয় দিয়ে বলেছেন, আমি শিক্ষক হিসেবে প্রেরিত হয়েছি। আমি উত্তম আদর্শ শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রেরিত হয়েছি। (বুখারী, মুসলিম) সুতরাং ঠিক তাই তিনি করে গেছেন, যা তাঁর আগমনের উদ্দেশ্য ছিল। যার প্রমাণ ছোট থেকেই লক্ষ্য করা যায়। আজ সর্বত্র সংস্কারের পরিকল্পনা থাকলেও নাই বাস্তব সম্মত কর্মপদ্ধতি। তাইতো কোনভাবেই সমাজ মাদক, র্ধষণ ও অপরাধ মুক্ত হচ্ছেনো। আসুন ফলো করি তার আদর্শ যার প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল স্বার্থক ও সফল। শিক্ষা নিবো তার থেকে যিনি ছিলেন মানবতার শিক্ষক। নিম্নে তার সমাজ পরিবর্তনের রুপরেখা দৃষ্টান্ত মুলক আলোকপাত করা হলো।

দুধমাতার কোলে নিষ্ঠার শিক্ষা: বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মা হালিমার দুধ পান করেন তখনই নিজের দুধভাইয়ের প্রতি ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে নিষ্ঠার শিক্ষা দিয়ছেন। হযরত হালিমাতুস সাদিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন যে, বিশ^নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রথম দিন যে স্তন থেকে দুধ পান করেছিলেন, যতদিন দুধপান করেছেন ঠিক একই স্তন থেকে পান করেছেন। কখনও অপর স্তন থেকে দুধ পান করেননি। কারন তার সাথে আরেকজন ভাই ছিল তার জন্য রেখে দিতেন। এভাবেই তিনি শিশুকালিন নিষ্ঠার শিক্ষা দিয়েছেন।(তারিখুল ইসলাম)

ঐতিহাসিক সমাধান: বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাত্র ৩৫ বছর ২ মাস বয়সে সমগ্র আরবের সকল গোত্রের মধ্যেকার আশু-রক্তক্ষয়ী সংঘর্র্ষের ঐতিহাসিক সমাধান করে সারা আরবে প্রশংসার পাত্রতে রুপান্তরিত হন। অর্থাৎ সে সময় মক্কায় বন্যার কারনে কাবা ঘর ভেঙ্গে গিয়েছিল। তাই আরবের সকল গোত্রের অংশগ্রহনের মাধ্যমে কাবা ঘর পুনঃসংস্কার এর কাজ করার উদ্যেগ গ্রহন করা হয়। এবং যথারিতি কাজ সম্পন্ন হয়ে যখন হাজরে আসওয়াদ নির্ধারিত স্থানে পুনঃস্থাপনের সময় হলো তখন বিবাদ শুরু হলো।

কেননা কাজটি ছিল অতি সম্মানের, আর সকল গোত্র চাচ্ছিল এ সম্মানের কাজটি তারা করবে যার ফলে প্রায় সংঘর্ষ লাগার উপক্রম হলো। ইতিমধ্যে কুরাইশের একজন বয়োবৃদ্ধ ব্যাক্তি ঘোষনা দিলেন, এই কাবা ঘরের দরজা দিয়ে যে ব্যাক্তি সর্বপ্রথম প্রবেশ করবে সে যে সিদ্ধান্ত দিবে তা সকলে মেনে নিতে হবে। সকলে মোটামুটি রাজি হয়ে গেল। সকলে দৃষ্টি রাখলো দরজার দিকে হঠাৎ করে দেখা গেল প্রবেশ করছেন মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ। সকলে এবার এক বাক্যে বলে উঠলো হ্যাঁ এই ব্যক্তির সিদ্ধান্ত মেনে নিতে আমাদের কোন সমস্যা নাই।

বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত প্রদান করে সকলের দিলে স্থান করে নিলেন। তাহলো বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের চাদর বিছিয়ে নিজ হাতে হাজরে আসওয়াদ উঠিয়ে চাদরের উপরে রাখলেন। তারপর সকর গোত্রের একেকজন প্রতিনিধিকে বললেন চাদর ধরে দেওয়ালের কাছে নিয়ে যেতে। সকলে চাদর ধরে যথাস্থানে নিয়ে গেলে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ হাতে তুলে নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করলেন। একদিকে সকল গোত্রের লোকের অংশগ্রহনের কারনে সবাই আনন্দিত হলো। অপরদিকে বিশ^নবীর (সাঃ) হাতে বিশে^র সম্মানিত পাথর খানা যথাস্থানে স্থাপিত হলো। আর আরব জাতী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পেল। (তারিখুল ইসলাম)

শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য হিলফুল ফুযুল গঠন: বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন সময় পৃথিবীতে আগমন করেন, যখন সারা আরব লুট-তরাজ, খুন, রাহাজানি, ধর্ষন, মাদক আর নির্যাতনে ভরা ছিল। তিনি আদর্শ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে বড় বড় গোত্রের লিডারদেরকে সাথে নিয়ে একটি শক্তিশালি কমিটি (সংগঠন) গঠন করেন। যা আজও হিলফুল ফুযুল নামে পরিচিত।

সে সময় এ সংগঠনে অংশ নেয়, বনু হাশিম, বনু মুত্তালিব, বনু আসাদ, বনূ যাহরাহ ও বনূ তামিম সহ আরও কিছু শক্তিশালি গোত্র। সকলে মিলে সংগঠনের লক্ষ্য স্থির করে, ১। আমরা দেশ থেকে নিরাপত্তাহীনতা দূরীবূত করবো। ২। আমরা মুসাফির (পরদেশী) দেরকে সংরক্ষন করবো। ৩। আমরা দরিদ্রদেরকে সাহায্য করবো। ৪। আমরা বড়দেরকে ছোটদের উপর অন্যায় অত্যাচার করা থেকে বাধা প্রদান করবো। এভাবেই শুরু করেন বিধ্বংসীত আরব জতীকে আদর্শ জাতীতে রুপান্তরের কার্যক্রম। তারপরে যখন তিনি নবুয়ত প্রাপ্ত হলেন তখন মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত ওহীয়ে এলাহীর মাধ্যামে আরব জাতীর আমুল পরিবর্তন করে সোনার জাতীতে রুপান্তরিত করলেন। নবুয়ত প্রাপ্তীর পরের কার্যক্রমের মধ্যে কিছু উল্যেখযোগ্য বিষয় আলোচনা করার চেষ্টা করছি।

নারী ও শিশুর যথার্থ মর্যাদা প্রদান: তখন নারী ও শিশু নারীদের সাথে করা হতো অমানবিক নির্যাতন। যা ইসলাম মুসলমান বা কোন ধর্ম কেন যে কোন মানুষের কাছেই ছিল অন্যায়। কিন্তু তা ছিল তাদের জন্য সচারচর সহজ ব্যপার অর্থাৎ নারীরা ছিল নিছক ভোগ্যসামগ্রী বা বিনোদনের বস্তু। আর কি আশ্চর্য যাদেরকে বিনোদনের জন্য ব্যবহার করবে তারাই যখন শিশু নারী হয়ে নিজের ঘরে জন্ম নেয় তাকে করে জীবন্ত হত্যা। এটি কোন দিক থেকেই বিবেকে ধরে না এটি কতখানি অপরাধ। বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইসলাম নিয়ে নবী হিসেবে আগমন করার পরে উভয় প্রকারের নারীদের জন্য সর্বচ্চ সম্মানের জায়গাটি প্রদান করলেন। বিশ্বনবী ঘোষণা করলেন যার তিনটি কন্যা সন্তান হবে সে খুশি মনে তাদের লালন পালন করে সঠিক পাত্রে বিবাহ প্রদান করলে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য তিনটি জান্নাত বরাদ্দ করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ!

সাহাবারা খুশি হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ যদি কারও দুইটি কন্যা হয় তার? বিশ^নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তার জন্য দুইটি জান্নাত। আর যার একটি কন্যা সন্তান হবে তার জন্য একটি জান্নাত। ( বুখারি, মুসলিম) অপরদিকে মা-দের জন্য ঘোষনা করলেন আরও মর্যাদার স্থান। বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাহ বলেন, জান্নাত তোমাদের মায়ের পায়ের নিচে। সুবহানাল্লাহ!  (বুখারি, মুসলিম) অর্থাৎ মাকে খুশি রাখতে পারলে তোমার জন্য জান্নাত ওয়াজিব। প্রিয় পাঠক/পাঠিকা, একবার ভাবেনতো কোন সময় বিশ^নবী এ ঘোষনা করলেন? যখন সমাজ পতিরা নারীদের ভোগের সামগ্রী বানিয়ে রেখেছে তখন। আর এখন যখন বিশ্বনবীর এ আদর্শ মোতাবেক সমাজ ব্যাবস্থার কথা বলতে যাই তখন নারীরা মনে করে ইসলাম আমাদের সমান অধিকার দেয়নি। প্রিয় বোন যে নবী তোমাকে ভোগ থেকে তুলে সম্মানের আসন দিল তাকে যদি পছন্দ না হয় আমার কিছু বলার নাই । তবে ঠান্ডা মাথায় একবার ভাবার আহবান করলাম। যে সকল নারীবাদি পুরুষেরা তোমার পক্ষে স্লোগান দেয় মুলত সে তোমাকে আবার ভোগের লালসায় ঘুরে। নিজের অবস্থান বুঝো আগে, সমান নয় বরং পুরুষের তুলনায় তোমার অধিকার বেশি।

