জনসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ
চট্টগ্রামের বায়েজিদে জনসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী দলটির মহানগর কমিটির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন চালিতাতলী পূর্ব মসজিদের কাছে এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সরোয়ার বাবলা ও শান্ত নামে আরও দুইজন।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এরশাদ উল্লাহকে অনন্যা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আমীরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এরশাদ উল্লাহ সাহেব নির্বাচনী প্রচারে চালিতাতলী এলাকায় এসেছিলেন। সেখানে সন্ত্রাসীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় এরশাদ উল্লাহসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “সরোয়ার নামে একজন গুরুতর আহত আছেন। কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা আমরা তদন্ত করে দেখছি।”
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত এক নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-পাঁচলাইশ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া এরশাদ উল্লাহ জনসংযোগের জন্য চালিতাতলী এলাকায় গিয়েছিলেন।
“চালিতাতলী পূর্ব মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ পড়ে বের হয়ে জনসংযোগ করার সময় সরোয়ার বাবলাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এসময় পাশে থাকা এরশাদ উল্লাহ ও শান্ত নামে অপরজন গুলিবিদ্ধ হন।”
সারোয়ার হোসেন বাবলা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। আর শান্ত স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক।
তবে এটি বিএনপি বা সহযোগী সংগঠনগুলোর ‘নিজেদের মধ্যে কোনো ঘটনা নয়’ বলে ওই বিএনপি কর্মীর দাবি।
এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব। এর মধ্যে এ ধরনের ঘটনা নিন্দনীয় ও দুঃখজনক।”
তিনি বলেন, “যারা রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে এ ঘটনায় তাদের হাত থাকতে পারে।”
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার দাবি জানান।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচারের মধ্যে এই প্রথম কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটল।