ডেঙ্গু: অক্টোবরে মৃত্যু ৫০ ছাড়াল

বাংলাদেশে গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরো চারজনের মৃত্যু হয়েছে; এ নিয়ে চলতি বছর ২৪৯ জনের প্রাণ গেল মশাবাহিত এ রোগে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সোমবারের বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সবাই পুরুষ। তাদের বয়স যথাক্রমে ৬৫, ৪০, ৭০ ও ৩২ বছর।
তাদের একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, একজন বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, একজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং একজন পাবনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিতিনি বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৯৪২ রোগী। তাতে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ৭৯১ জনে।
এ বছর আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি ১৫ হাজার ৮৬৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সেপ্টেম্বর মাসে। মৃত্যু হয়েছে ৭৬ জনের।
২০ অক্টোবর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩ হাজার ৪৪৯ জন; মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের।
এর আগে জুলাই মাসে ১০ হাজার ৬৮৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন, মে মাসে ১৭৭৩ জন, জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫১ জন এবং অগাস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
জুলাই মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার আগে জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে সাতজন, মে মাসে তিনজন, জুন মাসে ১৯ জন, অগাস্ট মাসে ৩৯ জন মারা যান। মার্চ মাসে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি নতুন রোগীদের মধ্যে ৩১০ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২০০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৩৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১৪ জন, খুলনা বিভাগে ৫৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬০ জন, রংপুর বিভাগে ২৩ জন, বরিশাল বিভাগে ১৩৯ জন এবং সিলেট বিভাগে দুই জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
ডেঙ্গু নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২ হাজার ৮৪০ জন রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১০১৯ জন, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ৮২১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।