মঙ্গলবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, পৌষ ৯ ১৪৩২, ০৩ রজব ১৪৪৭

ব্রেকিং

টিএফআই’তে গুম-নির্যাতন: হাসিনা, কামাল ও ১৫ সেনা কর্মকর্তার বিচার শুরুর আদেশ তারেক আসছেন, শাহজালালে ২৪ ঘণ্টা দর্শনার্থী নিষিদ্ধ আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলা বিচারের জন্য গেল জজ আদালতে জমিয়তে উলামায়ের সঙ্গে ৪ আসনে সমঝোতা বিএনপির দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের বাইরে ফের বিক্ষোভ, উত্তেজনা মাদুরোর পদত্যাগই হবে ‘বুদ্ধিমানের কাজ’: ট্রাম্প গাড়ি বিস্ফোরণে রুশ জেনারেল নিহত কলম্বিয়ায় গেরিলাবিরোধী অভিযানে ১৮ সেনা অপহৃত আইনের শাসন কাকে বলে দেখিয়ে দিতে চাই: সিইসি খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলির ঘটনায় সেই নারী আটক সংঘাত অবসানে আলোচনায় রাজি থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া ভেনেজুয়েলার জাহাজ জব্দ: যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনায় চীন পূর্ব জেরুজালেমে আবাসিক ভবন গুঁড়িয়ে দিল ইসরাইল

জাতীয়

আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলা বিচারের জন্য গেল জজ আদালতে

 প্রকাশিত: ১৪:০৪, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলা বিচারের জন্য গেল জজ আদালতে

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায়, তা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এখন মহানগর জজ আদালতে বা সেখান থেকে নির্ধারিত কোনো আদালতে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালত এই আদেশ দেন।

চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের সহকারী পিপি মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ মামলার নির্ধারিত শুনানির দিন ছিল। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় সেটি বিচারিক আদালতে প্রেরণের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

“মহানগর দায়রা জজ আদালত নিজে অথবা তিনি যে আদালতে নির্ধারণ করে দেবেন সেখানে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।”

মঙ্গলবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী আলিফের বাবা ও এই মামলার বাদী জামাল উদ্দিন।

এই মামলার পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুতে প্রয়োজনীয় সবগুলো আইনি ধাপ শেষে চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলাটি বিচারিক আদালতে পাঠানো হল।

আলিফ হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে নাম থাকা ৩৯ জন আসামির মধ্যে ১৭ জন এখানো পলাতক।

গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ করে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা ও সাধারণ আইনজীবীরা আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছিল।

মামলাটি বিচারিক আদালতে যাবার জন্য প্রস্তুত হলেও এটির দ্রুত বিচার নিয়ে এখনো কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছেন আইনীজীবী।

সহকারী পিপি মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, “গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সংঘটিত এই নৃশংস ও চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড সারা দেশকে নাড়িয়ে দেয়। এত গুরুত্বপূর্ণ ও জাতীয়ভাবে আলোচিত একটি মামলা হওয়া সত্ত্বেও এখনো দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় জনমনে গভীর উদ্বেগ ও হতাশা বিরাজ করছে।

“ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ এবং দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার সম্পন্ন করার স্বার্থে মামলাটি অবিলম্বে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা আমাদের দাবি।”

২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময়কে কারাগারে নিয়ে যায়।

বিক্ষোভকারীরা আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। এরপর আদালতের সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীরা মিলে তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনায় গত বছরের ২৯ নভেম্বর নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলা করেছিলেন আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন।

মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল। ওই মামলায় সব আসামি ছিল নগরীর রঙ্গম কনভেনশন হল সংলগ্ন বান্ডেল সেবক কলোনির বাসিন্দা।

তদন্ত শেষে গত ১ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী) মাহফুজুর রহমান মোট ৩৮ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। তাতে প্রধান আসামি করা হয় চিন্ময় দাসকে।

পরে ২৫ অগাস্ট চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারীসহ ৩৯ আসামির বিরুদ্ধে বাদির উপস্থিতিতে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত। এই ৩৯ জনের মধ্যে ১৭জন আসামি এখনো পলাতক।