সোমবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ২৪ ১৪৩২, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি : ক্লাস শুরু ১ জানুয়ারি, ‘চূড়ান্ত হচ্ছে’ অধ্যাদেশ মাগুরায় সংঘর্ষে আহত যুবকের মৃত্যু, ফের সংঘাতে আহত ৫০ ভোট: এবার নিবন্ধন পেল ৮১ স্থানীয় পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান ক্ষমতায় যাওয়ার অপেক্ষায় জামায়াত, বললেন পরওয়ার কারাগারে শওকত মাহমুদ, রিমান্ড শুনানি বৃহস্পতিবার বিটিভি-বেতারে সিইসির তফসিল-সংক্রান্ত ভাষণ রেকর্ড ১০ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা আরো পেছাল মহানবীকে কটূক্তি: তিতুমীরের শিক্ষার্থী বিশ্বজিৎ রিমান্ডে উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রিমান্ডে দিলে হার্ট অ্যাটাক করতে পারি: আদালতকে নাসার নজরুল আনিসুল-মঞ্জুর নেতৃত্বে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যায় গৃহকর্মী, ধারণা পুলিশের সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির ভারতের গোয়া নাইটক্লাব অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২৫ জনের মধ্যে নেপালি ৪ জন নিউইয়র্কে ইসরাইল, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত

খেলা

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন ভারত

 প্রকাশিত: ১১:০৬, ১০ মার্চ ২০২৫

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। 

রোববার রাতে টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভারত ৪ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। এনিয়ে সর্বোচ্চ তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতল ভারত। এর আগে ২০০২ (যৌথভাবে) ও ২০১৩ সালে শিরোপা জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। 

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ডকে ৪৭ বলে ৫৭ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার উইল ইয়ং ও রাচিন রবীন্দ্র।

সাবধানে খেলা ইয়ংকে ১৫ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। 

কিছুক্ষণ পর সাজঘরে ফিরেন দু’বার জীবন পাওয়া রাচিন। মারমুখী ব্যাটিংয়ে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৯ বলে ৩৭ রান করে স্পিনার কুলদীপ যাদবের বলে বোল্ড হন রাচিন।

ব্যাট হাতে ছন্দে থাকা কেন উইলিয়ামসনকে ১১ রানে থামিয়ে নিউজিল্যান্ডকে চাপে ফেলেন কুলদীপ। ৭৫ রানে ৩ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। 

জুটি গড়ার চেষ্টায় চতুর্থ উইকেটে ধীরলয়ে খেলতে থাকেন দুই মিডল অর্ডার ব্যাটার ড্যারিল মিচেল ও টম লাথাম। তাদের ৬৬ বলে ৩৩ রানের জুটিতে নিউজিল্যান্ডের রান ১শ পার হয়। ৩০ বলে ১৪ রান করা ল্যাথামকে লেগ বিফোর করে জুটি ভাঙ্গেন রবীন্দ্র জাদেজা।

এরপর পঞ্চম উইকেটে হাফ-সেঞ্চুরির জুটিতে নিউজিল্যান্ডকে লড়াইয়ে ফেরান গ্লেন ফিলিপস ও মিচেল। দলীয় ১৬৫ রানে ফিলিপসকে শিকার করে ভারতকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন বরুণ। ফিলিপস-মিচেল জুটি ৮৭ বলে ৫৭ রান যোগ করেন।

ফিলিপস ফেরার পর মাইকেল ব্রেসওয়েলকে নিয়ে দলের রান ২শ পার করেন ৩৮ রানে জীবন পাওয়া মিচেল। দু’জনের জুটিতে ৪৭ বলে ৪৬ রান পায় দল। এসময় ৯১ বলে ওয়ানডেতে অষ্টম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন মিচেল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে দ্বিতীয় ধীর গতির হাফ-সেঞ্চুরি এটি। 

হাফ-সেঞ্চুরির পর রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন মিচেল। কিন্তু ৪৬তম ওভারে পেসার মোহাম্মদ সামির বলে আউট হন তিনি। ৩টি চারে ১০১ বলে ৬৩ রান করেন মিচেল। 

দলীয় ২১১ রানে মিচেল ফেরার পর নিউজিল্যান্ডের রানের চাকা ঘুুড়িয়েছেন ব্রেসওয়েল। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে নিউজিল্যান্ডকে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫১ রানের সংগ্রহ এনে দেন ব্রেসওয়েল। ৩৯ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪০ বল খেলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন ব্রেসওয়েল। 

বরুণ-কুলদীপ ২টি করে এবং সামি-জাদেজা ১টি করে উইকেট নেন। 

২৫২ রানের টার্গেটে ভারতকে ১১২ বলে ১০৫ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। দারুণ শুরুর পর ১২২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় টিম ইন্ডিয়া। রোহিত ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮৩ বলে ৭৬, গিল ৩১ ও বিরাট কোহলি ১ রান করেন। 

চতুর্থ উইকেটে ৬১ রানের জুটিতে ভারতকে লড়াইয়ে ফেরান শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল। আইয়ার ৪৮ ও প্যাটেল ২৯ রানে আউট হলে ম্যাচে ফিরে নিউজিল্যান্ড। ৫ উইকেট হাতে নিয়ে ৫১ বলে ৪৯ রান দরকার পড়ে ভারতের। 

এরপর ষষ্ঠ উইকেটে হার্দিক পান্ডিয়ার সাথে ৩৮ ও সপ্তম উইকেটে জাদেজাকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ১৩ রানের জুটিতে ভারতের শিরোপা নিশ্চিত করেন রাহুল। 

হার্দিক ১৮, রাহুল অপরাজিত ৩৪ ও জাদেজা অনবদ্য ৯ রান করেন। স্যান্টনার ও ব্রেসওয়েল ২টি করে উইকেট নেন।