গিনির নিরাপত্তা বাহিনীর সশস্ত্র গোষ্ঠী দমনের দাবি।
গিনির নিরাপত্তা বাহিনী জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে এমন ‘উসকানিমূলক উদ্দেশ্য’ থাকা একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দেশটির রাজধানীতে নিষ্কিয় করেছে বলে জানানো হয়েছে। দেশটির নির্বাচনের একদিন আগে গতকাল শনিবার এক সরকারি বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে আজ রোববার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই নির্বাচনে জান্তা নেতা জেনারেল মামাদি ডুম্বুয়াসহ মোট নয়জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।
অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার অপারেশনাল কমান্ড পোস্টের এক বিবৃতি বলা হয়েছে, ‘গতকাল শনিবার ভোরে ‘নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনী কোনাক্রির উপকণ্ঠে একটি স্থাপনায় অভিযান চালায়। এখানে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী অবস্থান করছিল।’ পুলিশ, সেনা ও শুল্ক কর্মকর্তারা এই যৌথ অভিযানে অংশ নেয়।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘একাধিক বার গুলিবিনিময়ের পর এই অভিযানে সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে সম্পূর্ণভাবে নিষ্কিয় করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত বা নির্বাচনের প্রসঙ্গ বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা এএফপিকে জানান, গত শুক্রবার রাত ও গতকাল শনিবার ভোরে কোনাক্রির কেন্দ্র থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার (৯ মাইল) দূরের সনফোনিয়া এলাকায় গুলির শব্দ শোনা যায়।
তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, নির্মাণাধীন একটি মসজিদের কাছে এবং একটি বাড়ির আশপাশে গোলাগুলি হয়েছে। দুটি ভবনের দেয়ালে গুলির চিহ্ন এবং আশেপাশে ‘রক্তের চিহ্ন’ দেখা গেছে।
১৯৫৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে গিনির সামরিক ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের এক জটিল ইতিহাস রয়েছে। দেশটি খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ হলেও বিশ্বব্যাংকের ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী দেশটির জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে।
আজ রোববারের নির্বাচনের মাধ্যমে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে চার বছরের অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের সমাপ্তি ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জেনারেল ডুম্বুয়া নাগরিকদের ওপর কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে এবং ২০২২ সাল থেকে জান্তা সরকার বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে। অনেক বিরোধী নেতাকে গ্রেপ্তার, বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে বা নির্বাসনে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।