সুদ প্রথা নিষিদ্ধ করণ: বিশ^নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন দেখলেন, আরবের সামাজিক অবস্থার অবনতির পিছনে মুল কারন হলো, অর্থনৈতিক যথেচ্ছা ব্যবহার। আর তখনকার আরবের অর্থ উপার্জনের মুল মাধ্যম ছিল অবৈধ পদ্ধতিতে উপার্জন। তার মধ্যে সুদ প্রথার প্রচলন ছিল সবথেকে বেশি ব্যাপক। আর এই সুদের কারনে কেউ হয়ে যেত বড় ধনী আর কেউ শোষনের বেড়াজালে পরে নিঃশেষ হয়ে যেত। ইচ্ছেমত জুলুম করতো ধনীরা গড়ীবদের উপর। তাই বিশ^নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দীপ্তকন্ঠে ঘোষনা করলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা সুদকে হারাম করেছেন আর ব্যবসাকে হালাল করেছেন। (সুরা আল বাকারা, আয়াত নং ২৭৫)

মাদক, জুয়া ও ব্যভিচার দমন: সমাজকে ঢেলে সাজাতে বিশ^নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাল্লাম লক্ষ্য করলেন যে, সবথেকে বেশী অপরাধ সংঘটিত হয় মদ ও জুয়ার আসরে তাই বিশ^নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ঘোষণা দিলেন, মহান আল্লাহর নির্দেষ। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ওহে মুমিনগন! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, প্রতিমা ও ভাগ্য নির্ণায়ক তীর এসব শয়তানের কারসাজী ঘৃন্য বস্তু। সুতরাং তোমরা এসব বর্জন যাতে তোমরা সফল হতে পারো।(সুরা মায়িদা আয়াত ৯০) এক হাদিসে বিশ^নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেন, নেশা জাতীয় যেকোন দ্রব্যই মাদক। আর যাবচতীয় মাদকই হরাম।

যে ব্যক্তি দুনিয়াতে মাদক সেবন করে অতঃপর নেশা অবস্থায় মারা যায় তওবা করার সুযোগ না পায় , আখিরাতে সে মদপান করা থেকে বি ত হবে। এছাড়াও বিভিন্ন হাদিসে ধাপে ধাপে আল্লাহর নির্দেষ মোতাবেক মদকে হারাম পর্যন্ত ঘোষণা করেন। এক পর্যায়ে তা সমাজ থেকে তা দুরীভুত হয়ে যায়। কিন্তু দুঃখজনক হঔের সত্য যে আমাদের সমাজেও মাদক নিষিদ্ধ , তবে তা ব্যক্তি কেন্দ্রীক উৎপত্তির জায়গা চালু খাওয়া নিষেধ। এভাবে নয় আসুন কোরআনের পদ্ধতিতে মাদক মুক্ত; সমাজ গড়ি।

সৎ পথে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান: আরব সমাজ যত অন্যায়ের মধ্যে লিপ্ত ছিল তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য অপরাধ হলো লুটতরাজ। আর এই অপরাধকারিদের ধরন হলো, বেকার সমাজ। তাই বেকারত্বের অভিসাপ থেকে বাঁচতে কর্মঠ মুখি হতে বিশ^নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সত্যবাদি ব্যবসায়ীদের ভুয়সী প্রশংসা করে জান্নাতী বলে ঘোষনা করলেন। যাতে সকলে কর্মমুখী হয় আর অপরের সম্পদের প্রতি লোভ না করে। আবু হুরায়রা রাদিআরøাহু আনহু; হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেেেছন, সৎ পথে ফকির ও মিসকিনদের জন্য উপার্জন কারী জিহাদরত ব্যাক্তির মত। (ইবনে মাজাহ) এছাড়াও কুরআন ও সুন্নাহয় হালাল উপার্জনের প্রতি ব্যপকভাবে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।

অপকর্ম রোধে ব্যক্তির ভুমিকা: সমাজে কোন আইন বা কোন গোষ্ঠীর দ্বারা একক ভাবে কোন অন্যায় দুর করা সম্ভবপর নয়। এখানে যেমন আইন দরকার তেমনি প্রত্যেকটি স্থান থেকে ব্যক্তিগত ভুমিকা খুবই প্রয়োজন। নিজ নিজ দ্বায়িত্বে যদি সকলে অপকর্ম ছেড়ে দেয় তাহলে অতি সহজে সমাজ কলুষ মুক্ত হয়ে যাবে। অন্যায়ের বিরোধিতা করা প্রত্যেকের দ্বায়িত্ব।

বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমরা প্রত্যেকেই জিম্মাদার এবং প্রত্যেককেই আল্লাহর দরবারে হিসাব দিতে হবে।(বুখারি মুসলিম) সুতরাং শুধু একটি গোষ্ঠীর উপ সমাজ সংস্কারের দ্বায়িত্ব দিয়ে রাখলে তা মোটেও যুক্তিসঙ্গত নয় । বরং সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে। সব ধরনের অন্যায়ের বিরোধীতা করে, ন্যায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি আদর্শ সমাজ গঠন করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সে তৌফিক দান করুন। আমিন

লেখক: সাংবাদিক, ইসলামি গবেষক ও কলামিষ্ট।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল