রোববার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ভাদ্র ২৩ ১৪৩২, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

ইসলাম

বিমান বিধ্বস্তের বেদনা ‖ প্রয়োজন উড্ডয়ন পদ্ধতির সংস্কার ও উপযোগিতার প্রয়াস

মাওলানা শরীফ মুহাম্মাদ

 প্রকাশিত: ১২:৫৪, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিমান বিধ্বস্তের বেদনা ‖ প্রয়োজন উড্ডয়ন পদ্ধতির সংস্কার ও উপযোগিতার প্রয়াস

একুশে জুলাই দুপুর একটার পর একটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটল ঢাকার উত্তরায় বিমানটি ছিল বিমানবাহিনীর যুদ্ধ বিমানব্যবহার হচ্ছিল প্রশিক্ষণের কাজে সেই বিমানটি উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের ওপর বিধ্বস্ত হল এবং সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে গেল বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানের দুর্ঘটনার খবর আগেও বিভিন্ন সময় সামনে এসেছে সেগুলো ছিল ঢাকার বাইরে কিছুটা জনবিরল এলাকার ঘটনা বড় রকম ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যেত না কখনো বিমান চালকের নিহতের খবর আসত কখনো শোনা যেতবিমান বিধ্বস্ত হয়েছেকিন্তু প্রাণহানি ঘটেনি কিন্তু দিয়াবাড়ি মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় অনেক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটল ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই সারা দেশে বেদনা ও উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ল শোক ও স্তব্ধতা  দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ল

স্কুলটি তখন সবেমাত্র ছুটি হয়েছিল বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বাসার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েছিল কিন্তু তখনো অনেক শিশু-কিশোর শিক্ষার্থী ক্লাসরুমে অবস্থান করছিল বিমান বিধ্বস্ত হওয়ায় যে ব্যাপক আগুন লাগার ঘটনা ঘটেতাতে বহু ছাত্র-ছাত্রীর গায়ে আগুন ধরে যায় ঘটনাস্থলেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় অনেক শিক্ষার্থী শতাধিক আহতঅগ্নিদগ্ধ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দুর্ঘটনার ৩ দিন পরের সর্বশেষ তথ্যমতেনিহত হয়েছে ৩০-এর ঊর্ধ্বে শিক্ষার্থী৪/৫ জনের মতো নিখোঁজলাশ শনাক্ত করা যাচ্ছে না ৫/৬ জনের বার্ন ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে শতাধিক এর মধ্যে দুজন শিক্ষিকারও ইন্তেকাল হয় এবং বিমানটির তরুণ পাইলটের মৃত্যু হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর চিকিৎসকদের সাধারণ ভাষ্য হলঅগ্নিদগ্ধ হয়ে যাদের শরীরের ৫০/৬০ ভাগ পুড়ে যায়তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বেঁচে থাকে না সে হিসেবে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের অনেকের ক্ষেত্রে আরোগ্য না হওয়ার আশঙ্কাও আছে আল্লাহ তাআলা আহত সবাইকে সুস্থ করে দিন নিহত প্রত্যেককে মাফ করে দিন এবং সন্তান হারানো বাবা-মা-সহ স্বজনদের উত্তম সবর ও আজর দান করুন

দুই.

দুর্ঘটনার বিমানটি যেহেতু ছিল সামরিক বাহিনীর অধীনে প্রশিক্ষণে নিয়োজিত বিমানবাহিনীর যুদ্ধ বিমানতাই তাতে কোনো যাত্রী ছিল না ছিলেন শুধু বিমান চালক একা তার একক ও চূড়ান্ত প্রশিক্ষণের মহড়া ছিল এটি আর তিনিও আগ মুহূর্তে নেমে যেতে পারলেও মারাত্মক আহত হয়ে পরে হাসপাতালে নিহত হন সেজন্য বিমানটির যান্ত্রিক ত্রুটি ও বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নানারকম বিতর্ক ও মতামত প্রকাশ হতে থাকে অনলাইনেসামাজিক মাধ্যমে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা নিয়েও চলে আলোচনা-অনুমান ও আক্ষেপ কিন্তু দুর্ঘটনা সংশ্লিষ্ট এসব আলোচনার মধ্যেও দুটি প্রসঙ্গ বেশ জোরালোভাবে সামনে আসে মূলধারার বিভিন্ন গণমাধ্যমেও এ দুটি বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করা হয়

এর একটি বিষয় হলবিমানবাহিনীর (সামরিক) বিমান শুধু পাইলটের দক্ষতা কিংবা বিমানের কার্যকারিতা পরীক্ষা ও প্রশিক্ষণের জন্য উড্ডয়ন করার জায়গাটা ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী শহরকোনো মহানগরী কিংবা নগরাঞ্চলের পরিবর্তে জনবিরল গ্রামীণ এলাকা বেছে নেওয়াটাই সবচেয়ে উপযোগী সমুদ্রবনজঙ্গলপাহাড়ি এলাকা কিংবা বিল ও জনশূন্য বিভিন্ন খেত-খামারের অঞ্চলের ওপর প্রশিক্ষণের বিমান ওড়ালে প্রাণহানির ঝুঁকি অনেক কমে যায় তখন কোনো দুর্ঘটনা কিংবা বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় অতিরিক্ত ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাটা থাকে না এমন পরিস্থিতিতে বিপদের আশঙ্কা দেখলে প্রশিক্ষণরত এক বা একাধিক পাইলটের পক্ষেও দ্রুত বিমান থেকে প্যারাশুটের সাহায্যে নেমে পড়া সহজ হয় ঢাকা শহরের মধ্যে কুর্মিটোলা বিমানঘাঁটি থেকে প্রশিক্ষণের বিমান পরিচালনা এবং ঢাকার মতো অতি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার ওপর যুদ্ধ বিমান চালনা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ তাই এই কর্মপন্থার পুনর্বিন্যাস হওয়া দরকার

দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছেদুর্ঘটনার শিকার ও বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের মান ও উপযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং অনলাইন আলোচনায় এসেছে যেউৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এই মডেলের বিমান বানানো বাদ দিয়েছে আরও অনেক বছর আগে এর কাঠামো ও ইঞ্জিন পুরোনো যুদ্ধ কিংবা প্রশিক্ষণ উভয় পর্যায়েই এর চেয়ে উন্নত ও আধুনিক বিমান এখন ব্যবহার হচ্ছে দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে এটার ব্যবহার নাকি প্রায় পরিত্যক্ত সময়ে সময়ে ইঞ্জিনযন্ত্র ইত্যাদি মেরামত কিংবা সংযোজন করা হলেও এজাতীয় বিমান উড্ডয়নে ঝুঁকির মাত্রা বেশি থাকে গত দেড় যুগে প্রশিক্ষণে থাকাকালে এমন বেশ কিছু বিমান দুর্ঘটনায় পড়েছে এবং পাইলট নিহত হয়েছে প্রশিক্ষণ চলাকালে বিমান দুর্ঘটনার নজির অন্যান্য দেশেও আছেকিন্তু হার বা মাত্রাটা বাংলাদেশে বেশি এজন্য অধিকতর সক্ষমতাপূর্ণ নতুন বিমানের সংগ্রহ বৃদ্ধি করে এই মডেলের বিমান পরিহার করা উচিত

তিন.

দুর্ঘটনা ও বহুসংখ্যক প্রাণহানির পরিস্থিতি সামনে এলে মনোযোগ ও আক্ষেপের বড় জায়গা জুড়ে থাকে ক্ষয়ক্ষতি ও তার কার্যকারণের আলোচনা কিন্তু ২১ জুলাই দিয়াবাড়ি ট্র্যাজেডির মূল বিষয় হলযুদ্ধবিমান এবং যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণ এজন্য বেদনাবহ এ ঘটনার সূত্র ধরেই দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন কিংবা দুরবস্থার কথাটা চলে আসে বর্তমান পৃথিবীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিংবা নিরাপত্তা কৌশলের ক্ষেত্রে আকাশ প্রতিরক্ষা (বিমানযুদ্ধ) অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র ও উপায় স্থল ও নৌ প্রতিরক্ষার পাশাপাশি আকাশ প্রতিরক্ষার আয়োজনের ওপরই এখনকার সময়ের অনেক যুদ্ধ ও আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের সাফল্য-ব্যর্থতা নির্ভর করে

গত কয়েক মাসের মধ্যে ভারত-পাকিস্তান পাশাপাশি সীমান্তের দুটি দেশের মধ্যে সংক্ষিপ্ত একটি যুদ্ধে উভয় দেশই তাদের বিমান শক্তি ব্যবহার করেছে এবং আক্রমণকারী ভারতের চেয়ে বিমান সক্ষমতায় পাকিস্তান সাফল্য দেখাতে পারায় পরে বাইরের দূতিয়ালিতে সংক্ষিপ্ত সময়ে যুদ্ধ বন্ধ করা হয়েছে বিশ্লেষকরা অনেকেই বলেছেনভারতের ধারণাও ছিল নাপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা এতটা শক্তিশালী ও চৌকশ এর ফলে তুলনামূলক অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে তাকে পড়তে হয়েছে দুটি দেশই পারমাণবিক শক্তির অধিকারী যুদ্ধের মাত্রা বাড়তে থাকলে উভয়ের জন্যই ভয়াবহ বিপর্যয়ের কারণ ঘটতে পারত এমনকি কাছের দেশ হিসেবে আমরাও বিপদের শিকার হতে পারতাম আল্লাহ তাআলা হেফাযত করেছেন মূলত ভারতের আক্রমণের তুলনায় বাহ্যিক দৃষ্টিতে পাকিস্তানের বিমান ব্যবস্থাপনা ও আক্রমণের দক্ষতার কারণেই যুদ্ধ সংক্ষিপ্ত হয়েছে এবং ভারত তার ছোবল মাটিতে নামিয়ে নিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে

এই সময়ের মধ্যে ইরান-ইসরাইলের আরেকটি যুদ্ধও ছিল বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র নির্ভর এ দুটি দেশের মধ্যে পাশাপাশি সীমান্তও নেই প্রায় ১৮০০ কি. মি. দূরত্বে থেকে অন্য ২/১টি দেশের আকাশসীমা অতিক্রম করে পরস্পরে হামলা হয়েছে এখানেও আকাশ পথের প্রতিরক্ষা ও আক্রমণের বিষয়টি ছিল মুখ্য নিজের অনেক ক্ষয়ক্ষতির পরও যদি তেল আবিবে আকাশ পথে হামলা করা এবং বড় রকম কৌশলগত ক্ষয়ক্ষতি সাধনের সামর্থ্য ইরানের না থাকততাহলে এ যুদ্ধও সহজে বন্ধ করতে উদ্যোগ নিত না আমেরিকা বরং ইসরাইলকে আরও আশকারা দিত ইরানে বিধ্বংসী অভিযান চালাতে ইসরাইল ও আমেরিকার ‘যৌথ হামলা প্রয়াস’ থেকে বাঁচতে ইরান তার আকাশ প্রতিরক্ষা কৌশলটা কাজে লাগাতে পেরেছে এছাড়াও গোটা মধ্যপ্রাচ্যে আয়তনে অত্যন্ত ছোট হওয়া সত্ত্বেও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলের যে মাতব্বরি চলমানপশ্চিমা দেশগুলোর কূটনৈতিক ও সামরিক সহায়তার পাশাপাশি তার নিজের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও এর অন্যতম কারণ এজন্য সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করার কোনো বিকল্প নেই উন্নত বিমানমিসাইলড্রোনমিসাইল প্রতিরোধকশক্তিশালী রাডারসহ আকাশ প্রতিরক্ষায় জরুরি আয়োজনগুলোর ব্যবস্থা করা দরকার এর জন্য দেশি সক্ষমতা নির্মাণ এবং বিদেশি উপাদানযন্ত্র ও প্রযুক্তি সংগ্রহের চেষ্টা করা উচিত মুসলিমপ্রধান দেশ হিসেবে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক দুষ্ট চোখগুলোর শ্যেনদৃষ্টি থেকে আমরা মুক্ত নই দুর্বল বিমানদুর্বল প্রশিক্ষণদুর্বল ব্যবস্থাপনার পরিবর্তে শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা আয়োজন এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ

এই দুর্ঘটনার পর অন্যান্য বিষয়ে সতর্কতা ও বিবেচনার পাশাপাশি এ বিষয়টিতেও আমাদের সামরিক-বেসামরিক নীতি-নির্ধারকদের যথাযথ মনোযোগ সময়ের দাবি

চার.

দুঃখবেদনাদুর্ঘটনা কিংবা বিপর্যয় যখন একটু বড় আকারে আসেসঙ্গত কারণে বহু মানুষের মধ্যেবেঁচে থাকা আপনজনদের মধ্যে আক্ষেপ ও দুঃখবোধ ছড়িয়ে পড়ে বহু মানুষের মনের মধ্যে বহু দিন পর্যন্ত বিরাজ করে অস্থিরতা ও মনভাঙা এক অবর্ণনীয় হাল এইসব স্বাভাবিক ঘটনা কিন্তু অত্যন্ত খেয়াল রাখার বিষয় হচ্ছেআমরা যেন দুঃখী মা-বাবাকেআপনজনদেরকে সবর ও সান্ত্বনার কথাআল্লাহ তাআলার ফয়সালার প্রতি আত্মসমর্পণের কথা বারবার তুলে ধরি মনের মধ্যে যেন মন্দ শেকায়েতের অবস্থা তৈরি না হয় এ বিষয়ে সবাই তাদের মনোমানসিক প্রেরণায় সহযোগিতা করি নিজেরাও যদি দুঃখের হালে থাকিতাহলে সবরসান্ত্বনা এবং আল্লাহ তাআলার ফয়সালার প্রতি আত্মসমর্পণের অনুভূতি-অনুভব জাগ্রত রাখি

দিয়াবাড়ি মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা কিংবা যে কোনো আকস্মিক দুর্যোগ-বিপর্যয়ে যারা ব্যথাতুর পরিস্থিতির মধ্যে আছেনঅস্থিরতার মধ্যে আছেন তাদের জন্য বড় একটি সান্ত্বনার জায়গা হলএই দুনিয়ায় আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে প্রিয় বান্দারা হচ্ছেন তাঁর নবী-রাসূলগণ তাঁরাও পার্থিব দুঃখদুর্দশারক্তক্ষয়প্রাণহানি এবং লাঞ্ছনা-উৎপীড়নের শিকার হওয়া থেকে মুক্ত ছিলেন না সাহাবায়ে কেরাম রা. এবং পরবর্তীকালের মহান মনীষীরা অনেকেই শহীদ হয়েছেনপরিবারের মানুষদের হারিয়েছেন বেদনাদায়ক ঘটনায় যার বাহ্যিক কোনো দায় তাদের ছিল না কিন্তু তাঁরা সবর করেছেন উত্তম থেকে উত্তম পুরস্কার পেয়েছেন আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে আগত নিআমতে শোকর আদায় করা এবং দুঃখ-বেদনায় সবর করাআল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করাই মুমিনের কাজ এটিই আমাদের করণীয় এবং এটিই জীবনযাপনের উপায় ও উপলব্ধি

ঘটে যাওয়া ঘটনার বাহ্যিক কার্যকারণ নিয়ে অনুসন্ধান করাবিশ্লেষণ করাপ্রতিবাদযোগ্য হলে প্রতিবাদ করাবিচার করাপ্রতিকার করাভবিষ্যতের জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা নিষেধ নয়বরং কখনো কখনো অনেক প্রয়োজনীয়ও কিন্তু নিজের কিংবা আপনজনদের ওপর ঘটে যাওয়া বেদনাদায়ক দুর্ঘটনা-বিপদের জন্য মনের গহীনে সব সময় মহান রব  আল্লাহ তাআলার কাছে আত্মসমর্পণের অবস্থায় থাকাটা জরুরি মানতে না পারা কিংবা তীব্র অভিযোগ-অনুযোগ প্রবণতা থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করাটা জরুরি মনের ভেতর থেকে আকস্মিক দুঃখদুর্দশা মেনে নেওয়া এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার কাছে আত্মসমর্পণ করার মধ্যেই আমাদের সাফল্যপ্রশান্তি ও নাজাত 

মাসিক আলকাউসার