ব্যাটিংয়ে উন্নতিতে চোখ রেখে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখার লড়াইয়ে বাংলাদেশ
একদিন বিশ্রাম কাটিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। যে চ্যালেঞ্জের সন্ধানে ছিলেন লিটন দাস, সেটাই তার দলের সামনে ছুঁড়ে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে উন্নতি করতে হবে শেষ দিকের বোলিং এবং শুরুর ব্যাটিংয়ে।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে বুধবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। খেলা শুরু হবে সন্ধ্যা ছয়টায়।
প্রথম ম্যাচ যে উইকেটে হয়েছিল, সেটাও প্রস্তুত করা হয়েছে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির জন্য। আগে থেকে প্রস্তুত রাখা আরেক উইকেট তো তৈরিই। কোন উইকেটে খেলা হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
তবে এটা মোটামুটি নিশ্চিত যে, বুধবারও রাতে শিশিরের প্রভাব থাকবে। ১৬ রানে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জয় পাওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান রভম্যান পাওয়েল বলেছিলেন, তাদের ধারণার চেয়ে বেশি শিশির পড়েছিল শেষ দিকে এবং সে সময় ব্যাটিং সহজ হয়ে গিয়েছিল। পরের দুই ম্যাচে ব্যাপারটা তাদের মাথায় থাকবে।
ক্যারিবিয়ানদের শিশির যতটা ভাবাচ্ছে তার চেয়ে বাংলাদেশকে অনেক বেশি ভাবাচ্ছে নিজেদের ব্যাটিং। আগের ম্যাচে প্রথম ৬ ব্যাটসম্যানের মিলিত রান ছিল কেবল ৬২! প্রথম ৫ উইকেটে কোনো ২০ রানের জুটিও গড়তে পারেনি স্বাগতিকরা!
তাদের চেয়ে অনেক সাবলীল ছিলেন লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। তানজিম হাসান, নাসুম আহমেদরা একটা সময় ক্ষীণ আশাও জাগাতে পেরেছিলেন। এমনকি শেষ জুটিতে তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমানও রান পান।
বোলিংয়ে শুরুটা ভালো করে বাংলাদেশ, বেশি উইকেট নিতে না পারলেও ১৭তম ওভার পর্যন্ত বেশি রান করতে দেয়নি তারা। কিন্তু ৭ রানে জীবন পাওয়া পাওয়েলের শেষের ঝড়ে ১৬০ ছাড়িয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ৩ ওভারে সফরকারীরা যোগ করে ৫১ রান।
সেদিন ফিল্ডিংও ততটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। হাতছাড়া হয়েছে রান আউটের সুযোগ, হাত থেকে ছুটেছে ক্যাচ। দিতে হয়েছে এসবের চড়া মাশুল।
১৬৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১২ ওভারে ৭৭ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরও শেষের লড়াই ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের একমাত্র প্রাপ্তি।
এর বিপরীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাপ্তির অভাব নেই। ব্যাটিংয়ে শেরফেন রাদারফোর্ড ছাড়া আর যারাই নেমেছেন, অবদান রেখেছেন। দুই ওপেনার আলিক আথানেজ ও ব্র্যান্ডন কিং ভালো শুরু এনে দিয়েছেন, পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি গড়েছেন। শেষ দিকে দারুণ জুটি গড়েছেন শেই হোপ ও পাওয়েল।
দ্বিতীয় ম্যাচের আগের দিন মঙ্গলবার ঐচ্ছিক অনুশীলনে সেন্টার উইকেটে অনুশীলন করেছেন খ্যারি পিয়ের ও আথানেজরা। মাঠের এককোনের নেটে ব্যাটিং করেছেন কিং, রাদারফোর্ড, জেডেন সিলসরা।
টানা সাত সিরিজ হারার পর জয়ে ফেরার সুযোগ ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে। নিজেদের সবশেষ সিরিজে সহযোগী দেশ নেপালের বিপক্ষে হেরে যাওয়া ক্যারিবিয়ানরা মরিয়া ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙার জন্য।