শুক্রবার ১১ জুলাই ২০২৫, আষাঢ় ২৭ ১৪৩২, ১৫ মুহররম ১৪৪৭

ব্রেকিং

এনবিআর সংস্কার পরিষদের বহু সদস্যের ‘ক্ষমা প্রার্থনা’, মাঠে ফেরার প্রস্তুতি ৭.৭৫ কোটি টাকার স্থাপনা ভেঙে নতুন স্মৃতিস্তম্ভ গড়ার কাজ শুরু ইসরায়েল আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল: ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সংস্কার ছাড়া যেনতেন নির্বাচন চায় না জামায়াত: শফিকুর রহমান আশরাফুল, সাকিবদের পর এবার নতুনদের চিনছে শ্রীলঙ্কা বিচার ও সংস্কারকে নির্বাচনের মুখোমুখি করা যাবে না: সাকি সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থায়(পিআর) ‘ভবিষ্যৎ বিভক্তি’র শঙ্কা তারেক রহমানের জুলাই বিপ্লব নিয়ে কটূক্তি করায় কুষ্টিয়ায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্য ক্লোজড কলেজ প্যাডে ছাত্রদলের প্রচারণা? অধ্যক্ষের ব্যাখ্যা ঘিরে বিতর্ক মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের সংঘাত বিস্তার: বিশ্লেষণ কলম্বিয়ায় পাহাড়ধসে মৃত্যু ১৬, নিখোঁজ অন্তত ৮ “ত্রাণ নিতে এলে গুলি করতাম”—গাজার ঘটনায় মুখ খুললেন ইসরায়েলি সেনারা তেহরানে ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার চলছেই, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৫০ ইরানে বাংলাদেশিদের সহায়তায় হটলাইন চালু উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ: সিলেটে তিনজন কারাগারে ইসরায়েলের টার্গেটে ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার ভবন লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ১৩ জুন তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন: ফখরুল রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হবে কাঁচের মতো স্বচ্ছ ঘর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনের ঘোষিত সময় মাথায় রেখে যথাসময়ে রোডম্যাপ দেবে ইসি: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ছাত্রদল নেতা নাছির উদ্দিন মণিপুরে আবার উত্তেজনা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের চাপে ঢাকার ৪ থানায় সক্রিয় অর্ধশতাধিক অপরাধী দল জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি: সালাহউদ্দিন আহমদ জুলাই সনদ–ঘোষণাপত্র হলে ঘোষিত সময়ে নির্বাচনে আপত্তি নেই: এনসিপি ২৫ কিলোমিটার যানজট, ২৪ ঘণ্টায় পারাপার ৬৪ হাজার যানবাহন বান্দরবানের রুমা ও থানচি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে প্রত্যাহার গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো, জাতিসংঘ নিরাপত্তা গরম মসলার বাজার শীতল: ক্রেতা কমে যাচ্ছে, দাম কিছুটা স্থিতিশীল ঈদে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দই-মিষ্টি মজুত, রংপুরে হিমাগারে অভিযান ও দুই লাখ টাকা জরিমানা বান্দরবানের লামায় পাহাড় ধসের শঙ্কায় ৬০ রিসোর্ট বন্ধ নির্বাচন নিয়ে তরুণদের প্রতি অসত্য অভিযোগ ও বাস্তবতা ভারতের মুসলমানদের কেন বারবার দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে হয় সংবিধান পরিবর্তন ছাড়া ফ্যাসিবাদ বিলোপ সম্ভব নয়: এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক একুশের বন্ধুত্বে আগামীর পথচলা: বার্ষিক সম্মেলনে ২১তম বিসিএস প্রশাসন ফোরাম বিজিএমইএ`র নতুন নেতৃত্বে আসছেন বাবু, নিরঙ্কুশ জয়ের ইঙ্গিত জিলহজ মাসের আমল ও কোরবানির তাৎপর্য চট্টগ্রামে নারীকে লাথির ঘটনায় ভাইরাল আকাশ চৌধুরী বহিষ্কৃত, জামায়াতের বিবৃতি সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেই, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিল পবিস শ্রমিকরা আনচেলত্তির স্বপ্ন - রিয়াল মাদ্রিদের মতো করে খেলাবেন ব্রাজিলকে ডিমের দাম এখনো চড়া, ডজন ১৩০–১৪০ টাকায় বিক্রি বৈরী আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপের সঙ্গে সারাদেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ হারের পর লিটনের মনোভাব - এখনো দুই ম্যাচ বাকি কাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব জুয়েলারি দোকান বন্ধ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করবে ডিএনএ টেস্ট করে নামফলক ও মর্যাদা চায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা বেতন না পেয়ে ডাকাতি, জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ারসহ তিনজন আটক “বাংলাদেশে কৌশলগত স্বার্থ নেই দক্ষিণ কোরিয়ার”—রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক “শাপলার হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই”—হেফাজতের বিবৃতি মির্জা আব্বাস: “করিডর আর স্টারলিংক আনা হচ্ছে আরাকান আর্মির জন্য” জিলহজ মাসের চাঁদ দেখে যে দোয়া পড়বেন নির্বাচনের আগে যতটুকু দরকার, ততটুকুই সংস্কার করতে হবে: মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ‘চিন্তার স্বাধীনতাও হারাচ্ছি?’— নারী কমিশন বিতর্কে গীতিআরার উদ্বেগ ইউক্রেনে রাশিয়ার টানা হামলায় নিহত ১২, কঠোর চাপের আহ্বান জানালেন জেলেনস্কি সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন – তিনটি কঠিন দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট আমরা জুলাই অভ্যুত্থান ক্ষমতার পালাবদল নয়, এটি মৌলিক সংস্কার: নাহিদ হলুদ সাংবাদিকতা’ বিরোধী স্লোগানে উত্তাল শিক্ষক মিছিল ভারতের নিষেধাজ্ঞায় আখাউড়া বন্দর দিয়ে রপ্তানি কমেছে ৪০% বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলছে, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি জাতীয় স্বার্থে অভিমান ভুলে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান : জামায়াত আমির আন্দোলনের পর অবশেষে নিয়োগ পেলেন ৪৩তম বিসিএসের বাদ পড়া ১৬২ জন নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে ইসির সামনে এনসিপির বিক্ষোভ কাল বাংলাদেশে স্টারলিংকের যাত্রা, স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের নতুন যুগ শুরু নরওয়ের দৃঢ় সমর্থন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিগত সরকারের সময় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত, এমন অবস্থা ছিল যে খতিবকেও পালাতে হয়েছিল: বাণিজ্য উপদেষ্টা গায়ের জোরে নগর ভবন দখল করে আন্দোলন চালাচ্ছে বিএনপি আবারও রাজপথে নামার ইঙ্গিত আসিফের, সতর্ক করলেন হাসনাত গোপন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন স্থগিত, ২০ মে আলোচনায় বসবে ঐক্য পরিষদ ভারতের আমদানি নিষেধাজ্ঞা সীমান্ত বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে ভারতের নতুন সিদ্ধান্তে উত্তর-পূর্বাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশি ভোগ্যপণ্য আমদানি বন্ধ গত ৯ মাসে জুলাই-যোদ্ধাদের ওপর ৩৮টি হামলা জবি’র ৪ দফা দাবি মেনে নেওয়ায় আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা ডিবি থেকে মুক্তির পর আন্দোলনে উল্লাস জবি শিক্ষার্থীর গাজা দখলে নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা পুনর্ব্যক্ত করলেন ট্রাম্প শাহরিয়ার হত্যাকাণ্ডে বিচার নিশ্চিতের অঙ্গীকার উপদেষ্টা আসিফের সোনার দাম ভরিতে কমল ৩ হাজার ৪৫২ টাকা, নতুন দর কার্যকর শুক্রবার থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: নিরাপত্তা নিশ্চিতে বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ শ্রীনগরজুড়ে বিস্ফোরণ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওমর আব্দুল্লাহর উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ ‘চলবে’, শনিবার গণজমায়েত ড্রোন যুদ্ধ: ভারত-পাকিস্তান বিরোধের নতুন অধ্যায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আ.লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বেন না আন্দোলনকারীরা ‘আপ বাংলাদেশ’–এর আত্মপ্রকাশ পূর্বঘোষণা ছাড়া ভারত সফরে সৌদি প্রতিমন্ত্রী, পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনায় কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে মার্চের হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের দেশীয় ওষুধ কোম্পানি রেনাটাকে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে আইএফসি তারেক রহমান: সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগে সহায়তা করছে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের নির্দেশে ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল ইউটিউবে বন্ধ

পর্যটন

ধুঁকছে পর্যটনশিল্প: বিদেশি আসছেন কম, দেশিরা যাচ্ছেন বিদেশে

 প্রকাশিত: ১২:৩২, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ধুঁকছে পর্যটনশিল্প: বিদেশি আসছেন কম, দেশিরা যাচ্ছেন বিদেশে

নানা সীমাবদ্ধতা-সংকট থাকলেও দেশের সমৃদ্ধ পর্যটননগরী হচ্ছে কক্সবাজার। কিন্তু সেই নগরীতেও দেখা মিলছে না কোনো বিদেশি পর্যটকের।

উল্টো দেশি পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠছে মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ। কক্সবাজারের অপার সৌন্দর্যকে কেন্দ্র করে মহাপরিকল্পনা প্রণীত না হওয়ায় ধুঁকছে দেশের পর্যটনশিল্প।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বাংলাদেশি ভ্রমণপিপাসুদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় অবস্থানে থাইল্যান্ড। পর্যটন ব্যবসাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশীয় পর্যটন অঞ্চলে হোটেল-মোটেলে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া, নিরাপত্তা ঘাটতি, যাতায়াতে বাড়তি খরচ এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছেন অনেকে। পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের জন্য বাড়তি সুযোগ-সুবিধা না থাকা, ব্র্যান্ডিংয়ে ঘাটতি ও পরিকল্পিত পর্যটন ব্যবস্থার অভাবে পর্যটকসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।

পুলিশের বিশেষ শাখার তথ্য বিশ্লেষণ করেও দেখা গেছে, দেশে দিন দিন বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা নিম্নগামী। দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিপুলসংখ্যক বিদেশি কর্মী কাজ করছেন। এর ফলে বিদেশি আগমনের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। সে তুলনায় পর্যটনকেন্দ্র ঘিরে বিদেশি আগমনের সুনির্দিষ্ট তথ্য কোথাও পাওয়া যায়নি।

পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীদের দাবি, বিদেশি পর্যটক এখন আসছে না বললেই চলে।

পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে বিদেশি নাগরিক আগমনের বছরভিত্তিক একটি তালিকা পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, ২০১৭ সালে দেশে আসে পাঁচ লাখ ৬৬৫ জন বিদেশি নাগরিক। এর পরের দুই বছরে আসে যথাক্রমে পাঁচ লাখ ৫২ হাজার ৭৩০ ও ছয় লাখ ২১ হাজার ১৩১ জন। ২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে এই সংখ্যা নেমে দাঁড়ায় এক লাখ ৮১ হাজার ৫১৮ জনে।

পরের বছর আরো কমে এক লাখ ৩৫ হাজার ১৮৬ জনে দাঁড়ায়। ২০২২ ও ২০২৩ সালে দেশে আসা বিদেশি নাগরিকের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে পাঁচ লাখ ২৯ হাজার ২৬৮ ও ছয় লাখ ৫৫ হাজার ৪৫১।

যদিও পর্যটকদের এই তথ্য মানতে নারাজ ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, বিদেশ থেকে আসলেই পর্যটক হয় না। এদের মধ্যে শতকরা ৯৯ ভাগের বেশি বিভিন্ন প্রকল্পে নিযুক্ত। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসহ দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আসে, এই সংখ্যাটা সুস্পষ্ট না হলেও এটি যে অতি নগণ্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন হোটেল মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার। তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর দেশে বিদেশিদের আগমন বাড়তে শুরু করে। মূলত রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বিভিন্ন এনজিওকর্মী তখন দেশে আসেন। পাশাপাশি মাতারবাড়ী বন্দরের কাজের পরও দেশে অনেক বিদেশি প্রকৌশলী এসেছেন। এদের অনেকেই কক্সবাজারের বিভিন্ন হোটেলে থাকেন। তারা পর্যটক না। ’

তিনি আরো বলেন, ‘পর্যটকদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দিতে না পারায় দেশে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা কমে গেছে। এর মধ্যে নিরাপত্তাও একটি। পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের পর্যাপ্ত সুবিধা না দেওয়ায় পর্যটক সংকট রয়েছে। শীতপ্রধান দেশের বিদেশি পর্যটকরা মূলত সূর্যস্নান করতে চায়। আমরা ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সোনাদিয়ার একাংশকে ডে বিচ ঘোষণার দাবি জানিয়েছি। ’

১৮ থেকে ২০ ডিসেম্বর কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে বিদেশি হাতে গোনা কয়েকজন পর্যটক দেখা গেছে। এর মধ্যে কলাতলীসংলগ্ন বিচে এক বিদেশি নারী ও পুরুষকে দেখা যায়। এ ছাড়া পাথুরে টেক বিচে একটি পরিবারের চারজন সদস্যকে দেখা গেছে। তা ছাড়া বিছিন্নভাবে কয়েকজন বিদেশিকে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন: পর্যটন বিকাশে নেই মহাপরিকল্পনা, আছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা

পর্যটকরা বলছেন, বাংলাদেশের তুলনায় বিদেশে ভ্রমণ সাশ্রয়ী। জানা যায়, ফ্রেশ পাসপোর্টে কোনো ডকুমেন্ট ছাড়াই মাত্র ৭৫ হাজার টাকায় ছয় রাত সাত দিনের শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ ট্যুর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। এই ট্যুরের আওতায় রিটার্নের এয়ার টিকিট, চারতারা হোটেল, সঙ্গে ব্রেকফাস্ট, পিক অ্যান্ড ড্রপ, সিটি ট্যুর, অল ট্যাক্স ও ট্যুর গাইড পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া ৪৫ হাজার ৫০০ টাকায় তিন রাত চার দিনের জন্য নেপাল ট্যুরের বিভিন্ন প্যাকেজ পাওয়া যায় বিভিন্ন ট্যুর এজেন্সিতে। সেখানে দেশের বিভিন্ন চারতারা মানের হোটেলে থাকা ও বিমানভাড়াসহ এই ব্যয় কাছাকাছি।

এ প্রসঙ্গে বেসরকারি চাকরিজীবী আলী ইব্রাহিম বলেন, ‘বাংলাদেশের যেকোনো স্পটে ভ্রমণের তুলনায় বিশ্বের অন্যান্য দেশে কম খরচে ভ্রমণ করা যায়। থাইল্যান্ডে চারতারা হোটেলে সি ভিউ রুম পাওয়া যায় তিন থেকে চার হাজার টাকায়, যা বাংলাদেশে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। এ ছাড়া ওখানে যাতায়াতব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আপনি সেখানে নিরাপদ। ’

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে অবস্থানরত বিদেশিদের মধ্যে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে তারা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে মোট ১২৯ কোটি টাকা ব্যয় করেছেন, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ১১১ কোটি টাকা। এই হিসাবে এক মাসে ব্যয় বেড়েছে ১৮ কোটি টাকা বা প্রায় ১৬.২ শতাংশ। বিদেশিদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সবচেয়ে বড় অংশ নগদ অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে, যা অক্টোবরে মোট খরচের ৪৭ কোটি টাকা।

অন্যদিকে দেশের বাইরে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারে থাইল্যান্ড এখন দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। আগস্টের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে এই প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। সেপ্টেম্বর মাসে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে ৪২ কোটি টাকা খরচ করলেও অক্টোবরে তা একলাফে বেড়ে ৫৭ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা ১৬ কোটি টাকা বৃদ্ধি নির্দেশ করে। এর ফলে থাইল্যান্ড সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় অবস্থানধারী ভারতকে পেছনে ফেলেছে।

অক্টোবরে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে মোট ৪৯৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৪২১ কোটি টাকা। এই খরচের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যয় হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে অক্টোবরে ব্যয় হয়েছে ৮৪ কোটি টাকা, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৭৭ কোটি টাকা। এক মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে ব্যয় বেড়েছে সাত কোটি টাকা বা প্রায় ৮.৫ শতাংশ।

কক্সবাজার নাগরিক ফোরাম ও বাংলাদেশ পরিবেশ অ্যান্ড বায়োডাইভারসিটি কনভারসন ফাউন্ডেশনের সভাপতি এ এন এম হেলাল উদ্দিন বলেন, প্রকৃতি ও পরিবেশকে বাঁচিয়ে পর্যটনকে এগিয়ে নিতে হবে। দেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটক কমছে। বিদেশি পর্যটকদের জন্য পৃথক পর্যটন এলাকা নির্ধারণ করা জরুরি।

এ প্রসঙ্গে কথা হয় চট্টগ্রাম থেকে সপরিবারে কক্সবাজারে আসা অ্যাডভোকেট রাহিদ মির্জার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে পর্যটন খাত। কিন্তু আমি দুই দিনেও কোনো বিদেশি পর্যটক দেখিনি। শুধু দেশি পর্যটক দিয়ে পর্যটন খাতের উন্নয়ন সম্ভব নয়। ’ তিনি আরো বলেন, বিদেশি পর্যটকদের জন্য বাড়তি সুবিধা দিতে হবে। তাদের জন্য নির্ধারিত এলাকা থাকা উচিত। পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টিও দেখতে হবে।