বুধবার ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ফাল্গুন ৭ ১৪৩১, ২০ শা'বান ১৪৪৬

খেলা

এক ওভারে চার উইকেট নিয়ে বিপিএলে অনন্য আলি

 প্রকাশিত: ২১:৩৬, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এক ওভারে চার উইকেট নিয়ে বিপিএলে অনন্য আলি

ফলো থ্রুতে নিজেকে সামলে দ্রুত সামনে ছুটে গিয়ে দুর্দান্ত ডাইভিং ক্যাচে আরাফাত সানিকে ফেরালেন মোহাম্মদ আলি। পরের বলে স্লোয়ার ডেলিভারিতে বোল্ড আলিস আল ইসলাম। হ্যাটট্রিকের সুযোগ তবু পেলেন না। তার চার ওভার যে শেষ! হ্যাটট্রিক না হলেও অবশ্য এমন এক কীর্তি গড়ে দেখালেন ফরচুন বরিশালের পাকিস্তানি পেসার, বিপিএলে যা আগে দেখা যায়নি কখনোই।

সানি ও আলিসকে ফেরানোর আগে ওই ওভারে সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও শামীম হোসেনকেও আউট করেন আলি। বিপিএলে এক ওভারে চার উইকেট নেওয়ার নজির নেই আর কোনো বোলারের।

পাকিস্তানের ৩২ বছর বয়সী পেসার অনন্য এই নজির গড়লেন বিপিএল অভিষেকেই।

বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে সোমবার চিটাগং কিংসের বিপক্ষে নতুন বলে মোহাম্মদ মিঠুনের উইকেট নেন আলি। পরে শেষ ওভারের ৪টি মিলিয়ে ৪ওভারে ২৪ রান খরচায় তার শিকার ৫টি। প্রায় তিন বছর ও ৩১ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটিই তার প্রথম ৫ উইকেট।

চলতি বিপিএলে তার আগে ৫ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন শুধু তাসকিন আহমেদ ও ফাহিম আশরাফ।

গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের ঘরোয়া চ্যাম্পিয়ন্স টি-টোয়েন্টি কাপে দুর্দান্ত বোলিং করেন আলি। শেষ পাঁচ ম্যাচে তিনবার ৪ উইকেটসহ সব মিলিয়ে ৯ ইনিংসে নেন আসরের সর্বোচ্চ ২২ উইকেট। এর আগে নিজেকে জানান দেন তিনি পাকিস্তান সুপার লিগেও। পাকিস্তানের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে আবির্ভাবের মৌসুমেই ১২ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়ে বড় ভূমিকা রাখেন মুলতান সুলতান্সকে ফাইনালে তোলায়।

এবার বিপিএলে শুরু থেকেই বরিশাল দলের সঙ্গে ছিলেন আলি। ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি কোনো। স্বদেশি ফাহিম আশরাফ দারুণ পারফর্ম করছিলেন বরিশালের হয়ে। আরেক স্বদেশি পেসার জাহান্দাদ খানও এই দলের হয়ে ছয়টি ম্যাচ খেলে ফেলেন। মূলত ব্যাটিং সামর্থ্যের কারণে জাহান্দাদকে বেছে নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। আলি ছিলেন অপেক্ষায়।

জাতীয় দলের ডাকে ফাহিম ফিরে গেছেন দেশে। অবশেষে আলির প্রথম সুযোগ এলো সরাসরি প্লে-অফে। তিনি দেখালেন, বাইরে বসেও মরচে পড়েনি তার স্কিলে।

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মাত্র ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে চট্টগ্রাম। দলের চতুর্থ ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে মিঠুনকে বিদায় করেন আলি। সীমানায় দারুণ ক্যাচ নেন তাওহিদ হৃদয়।

ছয় নম্বরে নেমে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন শামীম। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন বাঁহাতি ওপেনার পারভেজ হোসেন। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৭৭ রানের জুটি। পারভেজকে আউট করে জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। পরে একার লড়াইয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন শামীম।

১৯তম ওভারে প্রথম বলে স্লোয়ার ডেলিভারিতে খালেদকে বোল্ড করেন আলি। এক বল পর স্ট্রাইক পেয়ে রিভার্স স্কুপ খেলার চেষ্টা করেন শামীম। তবে ঠিকঠাক ব্যাটে লাগাতে পারেননি। শর্ট থার্ড ম্যানে মাথার ওপর থেকে ক্যাচ নেন ইবাদত হোসেন চৌধুরি। সমাপ্তি ঘটে শামীমের ৪৭ বলে ৭৯ রানের ইনিংসের।

ওভারের শেষ দুই বলে সানি ও আলিসকেও আউট করে প্রথমবার পাঁচ উইকেটের আনন্দে মেতে ওঠেন আলি। ১৪৮ রানে আটকে যায় চিটাগং।