সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদে দুদক
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রাডার ক্রয় সংক্রান্ত প্রায় ২০০ কোটি টাকা লুটপাটের মামলায় সাবেক বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মুহিবুল হককে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ আদেশ দেন।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘ইনস্টলেশন অব রাডার উইদ সিএনএস-এটিএম’ শীর্ষক মেগা প্রকল্পে প্রচলিত সরকারি ক্রয় বিধি লঙ্ঘন করে ব্যয় বাড়ানো, আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার, অনুমোদন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম এবং অবৈধ সুবিধা গ্রহণ ও প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রকল্পের কাজ নিজেদের পছন্দের ঠিকাদারকে দেওয়ার লক্ষ্যে যোগসাজশে স্থানীয় এজেন্ট এরোনেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডকে অবৈধভাবে সম্পৃক্ত করা হয়। এ ঘটনায় দণ্ডবিধির ১২০বি, ১৬১, ১৬৩, ১৬৪, ৪০৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় দুদক ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ বছরের ২৭ জানুয়ারি মামলা দায়ের করা হয়।
দুদক জানায়, মামলার এজাহারনামীয় আসামি সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মুহিবুল হক বর্তমানে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, আটক রয়েছেন এবং তাকে সংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
অন্যদিকে, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বর্তমানে বিভিন্ন থানার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আটক থাকলেও তিনি আলোচ্য মামলার আসামি নন। তবে তদন্তের স্বার্থে রেকর্ডপত্র সংক্রান্ত বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন বলে দুদক আদালতকে অবহিত করেছে।
মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত তথ্য উদঘাটনের লক্ষ্যে উভয়কে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়ার জন্য আদালতে দুদক আবেদন করলে তা মঞ্জুর করা হয়।