রোববার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ২৩ ১৪৩২, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

এনসিপিসহ তিন দলের ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’ যেকোনো মূল্যে দুর্নীতির লাগাম টানতে হবে: তারেক রহমান ‘রাষ্ট্রের ২৪ কোটি টাকা ক্ষতি’, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক রোজা ও পূজা বিতর্ক: শিশির মনিরের বিরুদ্ধে মামলা ডিজির সঙ্গে তর্ক: নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন সেই চিকিৎসক মার্কিন নাগরিকের সেই মামলায় শওকত মাহমুদ আটক চলতি সপ্তাহেই জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল: নির্বাচন কমিশন ধর্মের নামে দেশে ‘বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে’: মির্জা ফখরুল কওমি মাদরাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরা কাজী হতে পারবেন রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা চীনা সামরিক বিমানের রাডার লকে ক্ষুব্ধ টোকিও ‘মিনেসোটা প্রোটোকল’ মেনেই জুলাই শহীদদের শনাক্ত করা হবে: সিআইডি মেসির জাদুতে মায়ামির বাজিমাত, ঘরে তুলল প্রথম এমএলএস কাপ ভারতের গোয়ায় নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ডে ২৩ জনের মৃত্যু

ইসলাম

বমি জামায় লাগার কারণে নামাজ সহীহ হবে কিনা?

 প্রকাশিত: ১১:৪৭, ২০ অক্টোবর ২০২৫

বমি জামায় লাগার কারণে নামাজ সহীহ হবে কিনা?

প্রশ্ন: বাস যোগে দূরের সফর করার কারণে যাত্রাপথে একবার আমার বমি হয়। এতে জামার বিভিন্ন অংশে বমি লেগে যায়। তাৎক্ষণিক টিস্যু দিয়ে বমি মুছে ফেলাতে জামায় বমির তেমন দাগ থাকেনি। তাই এই জামা পরে আমি মাগরিবের নামায পড়ি।

জানতে চাচ্ছি, আমার এই নামায কি সহীহ হয়েছে?

উল্লেখ্য, আমার সঙ্গে তখন অন্য জামাও ছিল এবং জামা পরিবর্তন করে নামায পড়ার সুযোগও ছিল।

উত্তর: প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে বমি যদি মুখ ভরে হয়ে থাকে এবং জামায় যতটুকু বমি লেগেছে সবটুকু মিলে তা পরিমাণে এক দিরহামের (অর্থাৎ হাতের তালুর গভীরতা সমপরিমাণের) চেয়ে বেশি হয়, তাহলে ওই জামা পরে আপনি যেই নামায পড়েছেন তা সহীহ হয়নি। তাই সেক্ষেত্রে ওই নামায পুনরায় পড়ে নেওয়া জরুরি। কিন্তু পরিমাণে এক দিরহাম বা তার কম হলে ওই নামায আদায় হয়ে গেছে। আর যদি বমি মুখ ভরে না হয়, তাহলে সেটি নাপাক নয় এবং নামাযও আদায় হয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, ভালো জামা সাথে থাকলে এ ধরনের কাপড়ে নামায আদায় না করে সবক্ষেত্রেই তা পরিবর্তন করে নেওয়া ভালো।

* كتاب >الأصل< للشيباني ১/৪৬ : قلت: فإن صلى به، ولم يغسله؟ قال: إن كان أكثر من قدر الدرهم غسله، وأعاد الصلاة، وإن كان أقل من قدر الدرهم، لم يعد الصلاة، ولكن أفضل ذلك أن يغسله.

قلت: وكذلك لو أصاب يده القيء؟ قال: نعم.

–বাদায়েউস সানায়ে ১/১৯৩, ২৩২; আলমুহীতুল বুরহানী ১/৩৭৪; আলজাওহারাতুন নাইয়িরা ১/৪৯; আলবাহরুর রায়েক ১/২২৮; আদ্দুররুল মুখতার ১/৩১৬

মাসিক আলকাউসার