নাসার নজরুল কাঠগড়ায় বসতে চাইলেন টুল
অসুস্থতার কথা জানিয়ে কাঠগড়ার বসার জন্য নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার টুল চাইলেও তা মিলল না। পরে দাঁড়িয়ে থেকেই এক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানিতে থাকলেন তিনি।
ঢাকার মহানগর হাকিম মাহবুবুর রহমানের আদালতে বুধবার এ দৃশ্য দেখা যায়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আবু বকর রিফাত হত্যা মামলায় নজরুলকে গ্রেপ্তার দেখাতে গত ২৬ অক্টোবর আবেদন করেন যাত্রাবাড়ী থানার এসআই জুয়েল রানা। আদালত শুনানির জন্য সোমবার দিন ঠিক করেছিলেন।
এদিন শুনানিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে ওঠানোর সময় তার হাতে কড়া, মাথায় হেলমেট ও শরীরে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল। কাঠগড়ায় নেওয়ার পর হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট খুলে ফেলা হয়। কাঠগড়ায় কোমড়ে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।
তার আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন জানতে চান টুল লাগবে কি না? হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়েন তিনি। এসময় তার আইনজীবী পুলিশের কাছে টুল চান। দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য বলেন, টুল আদালতের কাছে চাইবেন। মিনিট খানেক পর বিচারক এজলাসে ওঠেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী টুল চেয়ে বিচারকের কাছে আর্জি জানান। বিচারক শুনানির দিকে মনোযোগ করেন। তদন্ত কর্মকর্তার গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি নেন।
শুনানিতে নজরুল ইসলাম মজুমদারের আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন বলেন, “তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। এই মামলার সঙ্গে উনার সংশ্লিষ্টতা নেই।
“তদন্ত কর্মকর্তা তার সংশ্লিষ্টতার কোনো ডকুমেন্ট জমা দিতে পারেনি। তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হলে ন্যায় বিচার বঞ্চিত হবেন।”
পরে আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন ৫ অগাস্ট আন্দোলনে অংশ নেন আবু বকর রিফাত। ওই দিন দুপুরের দিকে যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা আওলাদ হোসেন।
গত বছরের ২ অক্টোবর ঢাকার গুলশান থেকে নজরুল ইসলাম মজুমদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।